কি অদ্ভুত এই দেশ ! অদ্ভুতেরও অধিক অদ্ভুত এই দেশের মানুষের আচরণ ।
নুন্যতম যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রচারের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে
যত্রতত্র যায়গা করে
নেয়ার ইঁদুর দৌড়ে ব্যাতি ব্যস্ত করে রাখে লোকালয় ।
অন্যকে বিরক্ত করে হলেও
নিজের ঝান্ডা উরিয়ে রাখতে হবে !
এরা যোগ্যোতার স্বীকৃতি আদায়ে ভার্চুয়াল
সন্ত্রাসে নিষ্ঠুর !
এদের সমালোচনা করা যাবে না , শুধু পছন্দের টিপসই দিয়ে
যেতে হবে !
নয়তো শব্দধোলাই শুরু ।
এ ধোলাই শুরু হবে একা , পড়ে যোগ হবে
তোষামোদি তেলাপোকা দল !
একবার ও কেউ ভাবছি না , শান্তির ছাউনি থেকে ক্রমে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছি !
দূরে সরে যাচ্ছি ! দূরে সরে যাচ্ছি !
জ্ঞ্যান ও বিনয়ের মিশেলে যে মোহনীয় মুখশ্রী তৈরী হয় , তা দর্শনে অন্তরের
শেষ প্রান্তে মুগ্ধতার এক ঝিরি ঝর্না বয়ে যায় ,আমি সেই অনিন্দ মুখের অনুবাদ
করার ক্ষীণ চেষ্টা করেছিলাম গত স্ট্যাটাসে, স্বল্প শব্দের অল্প কথায় ।
স্বজন সুজন বহুজন তাঁদের ভালোলাগার টিপসহি আর প্রাণবন্ত মন্তব্য দিয়ে
উৎসাহের খেয়ায় ভাসিয়ে আমাকে বেঁধেছেন কৃতজ্ঞতার অদৃশ্য নাইলন গিঁটে । এই
নাদান তাঁদের ভালোবাসার স্নেহ-শ্রদ্ধামূলে নতজানু ।
এই লেখাটি একটি উপন্যাসের আকার নিতে পারতো , গল্পের বরফ ফোটায় ফোটায় গলিয়ে পরিমান মত
ো নিমক গুর ঝাল টক এর সমবায়ে একটা নতুন স্বাদ দেয়া যেতো , তবু ঐ পথে যাবো না আমি । ও পথ আমার নয় ।
ফে-সদস্য হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নর নারী নির্বিশেষে যতো বন্ধু পেয়েছি
তাদের কাছ থেকে পাওয়া অনিন্দ আনন্দময় ভালোবাসার বিশ্বাসী পাটাতনে
বুকের
বোতাম খোলা সময়
নিদাঘ দাহে বিনয়ের সুশীতল ছায়া-প্রশ্রয়ে ক্লান্তি বিয়োগের
স্বস্তি
ঘৃনার ধারালো শব্দ ছুরির নিঠুর আঘাত
কৌশলী আন্তরিকতায় কাব্যিক
প্রতারনার চান্দ্রিক রুপোশ্রী
পাওয়া না পাওয়ার ঝাঁঝালো ফোঁড়ন
সযত্নে
অযত্ন করন
অহংকারের ঘনস্বভাবে দুঃখ বিলাশ আর গীবতের বহুমাত্রিক রাগ
সঙ্গীতে বুঁদ হয়ে অন্যের একাউন্ট হ্যাকের যাচ্ছে-তাই মানসিকতার দুর্গন্ধময়
কদর্য মুখের নিপুণ স্কেচ আঁকার এক ধারাবাহিক চেস্টা থাকবে আমার এই লেখায় ,
তবে সঠিক কোন নামে নয় , ফেবু-আইডি , ঠিকানা বা ছবি ব্যাবহার করে নয় , সকলকে নিরাপদ রেখেই এই লিখা । এ
লেখায় সকলেই নিরাপদ ।
আজকাল মেয়েরা জুতা বা স্যান্ডাল এর ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন
...ভাবখানা এমন যে, ফেসবুকের সকলকে তিনি জুতা দিয়ে বা দেখিয়ে ধন্য করার পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন !
অচিরেই
দেখা যাবে তেনারা তাদের দোতালা কিংবা নীচ তালার "দ্বিতীয় পত্রের" ছবি ও মাপ
দিয়ে স্ট্যাটাস দেবেন " তোরা দেখে যা আমি আর কি, কি পড়ি...............
