সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

খোলা চিঠি ।

ই মেইলে নয় ।
চিঠি পেলাম রঙ্গিন খামে
কত বছর ? বহু বছর ।
আধ জীবনের দামে !

হাতে লেখা নাম ঠিকানায় স্পষ্ট প্রেরক ।
কে লিখেছে বুঝতে পারি অধম প্রাপক ।
দেশের নাম বুঝতে আর রয়না বাকি
খামের উপর আঁকা দুটো কিউই পাখি ।

এতো বছর পরেও আছি তোমার মনে!
ইচ্ছে করে বলি, সখি চলো স্বেচ্ছা গুমে
হারিয়ে যাই আজ দুজনে
পারিনি যা আগ জীবনে ।


দাহ যন্ত্রনায় পোড় খাওয়া বৃক্ষ
আর থিতিয়ে পড়া পাতার সমবায়
হঠাৎ স্রাবণের জলে ভিজে যে ভাবে
বুকের সবুজ খোলে
বহু...বহুদিন পর
ঠিক সেভাবেই তোমার শব্দ স্রাবণ
আমার মন সবুজকে খুলে দিয়ে
দিগন্তে পাঠালো সূর্যকে মুঠোয় পুরে ।

অনেকটা যেন,
"যাও পাখি বল তারে "...
পাখির কি আর দায় পড়েছে আমার কথা
বলবে গিয়ে তোমার কাছে উড়াল মুখে
আমিই তোমায় নিজের মুখে বলছি শোন,
যোগাযোগের বাইরেও অন্য আরেক
যোগাযোগ থাকে । আছে , থাকবে জেনো ।

বলার কিছু নেইতো তেমন
ভেজা ব্যাঙ কুয়োয় থাকি
নেইতো আমার বিশ্ব ভ্রমন
সুখের দৃশ্য শব্দে আঁকি ।

দুই দু মুঠো ভাতের আশায়
খুলেছিগো ভাতের দোকান
শোকর আল-হাম দুলিল্লাহ
মানের সাথে বেঁচেছে প্রাণ
জাবর কেটে স্মৃতির বিলাস
করবো কখন ! প্রাণ হাঁসফাঁস ।

ঠিক করেছো ।
আগে ভাগেই দিক চিনেছো ।
নইলে চুলোয় ঠেলতে হতো গোবর ঘসি
প্রেমের ভুলে হয়তো দিতে গলায় ফাঁসি ।

এইতো আমার সাদা মাটা ছোট্ট জীবন
এর মধ্যে তোমায় নিয়ে ভাববো কখন ?

উত্তর পেলে লিখবো ঠিকই
পরের বার বড় করে ।
ভাল থেকো সকল সময়
আনন্দকে সঙ্গি করে ।
ইতিতে,
পুড়নো সেই ঘুরে ফিরে
যার জন্যে পালিয়ে গেলে
স্বদেশ ছেড়ে ।


রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

আড়ালে অন্যে থাকে ।

পায়ে পায়ে হাঁটি বলে
ভাববেন না দৌড়াতে পারিনা ।
গোড়ালির দৃঢ় চাপ দেখে নিন
কিভাবে কাঁতরে ওঠে পথের পাথর ।
চুপচাপ থাকি বলে ভাবিস নে
কুঁচকে গেছি নিদারুন ভয়ে ।
কান পেতে শুনে নিস
কথার ক্রুদ্ধস্বর বুকের আগুন ।
হাসিমুখ ফ্রেমে বাঁধা দেখো বলে
ভেবোনা সূর্য পিছলে হলো সোনার মোহর ।
বোধের স্বচ্ছ চোখে দেখে নিও
মাঝে মাঝে ফ্রেম হাসি ঝুলে থাকে ঘৃণার দেয়াল ।
চোখের মুগ্ধতা মানে এই নয়
বিরক্তির ভাষা জানা নেই
জরুরে বলকে ওঠে হাপরের বুক
যে অনলে পুড়ে খাঁক মুগ্ধ পরাণ ।

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

বীর ।

লক্ষ কোটি শুক্রকীট পরাজিত করা বিজয়ী মানুষ আমি
পৃথিবীতে এসেছি হেরে যেতে নয় ।
ঘৃণা নয়তো প্রেম
আলোকিত দিন
অথবা 
অন্ধকার
জয় করে
নেবো ।
তবু পরাজয়ের খালি হাতে যাবোনা ফিরে ।

অরন্যর শূন্যতা বন্য ছিলোনা কখনো ।
নরম নিপাট নিস্তব্ধ শূন্যতা বুকে নিয়ে
 
ঢেঁড় নগরে বেধেছে ঘর ।
আমার আগে একবার মহামতি আলেকজ্যান্ডার ,
একবার ঘুরে গেছে চে, গাইতে গাইতে ফিরে গেছে
খুদিরাম ।
বিজয়ীর বীর বুকে উপচে পড়ে মানুষের প্রেম ।
কি করে হারাবে তাকে 


সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৪

সাত জীবনের চাওয়া । (দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ )

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে , 
এক জগ পানিতে সাওয়ার নেয়া ।  
না যাবে স্নানের তৃষ্ণা ,  না প্রেমের ।

সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে একটা জীবন ভালোবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
একটা কাকতাড়ুয়া জীবন বেছে নেয়া ।
এক পায়ে দেখে যাওয়া সোনালী যৌবন ।
না যাবে ছোঁয়া তারে, না পুরাবে আশা ।

সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে এক জীবনে ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
তিন জীবনের ঘুম যাবে সীমান্ত প্রহরায় ।
অরক্ষিত ঘর কি করে প্রেম সামলায়  !    

তোকে একটা জীবন ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই
সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই ।