বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

সাদফের বয়ান ......


মনের অথবা বনের
নেতার বা ক্রেতার
কৃষক কিংবা শ্রমিকের
টোকাই কিবা বেশ্যার
মেঘের বা বাজের
যে ভাবেই হউক
সব কিছু ওলট পালট
হয়ে যাওয়ার মতো
একটা গর্জনের অপেক্ষায় আছি ।

শীতলক্ষ্যা আমার নদী নয় যে জলে পাপ মুক্ত হবো ।

তাহের লও সালাম ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
যারা দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে
তাদের মৃত্যু ভয় থাকেনা
যারা খুনি, দেশদ্রোহী
তারা মৃত্যু ভয়ে দেশে থাকেনা
এ দুয়ের বাইরে যারা
তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ।
ঘাতকের দেশে তোমার পুনর্জন্ম হউক ।

পরকিয়া ।

পরকিয়া ।
ব্যস্ত সময় ঘর খোঁজে না ,
বন্ধু , স্বজন মন বোঝে না ।
বাও তুফানের ভাও বোঝে না ,
মাটির ভান্ডে দুধের সর
যত্নে তোলা সিকার উপর
নিজের মানুষ ঘরের ভিতর
হুলো বিড়াল শুঁকলো গতর
শীতল জলে স্নানের প্রহর
নিভিয়ে দিলো ; পুড়িয়ে দিয়ে
প্রেমের নগর ।
ব্যস্ত সময়
ব্যস্ত সময়
তোমার কিগো কাজ সরে না ।
ঘরে ফেরার হয় না সময় ?
ব্যস্ত সময়
ব্যস্ত সময় ।

গান ।

যদি যেতে চাও
যাও , যাও চলে যাও
কিছু বলতে চেও না ।
যে আগুন জ্বলছে বুকে
দু ফোঁটা চোখের জলে
তা নিভে যাবে না ।

দিন কে আমি দিন বলেই জানতাম
তুমি এসে শেখালে
সোনালী রোদ্দুরে
কি ভাবে হাঁসতে হয়  ।
আজ কারণহীন এক কারণ নিয়ে
আমাকে করছো মানা  ।
যদি যেতে চাও
যাও , যাও চলে যাও
কিছু বলতে চেও না ।

রাতকে আমি রাত বলেই জানতাম
হাত ধরে শেখালে
রুপালী জ্যোৎস্নাতে
কি ভাবে ভাসতে হয় ।
আজ উড়িয়ে দিয়ে শুন্য হাওয়ায়
ভেঙ্গেছো উড়াল ডানা  ।
যদি যেতে চাও
যাও , যাও চলে যাও
কিছু বলতে চেও না ।

রবিবার, ২২ মার্চ, ২০১৫

গান ।


আমি ভুলতে চাইনি তোমাকে
ভুলিয়ে দিয়েছো তুমি ।
এতদিন পড়ে এসে সামনে দাঁড়ালে
মন ঘরে খুঁজে দেখি , মরে গেছো তুমি ।
মরে গেছো তুমি ।
..........................................
..........................................
..........................................
..........................................
..........................................
..........................................
..........................................
.......................................... 






আর কাঁদাবোনা তাই
দুরে আরো দুরে যাই
নিজেকে বাঁচিয়ে আমি
তোমাকে বাঁচাই ।

জোড় করে কেড়ে নেয়া
শিখিনি তো আমি
শিখেছি ভালোবাসা
সবচেয়ে দামি ।
ছাই বুকে তুলে নেবো
যদি ভালোবেসে পাই ।
নিজেকে বাঁচিয়ে আমি
তোমাকে বাঁচাই ।
হিরক ছুঁইনি কভু
আধারে পেয়ে
দিনের আলোয় মাটি
নিয়েছি চেয়ে ।
ভালোবাসা, ভালোবেসে
প্রান ভরে পেতে চাই ।
তোমাকে বাঁচিয়ে তাই
নিজেকে বাঁচাতে চাই ।

