বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭

দুইচার লাইন



চাঁদ কে নোটিশ দিয়েছি
অমাবশ্যার কাছে ফিরে যেতে।
আমার পৃথিবী উজ্জ্বল হবে
তোমার আলোয় মেতে।

আমার পুর্ণিমা এখন আর চাঁদের মধ্যে নেই।
আমার সকল আলো তোমার আলোতেই।

মনের বয়স আসল বয়স
বছরে যায় আসেনা,
দিনেদিনে, দিন বাড়ে
বয়স বাড়েনা,
এমন মানুষ একবার মরে
প্রতিদিন মরেনা।

আমার পুর্ণিমা এখন আর চাঁদের মধ্যে নেই।
আমার সকল আলো তোমার আলোতেই।
এই মৌসুমে ভালোবাসার বন্যা হবে দেখো।
প্রেমের বানে ডুবতে পারো খুব সাবধানে থেকো।
থোরাই কেয়ার করি তারে
থোরাই কেয়ার করি?
কথায় যদি দোষ থাকেও
কেন বলবো সরি?
থোরাই কেয়ার করি তারে থোরাই কেয়ার করি?
না হয় একটু বেশীই জানে
তাই বলে কি ধরে কানে!
শিখিয়ে দিতে হবে?
আমার ও তো সময় অনেক দামি
তার কাছে কি শিখতে গেছি আমি?
বলতে পারবে কবে?
থোড়াই কেয়ার করি তারে থোড়াই কেয়ার করি?

ভরা চাঁদ তোকে কুর্ণিশ করবে 
আমার প্রেয়সী বলে।
চাঁদের বুড়ী হিংসায় মরবে
ভাসবে চোখের জলে।

যত পারো খুলে দাও ঝিনুকের মুখ
আমি খুললে কুয়াশার মতো ঝড়ে যাবে
তোমার আগে অগুনিত ঝিনুক চুন হয়ে
বাড়িয়েছে পানের সোয়াদ।
বুক চিরে কলা গাছ থরে থরে থোর দেয়
তুমি সেই মতে বুকে রাখো কলার স্বভাব
ছিঁড়ে খায় খুলে খায় বাদুড়ের দল
আমি পুষে রাখি পুরনো সোয়াদ।
গাছ থেকে ছিঁড়ে নিলে ফল লাবণ্য হারায়
দলেদলে মাছিরা মরা মাছ ঘেটে উড়ে এসে
তোমাকে ছোঁয়, তুমি বিবর্ণ ফল হয়ে যাও
আমি ধরে রাখি পুরনো সোয়াদ।

তোমাকে সব কিছু খুলে বলতে চেয়েছিলাম।
জমে থাকা আহত কথারা নির্ভরতার হাসপাতালে
শুশ্রূষা পায়নি বলে নিজেদের প্রকাশ করতে পারেনি।
আমি তোমাকেই সব খুলে বলতে চেয়েছিলাম।
অবশেষে জেনেছি এক জীবনে সব কথা বলা যায়না।

প্রেমের বাজার অদ্ভুত কিসিমের।
এতো ওঠানামা ! 
অথচ 
জীবন 
তিনদিনের ।

একদিন তোকে দেখে
পা থেমে গিয়েছিলো
দৃষ্টি হয়েছিলো স্থীর ।
বিকেল গেলো লাল
গামছাবাঁধা সন্ধ্যায়
রাত্রীটা স্বস্তির ।
মনে পড়ে মমতা, ক'বছর আগেও
আমার তিস্তা জলপোয়াতী ছিলো
তোমার এনাকোন্ডা স্বভাবে
শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেলো।

ছাই ছিলো
হয়তো স্বর্ণ ছিল সেখানে
ছড়িয়ো না বিষ্ঠার উপড়
ছিটিয়ো ফুলের বাগানে।

সুমন থাকেন কোলকাতাতে
লক্ষ কোটি প্রাণের শহর ।
জীবনের গানে ব্যস্ত কবীর
ঠগের পাতে দুধের নহর ।

