ছড়া গান কবিতা

গান ।
মেঘ ডাকলেই বৃস্টি হবে
এমনতো কোন কথা নেই ।
কাঁদলে চোখের জল পড়বেই
এমনওতো কোন কথা নেই ।

ভালোবাসলেই ভালোবাসা হবে
এমনতো কোন কথা নেই ।
দুরে গেলে প্রেম মরবেই
এমনওতো কোন কথা নেই ।
চাঁদ ডুবলেই জ্যোতস্না হারাবে
এমনতো কোন কথা নেই
দুরে থাকলেও বুকে থেকে যাবে
শোন, মেয়ে বলছি তোমাকেই ।

২।
গান । (মুখ)
সুখের বায়না ধরে একমুখী বসে আছো
এক তিল দু:খ নিতে চাওনা ।
তুমি জানোনা...
তুমি জানোনা...
দু:খ ছাড়া খাটি মানুষ হয়না ।

৩। ছেলে)
এই সন্ধ্যায়
ঝিরি ঝিরি হাওয়ায়
প্রেমের বোতাম খুলি চলো
ঝিলিমিলি তারাদের পাহারায় ।

(মেয়ে)
স্তব্ধ পাহাড় ছেড়ে , ওপারে
কে শঙ্খ বাজায় এই সন্ধ্যায়
চলো বুকের বোতাম খুলি সেখানে
ভেজা শিশিরের ঘন পাহারায় ।
(ছেলে মেয়ে এক সাথে)
আজ দুজনায়
পরাগ ফোটা এই সন্ধ্যায়
চলো খুলে বলি সত্যভাষণে
তুমি ছাড়া আমি অসহায় ।

৪।
গান । ( মুখ)
একদিন তোমাকে ফিরে পাবো
এই কথা আজ ভাবিনাতো আর ।
বলবোনা ফিরে এসো এ বুকে
খোলা আছে মনের দুয়ার ।
৫।
 তুমি কষ্ট দিলে আমি কষ্ট পাই
কোথাও নস্ট হতে যাইনি ।
আমি প্রেম দিয়ে প্রেম পেতে চাই
এক নদী প্রেম পাইনি ।
৬।
নিজের ভাবনা জল টলটল স্বচ্ছ হলে
অন্যকে সন্দেহ করার সময় বেচে যায় ।
সন্দেহে ব্যয়িত সময় খিটখিটে অস্থির
মুল্যবান সময় হায় নিজ হাতে মরে যায় !
৭।
রিয়তমা,
আজ তুমিও মা।
নিজ মাকে
মনে রেখে
কেনো ভোলো
অন্যের মাকে !

মা, মাগো মা, তোমায় ছাড়া মুহুর্ত বাঁচিনা ।
৮।
তুমি একটু ছুঁয়ে দিলেই
আমি ডানা মেলে উড়ি
তুমি একটু বুকে নিলেই
আমি গলে গলে পরি ।

বলো, কি আছে তোমার হাতে,কি রেখেছো বুকে ?
৯।
(১)
যেতে চাইলে একটু দূরে
টেনে ধরো তুমি
টানের ভারে কাছে এলে
দূরে সরো, ধু ধু মরুভুমি !

(২)
দূরে যাবো যতোই করি পণ
যতোই ধরি অভিমানের গাড়ী
ছায়ার মতো থাকো সর্বক্ষন
তোমায় ছেড়ে আর কি যেতে পারি ?
(৩)
এবার আমি চলেই গেছি
যোজন যোজন দূরে
পারবেও না, আর পাবে না
দেহ-বাঁশীর সুরে ।
(৪)
মনের ঘরে দেহ , নাকি
দেহের ঘরে মন
কোন ঘরে কার বসত
কে কার মহাজন !
১০।
যদি বলো আমারই সব ভুল
যদি তোল অভিযোগের আংগুল
মেনে নিয়ে চুকিয়ে যাবো মাশুল
আমি বলি তুমিই গোলাপ ফুল ।