ও ফেইসবুক বন্ধু আমার ।

ও ফেইসবুক বন্ধু আমার  ।

জ্ঞ্যানের সবচেয়ে সুন্দর দিকটি হচ্ছে বিনয় ।
বিনয় মিশ্রিত জ্ঞ্যান প্রকৃতির মতো মোলায়েম এবং সুন্দর ।
এই সুন্দর , স্বর্গীয় দ্যুতি ছড়ায় আষাঢ়ের মায়াবি জ্যোৎস্নার মতো ।
বিনয় বিহীন জ্ঞ্যান হুতোমের মুখশ্রী মনে করিয়ে দেয় বারবার ।
এই জ্ঞ্যান, অন্ধকারের কাকতাড়ুয়ার অদ্ভুত অপেক্ষার মতো হাস্যকর ।
এর সাথে যদি ছিটে ফোটা অহংকারের গুড়ো থাকে তাহলে সোলকলা পুর্ন ।
এই জ্ঞ্যানের হাওয়া বাতাস গায়ে মেখেই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে ফ্রেমে বাঁধা
হাস্যোজ্বল মুখোচ্ছবি নিয়ে ।
কি অদ্ভুত এই দেশ ! অদ্ভুতেরও অধিক অদ্ভুত এই দেশের মানুষের আচরণ ।
নুন্যতম যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রচারের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে
যত্রতত্র যায়গা করে নেয়ার ইঁদুর দৌড়ে ব্যাতি ব্যস্ত করে রাখে লোকালয় ।
অন্যকে বিরক্ত করে হলেও নিজের ঝান্ডা উরিয়ে রাখতে হবে !
এরা যোগ্যোতার স্বীকৃতি আদায়ে ভার্চুয়াল সন্ত্রাসে নিষ্ঠুর !
এদের সমালোচনা করা যাবে না , শুধু পছন্দের টিপসই দিয়ে যেতে হবে !
নয়তো শব্দধোলাই শুরু ।
এ ধোলাই শুরু হবে একা , পড়ে যোগ হবে তোষামোদি তেলাপোকা দল !
একবার ও কেউ ভাবছি না , শান্তির ছাউনি থেকে ক্রমে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছি !
দূরে সরে যাচ্ছি ! দূরে সরে যাচ্ছি !

জ্ঞ্যান ও বিনয়ের মিশেলে যে মোহনীয় মুখশ্রী তৈরী হয় , তা দর্শনে অন্তরের শেষ প্রান্তে মুগ্ধতার এক ঝিরি ঝর্না বয়ে যায় ,আমি সেই অনিন্দ মুখের অনুবাদ করার ক্ষীণ চেষ্টা করেছিলাম গত স্ট্যাটাসে, স্বল্প শব্দের অল্প কথায় । স্বজন সুজন বহুজন তাঁদের ভালোলাগার টিপসহি আর প্রাণবন্ত মন্তব্য দিয়ে উৎসাহের খেয়ায় ভাসিয়ে আমাকে বেঁধেছেন কৃতজ্ঞতার অদৃশ্য নাইলন গিঁটে । এই নাদান তাঁদের ভালোবাসার স্নেহ-শ্রদ্ধামূলে নতজানু ।
এই লেখাটি একটি উপন্যাসের আকার নিতে পারতো , গল্পের বরফ ফোটায় ফোটায় গলিয়ে পরিমান মতো নিমক গুর ঝাল টক এর সমবায়ে একটা নতুন স্বাদ দেয়া যেতো , তবু ঐ পথে যাবো না আমি । ও পথ আমার নয় ।
ফে-সদস্য হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নর নারী নির্বিশেষে যতো বন্ধু পেয়েছি
তাদের কাছ থেকে পাওয়া অনিন্দ আনন্দময় ভালোবাসার বিশ্বাসী পাটাতনে
বুকের বোতাম খোলা সময়
নিদাঘ দাহে বিনয়ের সুশীতল ছায়া-প্রশ্রয়ে ক্লান্তি বিয়োগের স্বস্তি
ঘৃনার ধারালো শব্দ ছুরির নিঠুর আঘাত
কৌশলী আন্তরিকতায় কাব্যিক প্রতারনার চান্দ্রিক রুপোশ্রী
পাওয়া না পাওয়ার ঝাঁঝালো ফোঁড়ন
সযত্নে অযত্ন করন
অহংকারের ঘনস্বভাবে দুঃখ বিলাশ আর গীবতের বহুমাত্রিক রাগ সঙ্গীতে বুঁদ হয়ে অন্যের একাউন্ট হ্যাকের যাচ্ছে-তাই মানসিকতার দুর্গন্ধময় কদর্য মুখের নিপুণ স্কেচ আঁকার এক ধারাবাহিক চেস্টা থাকবে আমার এই লেখায় , তবে সঠিক কোন নামে নয় , ফেবু-আইডি , ঠিকানা বা ছবি ব্যাবহার করে নয় , সকলকে নিরাপদ রেখেই এই লিখা । এ লেখায় সকলেই নিরাপদ ।


