বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

পার্থক্য

তোমার অস্ত্র শব্দকামান
আমার অস্ত্র সহ্যতে
তোমার তৃপ্তি উজান ভাসান
আমার স্বস্তি সন্ধিতে ।


তার আছে শব্দের তীর
আমার গ্রহনের বুক
তার আছে কবিতার নীড়
আমার ক্ষরণেই সুখ ।


   
    

বৃষ্টি ।

বৃষ্টির লং প্লেয়ারে আষাঢ়ের গান শোনায় ভোরের আকাশ ।
কদমের কান্না দেখে বালিকা দোয়েল ফিরে যায় পিত্রালয়ে ।
আজ বুঝি হবেনা তাঁর প্রেমের উড়াল ।
বর্ষাতি গায়ে চেপে কবিতারা হেঁটে যায়
সাদা কাগজের ফেবিকল মায়া ছেড়ে ।

হে মহান তানশেন,
আপনার মেঘমল্লারে
আমাদের এলোমেলো দিন ।

অভাবের দিনে গুছিয়ে গেরস্থালি
আসন্ন মম্বন্তরে রুখে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিটা সেরে নিতে চাই ।
দয়া করে থামুন এবার ।

বুধবার, ১৮ জুন, ২০১৪

নপুংসক ।

খ্যাপা 
সিংহ
ধরেনি
তখনো
ছুয়েছে
কেবল
তাতেই
কুপোকাত ।
খুব
গোপনে
হয়েই
গেলো
এক
পশলা
সাদা
বৃষ্টিপাত ।
জাহান্নামে
যাও
আলোটা
নিভিয়ে
সিংহী
বলেন
দাঁত
চিবিয়ে ।
ঘরেতে
আগুন
আখেরেও
তাই,
সিংহের
জীবন
কেশর
ছাড়াই ।।

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

হ্যালো ।

দারুন সন্ধ্যা গেলো আজ 
দেখে বৃষ্টির কারুকাজ
ভেঙ্গে মেঘের পরু ভাঁজ 
দু একটা বাজের আওয়াজ
হঠাৎ চমকে দিয়ে
তোমাকে মনে করিয়ে দিলো 

হ্যালো, শুনতে পাচ্ছো ?
তোমার পাড়ায় বৃষ্টি 
ছিলো সন্ধ্যায় ?

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন ।

আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন, আইজ তুমি যাও কই
এই বাইষ্যায় কুল ছাড়া বিল,দেখো ঢেউ থই থই
পরানের পাখি ওরে, এই ভরা নাও ভাসাইয়া জলে
কার ঘাটে যাও তুমি, কেমন কলার চৌষট্টি কৌশলে 


না ছিলো ভিটি তোমার,না ছিলো ঠায় ঠিকানা ঘর বাড়ী
পড়নে ছিলোনা কোন রঙ্গিন সুতার মাড় দেয়া শাড়ী
শুয়োর মাড়ায় গেছে কচি জোড়াফল, দেহের বাগান
আধমরা পড়া ছিলা,মোরগের ডাক ভোরের আযান

এমত পাই তোমারে, গেরামের পূবে, সড়কের ধারে,
মুহূর্ত না দেরি করি, এক ঝাকি দিয়া জোয়ান গতরে
একা বুকে নিয়া দেই দৌড় মেডিক্যাল,ফিরিঙ্গি বাজারে
তেরোদিন বসা আমি তেরোটা রাইত তোমার শিয়রে

চোখ খুলে ভাঙ্গা স্বরে জিগাও,আমারে আনার কারণ ?
আনছি তোমারে আমি, চুপ, কোন কথা কওয়া বারণ
না । যাই নাই তোমারে একেলা থুইয়া ফিরিঙ্গির কাছে
আহার নিদ্রায় গিঁট দিয়া ঠায় ছিনু গাছের মেজাজে

এককুড়ি দিন বাদে আস তুমি এই নাদানের ঘরে
ভাঙ্গিয়া বাঁশের ব্যাংক জমানো যাই ছিল অগোচরে
তার সাথে জোড় দিয়া কিছু ঋণ নেই সমিতি দলিলে
মিয়া সাহেবের খেতে একা বর্গা করি লাঙ্গলে জোয়ালে

পায়ে পায়ে খেতে রুই ইরি জালা,বুকে রুই নয়া গান
সেই গানে দোহার তোলে প্যাক, মাটি আর জমিন আসমান
বান ভাসা পানি এক রাইতে খাইলো পুরাটা আবাদ
অভাব আনলো ঘরে, লগে দিয়া গেলো ঝগড়া বিবাদ

শান্তি নাই প্রেম ও নাই, বাড়ন্ত ঘরে সবই উধাউ
আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন, পরান পাখি কই যাও ?

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

স্খলন ।

একদিন একেলা পাইয়া জিগাইলাম তারে
আমারে টালাইয়া তুমি কি মজা পাও ?
ছাইড়া দিয়া দেহের রঙ্গিলা নাও
কয়, চলো কই গিয়া গভীর সাগরে ।


বোকচোদ আমি ভেবাচেকা খাই,তাকাই ডাইনে বায়ে
মরছি গো আইজ, কেউনি শোনে এমন সর্বনাশা বাণী
ঠেলা দিয়া কয়, যায় গো সময়, উঠবানা নায়ে ?
হঠাৎ খবিস হই,মুখে মধু ঢেলে কই, ওরে প্রিয় চুতমারানি ।

স্বীকারোক্তি ।

আজো শিখি নাই কিছু
বহু কিছু শিখা আছে বাকি
যা কিছু করেছি সব শুধু
নিজেকেই দিয়ে গেছি ফাঁকি

গনিতের সুত্র বুঝি না তো
কি করে বুঝি জীবনের অংক
পোশাকে-আশাকে দেখো ফিটফাট
ভিতরে ভিতরে থাকি উলঙ্গ

পরিচিত সব বেছে নিয়ে উঁচু
গড়েছে নিজ নিজ পাটাতন
অকাজের কাজী ধরে মিছে বাজি
পশ্চাৎ এ নিয়েছি কাঁটাবন ।  

অসম্পূর্ণ ।

জলের পিরান গায়ে আমি ডুব দেই জলের ভিতর
আমি ছাড়া এরকম পোশাকে আর নামে নাই তো কেউ
জলেই তোমার ঘর বাড়ী সব, তবু ভিজে না গতর
আমার কেনো সব ভিজে, কেনো দেহের ভাঁজ ভাঙ্গে ঢেউ ?
পুকুর হাওড় দীঘি বিল ঝর্না ছেড়ে, এলাম সাগরে
রঙ্গিন নগর ছেড়ে এবার নিলাম পানির জীবন
দেখা কি হবেনা মৎস্য কন্যা, আমি কি পাবোনা তোমারে ?
ডাঙ্গায় উঠেই ডুব দাও এ তোমার কেমন ধরন ?