হৃদয়ে বসেছিলে বৌদ্ধিক জোড়াসনে
ভাবনায় তুলে দিয়ে ঢেউ। 
সাত বছরের ধ্যানে ছিলে তুমি 
আর ছিলোনা কেউ।


তোমার শুণ্যতা ভোগাবে
এটাই স্বাভাবিক।
ভালোবেসে ফেলেছি
মন আমার পাললিক।

অদ্ভুত নেশা আছে প্রেমে 
এডিক্ট হয়ে গেছি। 
তোর ভালোবাসায় ডুবে
নিজেকেই ভুলে গেছি।


হৃদয়ে লেখা নাম
মুহুর্তেই ভুলে যাবো !
এ ও কি সম্বব ?
ভুল ভাবনা নিয়ে 
করছো তুমি
ভুলের উৎসব।

ওহে লোড শেডিং, চোখ বাঁধা গনতন্ত্রের দেশে 
তুমি দীর্ঘজীবী হলে ঘামের নদী সাঁতরে 
 রাজার অন্তর্বাস ভেসে উঠবে লোনাজলে।
ডুবন্ত প্রজারা তাই ধরে ভেসে থাকবে অনন্ত কাল !

তুমি পলিমাটি উর্বর
আমি অনুর্বরে খড়বিচালি
তোমার গ্রামের বাড়ী সরলরেখায়
আমার ঘরে কূটকচালি।

দু:খের দিনে সরে আছি কারণ আছে নিশ্চয়ই। 
দেখা হলে ব্যাখ্যা দেবো, দেবো তো অবশ্যই।

তোমার দু:খ কমে গেলে 
আমায় খবর দিও।
প্রিয় বন্ধু হবো
বন্ধু শুভেচ্ছা নিও।

তোমরা যারা ধর্ম মানো, মানুষ মানোনা।
মানুষের জন্য ধর্ম তৈরি, তাও কি জানোনা!
কথায় কথায় কতল করো, ধর্মের দোহাই দিয়ে।
গাজী হওয়ার লোভে বিভোর, মিথ্যে স্বপ্ন নিয়ে।
ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়, ধর্ম বড় না।
মানুষ ভজে মানুষ হও, খুনী হয়োনা।

আমার হাতের নখে তোমার ছবি
দশ আঙুলে দশটা!
 চোখ মেলে দেখি সেই ছবিতে
ভরে আছে দেশটা।

আজ বিকেল প্রশংসাকে দেখলাম
নিন্দাদের পাড়ার দিকে যাচ্ছে।
জমজ ফলের মতো ছিলাম দুজন
বিভাজনে ভেঙে দিলে সুখের জীবন।

এ ভাবে চলে যাবে একবার ও ভাবিনি
কিভাবে বাঁচবো গেলে বিকল্প রাখিনি।
ভালোবেসে একবার ভেঙেছে হৃদয়
ভালোবাসি শুনলেই মনে জাগে ভয়
বিরহের তন্দুর পুড়েছে এ মন
পুর্ণিমা হারিয়েছে আমার জীবন।

বৃষ্টির মরা জলে ডোবেনা।
আর করোনা ফোন
আছে তোমার মনে?
তুমি পষ্ট বলেছিলে
সেদিন টেলিফোনে।
গালে টোল পড়া হাসি
আমি বড্ড ভালোবাসি।
আমার চোখে জলতরঙ্গ।
তাতেই সাজে তোমার অংগ।
তোমার চোখে জলতরঙ্গ
আমার তাতে নিদ্রাভঙ্গ।

প্রেমে পড়ে কাঁদোনি!
তুমি ভালোবাসোনি।

তুমি থাকো সাত তলায়।
আমার ঘাড় বেকে যায়।

কবির মন শুধু উচাটন
ক্ষণে ঘরে ক্ষণে কাটাবন।
কবিকে ভালোবেসো না
দু:খ ছাড়া কিছু পাবেনা
কখন কাকে ভালোবাসে
কবি নিজেও জানেনা।

একার জীবন হরি ভজে।
দোকার জীবন ক্ষুৎ খোজে।

বুদ্ধিজীবীর চামড়া মোটা
যতো তারে দাওনা খোটা
কিছু যায় আসেনা তার।
খোঁচাখাঁচি যতোই পাক
ইটপাটকেল জুতা খাক
তবু যায়না মানের ভার।
বুদ্ধিজীবী,বুদ্ধিজীবী, মোটা চামড়া পেলে কই?
এতো গুঁতাগাঁতা খেয়ে, একটু ও নাই হই চই!
বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধিজীবী, তুমি নাকি বুদ্ধি চিবায় খাও!
শুনি,বুদ্ধি খরচ করে নাকি পরের ঘরে রাত কাটাও! 
বুদ্ধি তোমার রাখো কোথায়, বালিশে না পাতিলে?
কাকের বাসায় বাচ্চা ফোটে, তুমি নাকি তা দিলে!

বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি রাখো কই?
বুদ্ধির ভারে নুব্জ তুমি, ঘোল কে বল দই!


কবির দু'চোখ চতুর্দিকে ঘোরে
সে সবই দেখে কৃষ্ণ অন্ধকারে।
জলের উপর ধ্যান করে রয় মাছরাঙা
নিজের ডানায় ভর করে।
উদাসী মাছ উয়াস দিলে জলের ছাদে
পাখী ঠোঁটে গাথে খপ করে।

ঘুঘু শুধু দিনের বেলায় ডাকো
রাতে কেনো নয়।
সারাটা রাত নিষঙ্গতায় থাকি
দু'চোখ জেগে রয়।

খুলে দিলাম খাঁচার দুয়ার
এবার ডানা মেলো।
গিরিবাজ ডিগবাজী খাও
শুন্যের উপড় খেলো।

ভালোবাসা নিজ পথ খুঁজে নেয় নিজ প্রয়োজনে। 
কাছে এলে বসতে দিও, ফিরিও না অভিমানে।


আমার নিন্দা জানি, জনে জনে করে
সবার প্রতি সন্মান, আছে এ অন্তরে।

জগত জুড়ে জেনে গেছে আমার সকল ভন্ডামী।
মান সন্মান লুটিয়ে গেলো ছিলো যে খুব দামী।


এখানে তুমি ছাড়া অন্য কেউ নেই।
দুজনে বসে আছি ছুঁয়ে, কোন ঢেউ নেই।
তবে কি হারিয়েছি চাষের সময়
বীজতলা মরে গেছে খরায় !

তোমার ওড়না খানা
গুছিয়ে রাখো বুকে।
আড়চোখে নয়
দেখবে পাড়ার লোকে।
তারা দেখছে বলে
মন্দ বলবে।
তুমি নিজের ভিতর
নিজে জ্বলবে।
তার'চে বরং
সামলে চলো নিজে।
সন্মান তো নিজের কাছে
থাকে না তা ফ্রীজে।

জেবুন্নেসা হেলেন।
জীবন নেশা হেলেন।
মিষ্টি হাসি দিলেন।
আমার ভাবের ঘরে মশা ঢুইকা
কুট কইরা কামড়ায়।
আবল তাবল উগড়াইয়া দেই
পায়েশ ভাইব্বা খায়।
ফেসবুক এখন কবি মেকিং কারখানা
কাব্যের নামে অনেকে করে পায়খানা !
রিসেন্টলি আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাবো
ব্যাকরণে কি এমন হয়েছে ভুল?
রিসেন্টলি এয়ার টিকেট ও পাবো
আমার ব্যাকরণে মুগ্ধ পাঠক কুল।
কবিতা আমার যেনতেন কিছু নয়
ইহা ফেসবুকে প্রকাশিত।
জনা দশেক না বুজমান কয়,
তা মোটামুটি মীমাংসিত।
একটি গ্রন্থ মাত্র,তাতে কি হয়েছে শুনি?
পেয়ে যাবো সোনার ম্যাডেল।
কবিতার মুটে,মজুর টানে কাব্যের ঘানি
শব্দ শ্রমিক চালায় প্যাডেল।
তারা কচু জানে কবিতার, জানে শুধু ভান।
আমি জনপ্রিয় ফেবুকবি, কবিতা অন্ত প্রাণ।