আজকাল মেয়েরা জুতা বা স্যান্ডাল এর ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ...ভাবখানা এমন যে, ফেসবুকের সকলকে তিনি জুতা দিয়ে বা দেখিয়ে ধন্য করার পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন !
অচিরেই দেখা যাবে তেনারা তাদের দোতালা কিংবা নীচ তালার "দ্বিতীয় পত্রের" ছবি ও মাপ দিয়ে স্ট্যাটাস দেবেন " তোরা দেখে যা আমি আর কি, কি পড়ি...............

আর বেডারা...? হেরা তো মাইয়াগো থন আরো তিন কাডি বেশী সরষ ।
মদের বোতলের ছবি । বোতলের ভিতরে বোতল মার্কা মাইয়া মানুষের কাপড় ছাড়া ছবি । পাছফুতে বিছা লাগাইন্না ছবি । দুপুরে কি কি খাইছে বাডি বরা হেই তরকারির ছবি । আর কিছু কিছু বেডাগোতো মনে অয় হেইডা নাই ! নাই !! নাই!!! পরিচয় দিতে সরমায় মাইয়া মানুষ সাইজ্যা যা মন চায়......... ! হেতাগো পেইছবুকে পেইছ নাই! হেইতারা হেঁচার মতন ডার্কে থায় ! 
মনে অয় পেইছবুকের রইদে হেতার স্কীন অমাবইশ্যার ঘোর কালা ওই যাইবো!
ইয়াল্লাই ব্লাইন্ডে থাই কল কাঁডি লাড়ে !!

আমি পঁচিশের তারুণ্যে বসে আধ্যাত্তিক গান গাই............
সব সেয়ানের হল মেলা ফেইছবুকে এসে...তোরা কেউ দিসনে সারা অবশেষে ।

একদল আছেন যারা আইডি'তে প্রতিকি ছবি ব্যবহার করেন এবং অসাধারন কিছু লেখা লিখেন যা পড়ে প্রতিদিনই কিছুনা কিছু শিখা যায়, জানা যায়, ভাবনার জগতকে নাড়িয়ে দিয়ে যায় ।
তাদের আন্তরিক অভিনন্দন । তাদের প্রতি অনুরোধের বিনয়ী দরখাস্ত...প্লীজ, নিজের ছবি দিয়ে প্রকাশ্যে আসুন । অগুনিত বন্ধুর আস্থা ও ভালবাসা গ্রহন করুন ।

মোজাটা মাত্র দুই হাত দিয়ে মেলে ধরেছে ডান পা'টা গলিয়ে দেবো ভিতরে । ইতিমধ্যে ডান পা'টা তুলেও ধরেছে হা করা মোজার মুখের সামনে। এমন সময় টেবিল ঘড়িটার দিকে চোখ গেলো ! উফ  গত কয়েকদিন হলো ঘন্টার কাটা'টাকে ১২ টার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছে 'তিতু' । আর সেকেন্ড এর কাটাটি এক সেকেন্ডের ঘর ছেড়ে একবার সামনে আর একবার পিছনে করছে। তিতু বুঝতে পারছে এটুকুও থিথু হয়ে যাবে যে কোন সময় । দম ফুরিয়ে যাচ্ছে । ব্যাটারি পাল্টাবো পাল্টাবো করে প্রতিদিনই ভুলে যায় ফেরার সময় । ঘরির কাটা হঠাৎ ১২ টার ঘরে এসে থেমে যাওয়াটা খারাপ কোন কিছুর ইঙ্গিত বহন করছে নাতো ? ঘরির সাথে তার আর দেশেরও ১২ টা বেজে গেলোনাতো ! সে  বরাবরই একজন পজিটিভ মনস্ক মানুষ, ফলে শরীরে হালকা একটা ঝাকুনি তুলে মোজা পরা শেষ করে উঠে দাঁড়ায় তিতু ।
প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে ফেস বুকে একটা করে নতুন স্ট্যাটাস দিয়ে যা্য । ঘুম থেকে উঠেই আগে ল্যাপটপ টা অন করে দেয় । বসে পড়লো টেবিলে অন করা ল্যাপটপ এর সামনে । লগ ইন করে দেখে গত রাতের দেয়া স্ট্যাটাস এ হিউজ লাইক জমা পড়েছে । এই লাইক দেয়া বিষয় টি নিয়ে সে অল মোস্ট প্রতিদিনই ভাবে । ইদানিং তার এই ফেইসবুক বিষয়ের ভাবনা গুলো বিশ্বাসে পরিনত হচ্ছে । 