দায় কি তোমার একটু ও নেই
একটু ও নেই ভুল ?
মিষ্টি আমি উচ্ছে আমি
আমিই বুনো তেতুল ?
তোমার বাগান সুবাসে থাক ভরা
সারের মুল্য আমিই দেবো চড়া
মানছি আমার নখে চুলে ভুল
মেনেই নিলাম অভিযোগের শূল ।
এবার আমায় যেতে হবে সরে
কাছে থেকে দুরে বহু দুরে
একলা পথে, একলা আবার আমি
খানা-খন্দ, নিগ্রো অন্ধকারে ।
কোথায় কবে, কখন খেয়ে নুন
ভুলেই গেছো চিনির গুনাগুন
দাদরা তালে চড়িয়ে দিলে
তেওড়া তালের ধুন !
১১।
আমি চটি, তুমি মহাকাব্য ।
তুমি রামায়ন , আমি অস্রাব্য ।
১২।
কি বুঝলে আজ
বোঝার সাধ্য দিয়ে
মায়ের স্নেহ নিলাম
আমি ভালোবাসা দিয়ে ।

মায়ের অসুখ মায়ের অসুখ
তুমি ভেবেই নিদ্রা হারা
আর কেহ নেই, তুমিই শধু
তুমিই পাগল পারা ।
মা ধন কারো নয়তো একার
সবার উচিত তাকে দেখার
তুমিই শুধু দেখবে একা একা
উচিত কি নয় আমারও একটু দেখা ।
১৩।
আমি গরম তেলে ফোঁড়ন
তুমি শীতল বরফ চাকি
আমি উনুন বুকে নিয়ে
শীতল হাওয়া মাখি ।

আগুন বরফ খেলা-খেলি
ভিশন রকম পারি
বুকে, বিষের চাকু গেঁথে
থাকি ,অমৃত'দের বাড়ী ।
এতই ভাল পারি আমি
এতই ভালো পারি
তোমার বুকে থেকেও
আমি, দুরে থাকতে পারি ।
পারা পারির শক্তি নিয়ে
প্রশ্ন তুলোনা
পারতে চাইলে সবাই পারে
চেষ্টা করেনা ।
১৪।
.........