আর
বেডারা...? হেরা তো মাইয়াগো থন আরো তিন কাডি বেশী সরষ ।
মদের বোতলের
ছবি । বোতলের ভিতরে বোতল মার্কা মাইয়া মানুষের কাপড় ছাড়া ছবি । পাছফুতে বিছা লাগাইন্না ছবি । দুপুরে কি কি খাইছে বাডি বরা হেই তরকারির
ছবি । আর কিছু কিছু বেডাগোতো মনে অয় হেইডা নাই ! নাই !! নাই!!! পরিচয় দিতে
সরমায় মাই
য়া মানুষ সাইজ্যা যা মন চায়......... ! হেতাগো পেইছবুকে পেইছ নাই! হেইতারা হেঁচার মতন ডার্কে
থায় !
মনে অয় পেইছবুকের রইদে হেতার স্কীন অমাবইশ্যার ঘোর কালা ওই যাইবো!
ইয়াল্লাই
ব্লাইন্ডে থাই কল কাঁডি লাড়ে !!
আমি পঁচিশের তারুণ্যে বসে আধ্যাত্তিক গান গাই............
সব সেয়ানের হল মেলা ফেইছবুকে এসে...তোরা কেউ দিসনে সারা অবশেষে ।
একদল আছেন যারা আইডি'তে প্রতিকি ছবি ব্যবহার করেন এবং অসাধারন কিছু লেখা
লিখেন যা পড়ে প্রতিদিনই কিছুনা কিছু শিখা যায়, জানা যায়, ভাবনার জগতকে নাড়িয়ে দিয়ে যায় ।
তাদের আন্তরিক
অভিনন্দন । তাদের প্রতি অনুরোধের বিনয়ী দরখাস্ত...প্লীজ, নিজের ছবি দিয়ে
প্রকাশ্যে আসুন । অগুনিত বন্ধুর আস্থা ও ভালবাসা গ্রহন করুন ।
মোজাটা মাত্র দুই হাত দিয়ে মেলে ধরেছে ডান পা'টা গলিয়ে
দেবো ভিতরে । ইতিমধ্যে ডান পা'টা তুলেও ধরেছে হা করা মোজার মুখের সামনে।
এমন সময় টেবিল ঘড়িটার দিকে চোখ গেলো ! উফ গত কয়েকদিন হলো ঘন্টার
কাটা'টাকে ১২ টার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছে 'তিতু' । আর সেকেন্ড এর কাটাটি এক
সেকেন্ডের ঘর ছেড়ে একবার সামনে আর একবার পিছনে করছে। তিতু বুঝতে পারছে এটুকুও থিথু হয়ে যাবে যে কোন সময় । দম ফুরিয়ে যাচ্ছে । ব্যাটারি পাল্টাবো
পাল্টাবো করে প্রতিদিনই ভুলে যায় ফেরার সময় । ঘরির কাটা হঠাৎ ১২ টার ঘরে
এসে থেমে যাওয়াটা খারাপ কোন কিছুর ইঙ্গিত
বহন করছে নাতো ? ঘরির সাথে তার আর দেশেরও ১২ টা বেজে গেলোনাতো ! সে বরাবরই একজন পজিটিভ মনস্ক মানুষ, ফলে শরীরে হালকা একটা ঝাকুনি তুলে মোজা পরা শেষ করে
উঠে দাঁড়ায় তিতু ।
প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে ফেস বুকে একটা করে নতুন
স্ট্যাটাস দিয়ে যা্য । ঘুম থেকে উঠেই আগে ল্যাপটপ টা অন করে দেয় । বসে পড়লো টেবিলে অন করা ল্যাপটপ এর সামনে । লগ ইন করে দেখে গত রাতের দেয়া
স্ট্যাটাস এ হিউজ লাইক জমা পড়েছে । এই লাইক দেয়া বিষয় টি নিয়ে সে অল মোস্ট
প্রতিদিনই ভাবে । ইদানিং তার এই ফেইসবুক বিষয়ের ভাবনা গুলো বিশ্বাসে পরিনত হচ্ছে ।
কেউ কেউ মনে হয় না বুঝেই লাইক দিয়ে তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ।
নইলে "গতকাল আমার বাবা মারা গেছেন" অথবা "এখন আমার ভিষন রকম কাঁদতে ইচ্ছে
করছে" এই জাতীয় স্ট্যাটাসে শত শত লাইক জমা হচ্ছে ! প্রার্থনা বা দুঃখ প্রকাশ না করে আপনার বন্ধুরা দল বেধে ঝাকে ঝাকে আপনার চুড়ান্ত কস্টের সময় টাকে লাইক দিয়ে জানান দিচ্ছে ' আমরা তোমার বর্তমান সময়টাকে খুব পছন্দ করেছি ' !