কেউ কেউ মনে হয় না বুঝেই লাইক দিয়ে তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । 
নইলে "গতকাল আমার বাবা মারা গেছেন" অথবা "এখন আমার ভিষন রকম কাঁদতে ইচ্ছে করছে" এই জাতীয় স্ট্যাটাসে শত শত লাইক জমা হচ্ছে ! প্রার্থনা বা দুঃখ প্রকাশ না করে আপনার বন্ধুরা দল বেধে ঝাকে ঝাকে আপনার চুড়ান্ত কস্টের সময় টাকে লাইক দিয়ে জানান দিচ্ছে  ' আমরা তোমার বর্তমান সময়টাকে খুব পছন্দ করেছি ' ! 
যারা বিশ্বাষ করে পুর্ব পুরুষ বানর ছিল এবং লেজ এর শেষাংশ খোয়াতে খোয়াতে তিনি এই ডিজিটাল যুগের সিডিউল পেয়ে হাজির হয়েছেন তাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ভাবে এই ফেইসবুক একটা অভয়-ভুমি মেলে ধরেছে । কেউ কেউ আমার মতোই গাধার উত্তর শুরী হয়ে এ দেশে এসেছে বলে আমার ধারনা । ফেস-বুকের এই ওলট পালট লাইক দেওয়ার বহর দেখে এই ধারনা ইদানিং আরো বেশী স্ট্রং হচ্ছে । তাদের ধারনা যে কোন লেখাতে লাইক দেয়াটা বুঝি স্মার্টনেস এর আওতায় পড়ে । অতি স্মার্টগণ সানগ্লাস দিনেও পরেন । রাতেও ।

আবার কারো কারো মন্তব্য, স্ট্যাটাসটিকে আরো অর্থবহ করে তোলে, বহু মাত্রায় নিয়ে যায় । 
"তাঁর সাথে আমাদের জান্নাতে দেখা হউক, আমীন" কিংবা "ভাল করে কেঁদে নাও,আনন্দ সুনামি হয়ে আসছে ভাসিয়ে নিতে" ।
মৃতের সাথে নিজের জন্যও জান্নাত প্রাপ্তির আগাম প্রার্থণা অভিনব এবং অনুসরন করার মতো । অন্যটি , ভরপুর প্রাণে সম্ভাবনার আশায় বুক বেঁধে বর্তমান খারাপ সময়কে বীরের মতো মোকাবেলা করার সাহস যুগিয়ে দেয় । এই সকল লেখা পড়লে শরীর মন ফুর ফুরে লাগে , হালকা হয়ে যায় । বিশ্বাসের গাঁথুনি আরো সবল হয় । তখন ভাল কিছুর জন্য অপেক্ষ্যা করতে সত্যি সত্যি ভাল লাগে ।
সময় নেই । এখুনি বেরুতে হবে । অফিসের গাড়ী চলে এসেছে । হর্ন বাজাচ্ছে । তখনো ওর মাথা থেকে ঘড়ির কাঁটা নামেনি । তাড়া তাড়ি করে আজকের স্ট্যাটাস দিয়ে বের হয়ে গেলো 'তিতু' ।
" ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে....................................? 

(ক্রমশ )



জ্ঞ্যান ও বিনয়ের মিশেলে যে মোহনীয় মুখশ্রী তৈরী হয়
তা দর্শনে অন্তরের শেষ প্রান্তে মুগ্ধতার এক ঝিরি ঝর্না বয়ে যায়
আমি সেই অনিন্দ মুখের অনুবাদ করার ক্ষীণ চেষ্টা করেছিলাম গত স্ট্যাটাসে
স্বল্প শব্দের অল্প কথায় ।
স্বজন সুজন বহুজন তাঁদের ভালোলাগার টিপসহি
আর প্রাণবন্ত মন্তব্য দিয়ে উৎসাহের খেয়ায় ভাসিয়ে
আমাকে বেঁধেছেন কৃতজ্ঞতার অদৃশ্য নাইলন গিঁটে ।
এই নাদান তাঁদের ভালোবাসার স্নেহ-শ্রদ্ধামূলে নতজানু ।
এই লেখাটি একটি উপন্যাসের আকার নিতে পারতো
গল্পের বরফ ফোটায় ফোটায় গলিয়ে পরিমান মতো 
নিমক গুর ঝাল টক এর সমবায়ে একটা নতুন স্বাদ দেয়া যেতো 
তবু ঐ পথে যাবো না আমি । ও পথ আমার নয় ।