(১)
কাকে আর চালাকে, এক নায় ।
কেউ দেখেনি, থাকে সান্তনায় ।
উভয়ে চোখ বন্ধ করে, লুকায় ।
তাবৎ বোকারা সবই দেখতে পায় ।
(২)
জটিল যতোটা প্রকাশ্যে থাকে
তার'চে বেশী আড়ালে
যোজন দুরত্ব কথার ফাঁকেফাঁকে
বোধগম্য হয় জড়ালে ।
(৩)
মিথ্যা শুধু অন্ধকার গড়ে
সত্যের বুকে আলো
সত্যতে কেবলই মুক্তো ঝরে
মিথ্যার মুখ কালো ।
(৪)
লুকালেই লুকানোর ইচ্ছা বাড়ে
সারাক্ষণ লুকাতে চায়
কি করে বুঝাই তাহারে আমি
কৃতিত্ব নাই মিথ্যায় ।
(৫)
শ্বাপদ সমবায় শুধু বাশ ঝাড়ে
একেবেঁকে থাকে মাটির গভীরে
দুধে দুধে কেবলই বিষ বাড়ে
ছাড়েনা শ্বাপ পোয়াতি গাভিরে ।
(৬)
ভালোবাসা লাল গোলাপ ফুল
বুক জুড়ে কীটের হুলুস্থুল
প্রেমের ঘরে বাজে কামের বীণা
কাম শেষে প্রেম শেষ ! বাড়ে ঘৃনা ।
(৭)
প্রকৃতি সুনসান বাড়ে কাম
ভালোবাসা বইয়ের পাতায়
প্রেমই প্রকৃতির প্রকৃত নাম
ভালোবাসা মরে বন্য যাতায় ।
(৮)
সন্দেহে, প্রাণ বাঁচে ধুকে ধুকে
ভালোবাসা বাঁচেনা
বিশ্বাসের দ্যুতিময় চোখে
সন্দেহ নাচেনা ।
(৯)
ভালোবেসে শুধু উজাড় দিয়েছি
লুজার হইনি মোটেও
যা পেয়েছো, সেরা দিয়েছি
কোথাও পাবেনা, যদি জোটেও ।
(১০)
দেয়ার আগেই গুটিয়ে নিয়েছো
তুমি দেবে কি ছাই
কি প্রেম আমি চেয়েছি জীবনে
তুমি আজও বোঝ নাই ।
(১১)
জল শ্বামুকের গুটি গুটি পায়ে
হেটেছো কিনার ধরে
প্রেমের শ্যাওলা খেয়েছো শুধু
ময়লা জমেছে অন্তরে ।
(১২)
তালের আগে তিল খসলেই
রেগে, পুড়ে হও ছাই
দেখোতো কোথায় পাও কতোটুকু
মনে করো, আমি পাশে নাই ।
(১৩)
তিলের বদলে কিল পাবে শুধু
যেমনটা পেয়েছিলে আগে
বার বার শুধু দেখেছি তোমার
সেই ভয়টাই জাগে !
(১৪)
ভালোবাসা সব সয়ে নেয়
বিষ কিংবা অমৃত
প্রেমের মরায় মরেনা প্রেমিক
রয়ে যায় জীবিত ।
(১৫)
প্রেমের সাঁতার শিখো একবার
প্রেমের বন্যা হলে
শিখোনা প্রেম গোপন ব্যথায়
রাগ,ক্ষোভ, সন্দেহের অনলে ।
(১৬)
যেতে যেতে যেতে
বহু দুরে গেছো
আদৌ কি তার
কিছুটা বুঝেছো ?
(১৭)
কি খোজ তুমি
এখানে সেখানে ?
সবই তো রয়েছে
তোমার উঠোনে !
(১৮)
এই নাও
যা ছিলো
তোমাকেই দিলাম সব
এইবার
পুড়ে পুড়ে
করো আনন্দ উৎসব ।
১৯।
(১)
বুকের তীর বুকেই থাকুক
টেনে তুলবো না ।
সুখের চেয়ে অনেক প্রিয়
বিরহ যন্ত্রনা ।

(২)
এতো চিৎকার
ভালোবেসে করি
তোমাতেই বাচি
তোমাতেই মরি ।
(৩)
আমার ভালোবাসার ধরন গড়ন
বুঝতে পারো না ।
হাসতে হাসতে চলে যাবো
টের ও পাবে না ।

২০।

প্রিয় লালবাগ
তুমি কি তাহাকে মনে রাখিয়াছো
ধরিয়া রাখিয়াছো বুকে ?
জানো কি সে কোথায় আছে
কাহার সাথে বা কেমন আছে
আছে কতো সুখে ?

(২)
এক গুলিতে কয়টা মারো
কয়টা পড়ে , কয়টা ধরো
কয়টা ভরো ব্যাগে ?
এজমালিতে শীকার করে
কয়টা পাওগো ভাগে ?
(৩)
প্রিয় নীলক্ষেত
প্রিয় গাউসিয়া
সে না এলে
বাঁচো কারে নিয়া ?
(৪)
ও মাওয়া ওই মাওয়া
তুমিও কি মিস করো তারে ?
প্রায়শই আসিতো যে
মধ্যান্নে ইলিশ আহারে !

২১।
ঘরির ডাকে উঠি আমি
ঘরি দেখে ঘুমাই
মাঝে সাজে কিছু ঘুম
ভাড়া দিয়া খাই ! 
২২।
(১)
সহ্যতে বিরক্তি তোমার
ধৈর্যের সুতো যায় ছিঁড়ে
মেজাজের মিহিদানা তপ্ত
তোমাকে অনল থাকে ঘিরে ।

(২)
চিরতার তেতোতেও স্বাদ থাকে
আছে স্বাদ উচ্ছের ভাজিতে
তোমার মেজাজে কোন স্বাদ নেই
যদি ধরি জিতে যাবো বাজিতে ।
২৩।
১)
এতো দ্রুত ছিঁড়ে গেলে মেজাজের তার
কি করে সইবে তুমি জীবনের ভার ।
কি করে নেবে সখি প্রেমের ওজন
যন্ত্রনার ওপিঠে থাকে সুখের ভুবন ।