যারা বিশ্বাষ করে
পুর্ব পুরুষ বানর ছিল এবং লেজ এর শেষাংশ খোয়াতে খোয়াতে তিনি এই ডিজিটাল যুগের সিডিউল পেয়ে হাজির হয়েছেন তাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ভাবে এই ফেইসবুক একটা অভয়-ভুমি মেলে ধরেছে । কেউ কেউ আমার মতোই গাধার উত্তর শুরী হয়ে এ দেশে এসেছে বলে আমার ধারনা ।
ফেস-বুকের এই ওলট পালট লাইক দেওয়ার বহর দেখে এই ধারনা ইদানিং আরো বেশী
স্ট্রং হচ্ছে । তাদের ধারনা যে কোন লেখাতে লাইক দেয়াটা বুঝি স্মার্টনেস এর
আওতায় পড়ে । অতি স্মার্টগণ সানগ্লাস দিনেও পরেন । রাতেও ।
আবার কারো কারো মন্তব্য, স্ট্যাটাসটিকে আরো অর্থবহ করে তোলে,
বহু মাত্রায় নিয়ে যায় ।
"তাঁর সাথে আমাদের জান্নাতে দেখা হউক, আমীন" কিংবা
"ভাল করে কেঁদে নাও,আনন্দ সুনামি হয়ে আসছে ভাসিয়ে নিতে" ।
মৃতের সাথে নিজের
জন্যও জান্নাত প্রাপ্তির আগাম প্রার্থণা অভিনব এবং অনুসরন করার মতো । অন্যটি , ভরপুর প্রাণে সম্ভাবনার আশায় বুক
বেঁধে বর্তমান খারাপ সময়কে বীরের মতো মোকাবেলা করার সাহস যুগিয়ে দেয় । এই সকল লেখা পড়লে শরীর মন ফুর
ফুরে লাগে , হালকা হয়ে যায় । বিশ্বাসের গাঁথুনি আরো সবল হয় । তখন ভাল কিছুর
জন্য অপেক্ষ্যা করতে সত্যি সত্যি ভাল লাগে ।
সময় নেই । এখুনি বেরুতে
হবে । অফিসের গাড়ী চলে এসেছে । হর্ন বাজাচ্ছে । তখনো ওর মাথা থেকে ঘড়ির
কাঁটা নামেনি । তাড়া তাড়ি করে আজকের স্ট্যাটাস দিয়ে বের হয়ে গেলো 'তিতু' ।
" ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে....................................?
(ক্রমশ )
জ্ঞ্যান ও বিনয়ের মিশেলে যে মোহনীয় মুখশ্রী তৈরী হয়
তা দর্শনে অন্তরের
শেষ প্রান্তে মুগ্ধতার এক ঝিরি ঝর্না বয়ে যায়
আমি সেই অনিন্দ মুখের
অনুবাদ করার ক্ষীণ চেষ্টা করেছিলাম গত স্ট্যাটাসে
স্বল্প শব্দের অল্প কথায়
।
স্বজন সুজন বহুজন তাঁদের ভালোলাগার টিপসহি
আর প্রাণবন্ত মন্তব্য দিয়ে
উৎসাহের খেয়ায় ভাসিয়ে
আমাকে বেঁধেছেন কৃতজ্ঞতার অদৃশ্য নাইলন গিঁটে ।
এই
নাদান তাঁদের ভালোবাসার স্নেহ-শ্রদ্ধামূলে নতজানু ।
এই লেখাটি একটি উপন্যাসের আকার নিতে পারতো
গল্পের বরফ ফোটায় ফোটায় গলিয়ে পরিমান মতো
নিমক গুর ঝাল টক এর সমবায়ে একটা নতুন স্বাদ দেয়া যেতো
তবু ঐ পথে যাবো না আমি । ও পথ আমার নয় ।
ফেবু - সদস্য হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নর নারী নির্বিশেষে যতো বন্ধু পেয়েছি
তাদের কাছ থেকে পাওয়া অনিন্দ-আনন্দময় ভালোবাসার বিশ্বাসী পাটাতনে বুকের
বোতাম খোলা সময় । নিদাঘ দাহে বিনয়ের সুশীতল ছায়া-প্রশ্রয়ে ক্লান্তি বিয়োগের
স্বস্তি
ঘৃনার ধারালো শব্দ ছুরির নিঠুর আঘাত
কৌশলী আন্তরিকতায় কাব্যিক
প্রতারনার চান্দ্রিক রুপোশ্রী
পাওয়া না পাওয়ার ঝাঁঝালো ফোঁড়ন , সযত্নে
অযত্ন করন
অহংকারের ঘন স্বভাবে দুঃখ বিলাশ আর গীবতের বহুমাত্রিক রাগ
সঙ্গীতে বুঁদ হয়ে অন্যের একাউন্ট হ্যাকের যাচ্ছে-তাই মানসিকতার দুর্গন্ধময়
কদর্য মুখের নিপুণ স্কেচ আঁকার এক ধারাবাহিক চেস্টা থাকবে আমার এই লেখায় ।
তবে সঠিক কোন নামে নয়
ফেবু-আইডি বা ছবি ব্যাবহার করে নয় ।
এ
লেখায় সকলেই নিরাপদ ।