ফেবু - সদস্য হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নর নারী নির্বিশেষে যতো বন্ধু পেয়েছি
তাদের কাছ থেকে পাওয়া অনিন্দ-আনন্দময় ভালোবাসার বিশ্বাসী পাটাতনে বুকের বোতাম খোলা সময় । নিদাঘ দাহে বিনয়ের সুশীতল ছায়া-প্রশ্রয়ে ক্লান্তি বিয়োগের স্বস্তি
ঘৃনার ধারালো শব্দ ছুরির নিঠুর আঘাত
কৌশলী আন্তরিকতায় কাব্যিক প্রতারনার চান্দ্রিক রুপোশ্রী
পাওয়া না পাওয়ার ঝাঁঝালো ফোঁড়ন , সযত্নে অযত্ন করন
অহংকারের ঘন স্বভাবে দুঃখ বিলাশ আর গীবতের বহুমাত্রিক রাগ সঙ্গীতে বুঁদ হয়ে অন্যের একাউন্ট হ্যাকের যাচ্ছে-তাই মানসিকতার দুর্গন্ধময় কদর্য মুখের নিপুণ স্কেচ আঁকার এক ধারাবাহিক চেস্টা থাকবে আমার এই লেখায় ।
তবে সঠিক কোন নামে নয়
ফেবু-আইডি বা ছবি ব্যাবহার করে নয় ।
এ লেখায় সকলেই নিরাপদ ।

সরল অংক গড়ল জীবন ।


এক ভাগ সুখ
তিন ভাগ দুঃখ মানুষ
কার পিছে লেগে থাকো দিন রাত
কাকে ভাঙো মনে মনে দাঁত কেটে
যেভাবে ভাঙ্গন নেয় লোকালয় ঘুম
কার ভাতে ছাই দিতে রাত জেগে
দলে দলে সোমরসে ভরে রাখো
শিশ্নের হাঁড়ি ।

শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে কোন পণে
বেধে রাখো অমায়িক আঙ্গুলের কোণ
কি করো একা একা স্নান ঘরে
কার সুরে গুন গুন মাতোয়ারা
ঘসে মেজে বক্ষচুড়া
কৃষ্ণ গড়ো
কৃষ্ণ ভাঙ্গো
মাঝ রাতে রাধা তুমি
কোন বাঁশী ফেলে রেখে
কার বাঁশী ধরো ।
পশু নয়
জন্তু নয়
ফুল
পাখী
লতা
পাতা
কিছু নয়
সরল অংক গড়ল জীবন
মানুষ লেগে আছো মানুষের পিছে ।

প্রত্যাবর্তন ।



বয়সি গাছের ছায়া ছেড়ে রৌদ্র মাখো উড়াল ডানায় ।
প্রখর আদরে খসে গেলে দু'চার পালক
ফিরে এসো ছায়া তলে
ফিরে এসো
ফিরে এসো
পুরানো ডেরায় ।

সরল অংক ।



বুকের ফয়েলে যতো বাঁক ছিলো
যতো উষ্ণতা ছিলো ভাঁজে ভাঁজে
ভয়ের ভালুক বন ছাড়ার আগে
উদ্ববাস্ত হলো মনবাড়ী ফেলে !

মাখন মুখে তাজা অমায়িক পাপ
সেও এক রাজকীয় অভিশাপ !
খল ছল তির তির কামে ঘামে
এতোটুকু মানুষে কতোটুকু মাটি !
প্রৌর বর্ষায় শাপের সাঁতার
ঢেউ তোলে বিশ্বাসের জমানো জলে !
স্নেহ প্রীতি ভালবাসার দায়ভার ভুলে
তুলে দেয় সীমান্ত কাঁটা তার !
শুধু ভুলে যাও তুমি
সঠিক হিসাব রাখে ভোরের শালিক ।

গান ।


কতো দুরে গেলে তারে , দুরে যাওয়া বলে
কতো পথ পার হলে , পথ চলা বলে
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া , পথ চলা কাকে বলে ?