(২)
একতিল খোঁচা পেলে একতাল ভাবো
একতাল প্রেম পেয়ে একতিল ভাবো না
খোঁচা, গুতো কিল দেবো মিল দেবো
কোথাও ছেড়ে ছুড়ে যেতে দেবো না।
২৪।
ভুলেই গেছো দেশের কথা
বিক্রি করে কোটি মাথা
খাচ্ছো বেশ আয়েশে ।
ষোল কোটির গায়ের ঘাম
পোড় খাওয়া শুকনো চাম
খাচ্ছো চেটে দুধেল পায়েশে ।

ভুলেই গেছো আম জনতা
ক্ষেপে গেলে করবে যা তা
দড়ি ধরে হঠাৎ টানে
প্রতিবাদের কোরাস গানে
সব সুদ্ধ বেধে ছেদে
ঝুলিয়ে দেবে মাথা ।
ভুলেই গেছো দেশের কথা !
২৫।


ছেলে গুলো
একটু শুধু
দুষ্টু ছিলো
হঠাৎ যখন সুজোগ পেলো
হাতিয়ে দিলো
ভিড়ের ভিতর
জোয়ান গতর ।


এই টুকুতেই
এত্তো কথা !
লক্ষ টাকা দাম ধরেছো
ওদের মাথা !
তোমরা বাপু পারো মাইরি
নাম গুনে ভরছো ডাইরি ।

এমন যোগ্য হবার
সুজোগ কি আর
পাবে ওরা ফি বছর ?
হাতিয়ে দিতে
জোয়ান গতর ।

বাসায় কি আর, বোন অথবা মায়ের গায়
তোমরাই বলো, হাত দেয়া যায় ?
ওরা কি আর ততো বাজে
এমন কাজ কি ওদের সাজে ?
বোঝে শুধু আই জি পি সাব
খাপে খাপে আম্বিয়ার বাপ ।

মজায় মজায়
একটু না হয়
হাতিয়ে দিলো
জোয়ান গতর ।

আম জনতা
তোমরা কেন তা বোঝনা
ওরাই দেশের সোনার ছেলে
ওদের নিয়ে
আর বলোনা
আর বলোনা

 

মায়ের গান ।

গান ।
আমি পারবোনা সইতে, জানতে তুমি মা
তবু কেনো চলে গেলে আমাকে ফেলে
আজ একাকী...
বড় একাকী
তোমার ছেলে
চোখের জলে ।

তুমি নাই আজো তাই আমিটাও ভালো নাই
খা খা বুক জ্বলে মাগো , সুখ আজ বনসাই ।
আমি একাকী
বড় একাকী
তোমার ছেলে
চোখের জলে ।
পারো যদি ফিরে আসো, বুকে ফিরে আসো মা
তুমি ছাড়া বেচে থাকা আসলে তা বাচা না ।
আমি একাকী
বড় একাকী
তোমার ছেলে
চোখের জলে ।

গান ।

গান ।
আমি একবার, শুধু
একবার
পুনর্জন্ম নিতে চাই ।
সে জীবনে আমি
তোমাকেই
কাছে পেতে চাই ।
এতো বেশী সুখ
এতো বড় দু:খ
বলো , তুমি ছাড়া
কে দেবে আমায় !

ভালোবাসা সমুদ্র ,
আকাশ সমান
একে একে দিয়ে সব
কিনে নিলে প্রাণ ।
এতো প্রেম তুমি
ছাড়া কে দেবে আমায়
বেদনা অগ্নিগিরি ,
নরক সমান
পুড়ে পুড়ে মেরেছো
পাগলের জান ।
এ বেদনা তুমি ছাড়া
কে দেবে আমায় ।
আমি একবার, শুধু
একবার
পুনর্জন্ম নিতে চাই ।
সে জীবনে আমি
তোমাকেই
কাছে পেতে চাই ।
এতো বেশী সুখ
এতো বড় দু:খ
বলো , তুমি ছাড়া
কে দেবে আমায় !