জীবন মানেইতো অবিরাম পথ চলা
এ চলা ক্রমাগত তোমার দিকে
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া , পথ চলা কাকে বলে ?

চোখের আড়ালে গেলে মনে রয়ে যাও
এ বুকে বসে আছো কি করে হারাও
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া , পথ চলা কাকে বলে ?


বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০১৫

গানের ডালি ।

গান ।
সুরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে ।
এক ফোটা প্রেম, এক দিঘী জল
কোনটা নিবি তুই মুখ ফুটে বল।
বিন্দু প্রেমে আছে সিন্ধু লুকিয়ে
দিঘীর পদ্মজোড়া মুখ উঁচিয়ে।
মুখ ফুটে বল তুই মুখ ফুটে বল
কোনটা নিবি শুধু মুখ ফুটে বল।
# # # # #

শিউলি ছড়ানো ভোর , কুয়াশার ধোঁয়া
মাঘী পুর্ণিমা সাথে শিশিরের ছোঁয়া ।
ভোরের আলোয় আছে সুর্যের হাঁসি
জ্যোৎস্নার ঢেউয়ে দোলে কৃষ্ণের বাঁশি ।
মুখ ফুটে বল তুই মুখ ফুটে বল
কোনটা নিবি শুধু মুখ ফুটে বল ।
# # # # # #
তুলনা নেবনা কোন উপমার ভার
তোকে নেবো , স্বপ্ন রয়েছে হাজার ।
ছেড়ে ছুঁড়ে নগরের সব কোলাহল
সঙ্গী হবি যদি পাশা পাশি চল ।
মুখ ফুটে বল তুই মুখ ফুটে বল
সঙ্গী হবি শুধু মুখ ফুটে বল ।


গান।
তোমার অপেক্ষা আমাকে কাদায়
যদি পাহাড় উপেক্ষা
সামনে দাড়ায় ।
এভাবে চলে যেতে পারনা তুমি
অনাবাদী ফেলে রেখে হৃদয় ভুমি
আমার সুর্য কেনো
আধারে হারায় ।
কি করে হলে এতো হৃদয় হীনা
আগে তো তুমি এমন ছিলে না
দুরে সরে গেলে
কোন সে মায়ায় ।


গান।
চলো, আজ রাতে ছুঁয়ে দেই, এই চাদ দুজনে
হাওয়া জলে ভিজে ভেসে গানে গানে।
শুরু হউক আমাদের পুর্ণিমা খেলা
দুরে যাক সরে যাক দু:খের বেহালা ।

তারপর ছুঁয়ে যাবো নীলিমার নীল
দুজনেই হবো আজ ডানা মেলা চিল।
শুরু হউক আমাদের ভ্রমন খেলা
দুরে যাক সরে যাক মেঘেদের ভেলা।
উড়ে ঘুরে ছুঁয়ে দেবো ঝিকিমিকি তারা
প্রাণ ভরে দেখে নেবো আলোর ফোয়ারা।
শুরু হউক আমাদের পুর্ণিমা খেলা
দুরে যাক সরে যাক দু:খের বেহালা।


গান।
তুমি জানলে কেমন করে
তুমি বুঝলে কেমন করে
তোমার দুখে, দুখি হবো
তুমি গেলে দুরে সরে।

তোমায় ছাড়া দিব্বি কাটাই
দারুন হেসে খেলে
তুমই বরং আমায় ছেড়ে
ভাসছো চোখের জলে।
জীবনের সব চাওয়া
একে একে পেয়েছি
তুমি ছেড়ে গেছো তবু
সুখে সুখে ভেসেছি।


গান।
আমাকে কাঁদিয়ে তুমি, যতো সুখ পাও
আমি কেঁদে কেঁদে সুখি, আরো কাদাও
তবু ভুলতে বলোনা তোমাকে।
কভু ছাড়তে বলোনা তোমাকে।

যতো পারো দিয়ে যাও ঘৃনা অবহেলা
বিষ মাখা তির আর তীব্র দহন জ্বালা।
বিরহের আগুনে যদি, পোড়াতে সুখ পাও
যতো পার তার চেয়ে, আরো বেশী পোড়াও।
তবু ভুলতে বলোনা তোমাকে।
কভু ছাড়তে বলোনা তোমাকে ।
একটা জীবন আমার, তোমাকেই দিয়েছি
কান্নার ঝরনা কে বুকে ধরে রেখেছি ।
এক নদী বেদনা যদি, তুলে দিতে চাও
সাগরের সব জল, দু চোখে ভরে দাও।
তবু ভুলতে বলোনা আমাকে।
কভু ভুলতে বলোনা আমাকে।


গান।
তোমাকে ফিরে যেতে
বলবোনা আমি
বলবোনা থেকে যাও
তুমি খুব দামি
বলবোনা আমি।
বলবোনা আমি ।


নিজের জীবন
নিজ হাতে সাজালে
হিসেব মিলিয়ে দেখো
কি পেলে কি হারালে।
কিছু বলবোনা আমি
কিছু বলবোনা আমি।

পেয়েছো কি তা
যা ফেলে গিয়েছিলে
মিলিয়ে দেখো তো
মিলে কিনা মিলে
কিছু বলবোনা আমি
কিছু বলবোনা আমি।


গান ।
সারাদিন কেটে যায় তোমাকে ভেবেই
দেউলিয়া হয়ে গেছি একটু দেখেই ।
কি আছে জীবনে আমার..................
কি আছে আখেরে আমার ।

উন্মাদ হয়ে গেছি একটু ছুঁয়েই
তুমিময় এ জীবন তোমাকে ঘিরেই ।
কি আছে জীবনে আমার..................
কি আছে আখেরে আমার ।
হৃদয়ে বসে আছো, তুমি রক্তে মিশে গেছো
আমাকে আমার থেকে, ছিনতাই করেছো ।
কি আছে জীবনে আমার........................
কি আছে আখেরে আমার ।

ছোঁয়া ।
তোমার একটু ছোঁয়া পেলে আস্ত জেগে যাই
ঐ পদ্ম দিঘি চোখে অবাক হয়ে তাকাই ।
আমি স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন আকি নতুন জীবনের
তোমার ছোঁয়া খবর দিলো আগামি দিনের।


আমাকে নিয়ে আর
স্বপ্ন দেখোনা
চাইলে ও ফিরে আর
আমাকে পাবেনা
ফিরে আসবো না আমি
আর কোনদিন
আর কোনদিন আমি
ফিরে আসবো না।

খোদার কসম খেয়ে রাখছি জানিয়ে
শুনে রাখো বলছিনা ইনিয়ে বিনিয়ে
জেনে যাও তোমাকে নেই প্রয়োজন
তুমি ছাড়া সুন্দর, আমার জীবন।
(অসমাপ্ত)


যদি মনে পড়ে যায় কভু
আমাকে তোমার
কোন ভরা পুর্ণিমাতে
জোনাকির ভিড়ে খুঁজে নিও....
অথবা কোন
লাল গোলাপের কাছে
আমার গন্ধ
খুঁজে পাবে প্রিয় ।
মাধুকরী ভুলে যেওনা
আমিতো ছিলাম
তোমার আকাংক্ষা ছোঁয়া
বদ্ধ মাতাল এক হাওয়া .....
কুয়াশার ভোরে
শিউলিরর ঘ্রানে মাখা
শিশির ভেজা মুখ
নিত্ত সুখের আসা যাওয়া ।
শত নদী ছুঁতে চায়
সাগরের বুক
আমাকে ছুঁয়ে যদি
পাও কোন সুখ
তবে খুঁজে নিও আমাকে
বৃষ্টি ফোটায়
সুখ জল হবো তোমার
চোখের পাতায় ।


 ভাষা।

চোখের ভাষা বলে
তুমি আমার হয়ে গেছো
সত্যি কিনা বলো
নাকি মিথ্যে বুঝিয়েছো ।



গান।

কতো দুরে গেলে তারে
দুরে যাওয়া বলে
কতো পথ পার হলে
পথ চলা বলে
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া
পথ চলা কাকে বলে ?

জীবন মানেইতো
অবিরাম পথ চলা
এ চলা ক্রমাগত
তোমার দিকে
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া
পথ চলা
কাকে বলে ?
চোখের আড়ালে গেলে
মনে রয়ে যাও
এ বুকে বসে আছো
কি করে হারাও
জানো কি তুমি
জানো কি তুমি
দুরে যাওয়া
পথ চলা কাকে বলে ?


বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

সরল অংক গরল জীবন ।

সরল অংক ।

বুকের ফয়েলে যতো বাঁক ছিলো
যতো উষ্ণতা ছিলো ভাঁজে ভাঁজে
ভয়ের ভালুক বন ছাড়ার আগে
উদ্ববাস্ত হলো মনবাড়ী ফেলে !

মাখন মুখে তাজা অমায়িক পাপ
সেও এক রাজকীয় অভিশাপ !
খল ছল তির তির কামে ঘামে
এতোটুকু মানুষে কতোটুকু মাটি !
প্রৌর বর্ষায় শাপের সাঁতার
ঢেউ তোলে বিশ্বাসের জমানো জলে !
স্নেহ প্রীতি ভালবাসার দায়ভার ভুলে
তুলে দেয় সীমান্ত কাঁটা তার !
শুধু ভুলে যাও তুমি
সঠিক হিসাব রাখে ভোরের শালিক ।


অপেক্ষা করিম ।

আর কতো , পুরনো ভাঙ্গা হ্যারিকেন সলতে হবো !
দুর্গন্ধময় বিজল পড়া কেরোসিন দাহ্য প্রাণে হবো
আনন্দ ফানুস !
আর কতো কতো সার্কাস ক্লাউন
এচিয়ে পেঁচিয়ে কাদা মাটি কেঁচো হবো !
যাত্রার প্রিন্সেস, আগুনের মঞ্চে নেচে
তাহাদের আনন্দ উৎস হবো !
কতো
কতো
অভিজিৎ, হুমায়ূন আজাদ
অবাক দৃশ্য নিয়ে ফিরে যাবো
অপুর্ণ আকাঙ্ক্ষা !
কতো কাল
কতো কাল
মুক্তির পরীক্ষা দেবো
সোল কোটি অপেক্ষা করিম !


মন ব্যাপারী ।

আমি রং এর কারবারি
কভু ব্যবসা করিনা।
রং হারা মন রাংগিয়ে দিতে
মুল্য ধরিনা।
হতচ্ছারা মনের খবর
কেউ যদি না রাখে।
আমি রাখি ; দৃস্টি আমার
মনের বাঁকে বাঁকে ।
রং এর কৌটা তোলা আছে
তুলিটাও সাথে।
ইচ্ছে ছবি একে নিও
সকাল সন্ধ্যা রাতে।



অভিজিৎ
বিশ্বাস করো অভিজিৎ
ওরা মানুষ ছিলনা
যারা হাত ঘরির সাথে মিলিয়ে
তোমার মৃত্যু যন্ত্রনায়
ইলিশের তিন লাফ গুনছিলো
তারা ছিল শিখণ্ডী শূয়র ।

পথ নাটকের দৃশ্য ভেবে
যারা অপেক্ষায় উদগ্রীব
উৎকৃষ্ট অধম ছিলো তারাও।
না, অভিজিৎ না
ওরা মানুষ ছিলো না।
মৃত্যু- ইতিহাস হলে মোছা যায় না
এখন অভিধানে, অভিজিৎ মানে ইতিহাস।
কি করে মুছবে তোমাকে ?
তুমি জেনে যাও অভিজিৎ
ওরা মানুষ ছিলনা কখনো ।
অথচ কি আশ্চর্য দেখো
নির্জন পথের বৈরিতায়
যে কোন নাফিদা হোঁচট খেলেই
গোপন কামের স্পর্শ প্রতিযোগিতায়
সোল, ষাঠ মমতায় একাকার !
আল্লাহর কসম, অভিজিৎ
ওরা মানুষ ছিলোনা কোনদিন ।


অমরত্ব নেবো ।

একটু শুধু দেখা
একটা জীবন
সকাল সন্ধা
নিয়ম করে
তাকেই মনে রাখা ।

একটু খানি কথা
চোস কাগজে
চুসে নিলো
বুকের সকল ব্যাথা ।
একটু পাশে বসা
কথার গোলা
খুলে দিয়ে
উড়াই ভালোবাসা
একটু ছুঁয়ে দেয়া
সেই মদিরায়
ভাসতে থাকুক
প্রেমের উদাম খেয়া ।
এক ফোটা জলে সমুদ্র স্নান
এক ফোটা জলে
অমরত্ব নেবো, যদি কেউ
তোমার পাগল বলে ।


মৃত্যু ।

আমাকে ফিরে যেতে বলোনা
সে পথ বন্ধ হয়েছে জেনো।
অবিরাম সন্মুখে যাবো আমি।
যতক্ষন না তোমাকে ছুঁতে পাবো।

যেতে যেতে
যেতে যেতে
যেতে যেতে
একদিন আমি, তুমি হয়ে যাবো।