বুঝস না কিছু
হুদাই তর্ক করছ। 
জোনাক পোকা
চাঁদ ভাইব্বা
উষ্ঠা খাইয়া মরছ।

মিষ্টার ষ্টুপিড
তুমি ততটা ষ্টুপিড নও
আস্ত একটা ইডিয়ট।
উচ্চতায় যতো লম্বাই হও
শুনে রাখো বেকুব
তুমি পচা গরুর ভাজা বট।

'গোল্ড লিফ' রে কছ গোল লিফ।
'ডেঞ্জারাস' রে ডেন্ডারাস।
আবার বাইর করছ কবিতার বই
পাঠকের তো পোঁদে বাঁশ।
ভান্ডে নাই ফোটা মধু
লম্ফেঝম্ফে এতো গরম!
ভাবের শইল্যে কাপড় কই
ইট্টু ও কি নাই শরম!
অজ্ঞানী তুই, তর্কের ফল
পাবিরে পাবি।
বিষ্ঠা দিয়া বিস্কুট বানাইয়া 
খাবিরে খাবি।
না বুঝে তর্ক করা
বদ-স্বভাব।
ডিব্বা পুরাই খালি
মগজের অভাব।




ঘরে
আমার কান বেয়ে ঘাম ঝরে।

 জামার বোতাম ভুল ঘরে
আমার কান বেয়ে ঘাম ঝরে
মালিক, আমারে দিও না শালিক।
দিলে কথা কওয়া ময়না দিও।
খাঁচায় থাকুক কিংবা গাছের ডালে
কন্ঠে তাহার সুরের ঝর্ণা দিও।
তোমার জামাড় বোতাম ভূল ঘরে
আমাড় কাণ বেয়ে ঘাম ঝরে ।

তুমি তুমি করে একদিন আমি, তুমি হয়ে যাবো।
দিনেদিনে কমে গেলে দিন, নিশ্চিত তুমি হয়ে যাবো।
বিনীতের জ্ঞান সুন্দর। 
জ্ঞান কুৎসিত,হিংস্রতায়।
নিষ্ঠুরতা প্রশ্রয় পেলে
জাতী নষ্ট সহিংসতায়।

তুই
চোখা চিক্কণ সোনামুখি সুই। 
ক্ষতবিক্ষত হবো জেনেও 
তোর বুকে মাথা পেতে শুই।

কাঠ ঠোকরা গাছেই থাকিস
বুকে খুঁটিস না।
বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে প্রিয়া
জাগিয়ে তুলিস না।

'হাজার বছর ধরে' কিংবা তারও অধিক অতিক্রম করে
তোমাকে দেখে যাবো, একবার দেখে যাবো এসে।
তারপর কালো চশমায় ঢেকে নেবো চোখ।
অন্ধের বনলতা পুইপাতা দুটোই সমান।
জীবনানন্দ, জীবনান্দ আমিও ঘুর পথে
আসবো ফিরে মৃত্যু মনোহর এর বাড়ী।

ভুল করে শিখেছি অনেক 
বই পড়ে যতনা।
তার'চে বেশী শিখেছি ঠকে
ভুল করে ততনা।

কলাপাতা তামাকপাতার পার্থক্য
 উত্তর দক্ষিণের মতো দূর।
যেমন দুরত্য আছে ডালে ও জলে, কঞ্চি ও বাঁশে।
 অমাবস্যা পূর্ণিমা ছাই আর খড়িতে।
জলের তরল দেহে কলাপাতার পানসে জীবন।
 ঢেউহীন, ঝড়হীন বিচ্যুত শিমুলের অলস ছোঁয়া।
তামাকপাতা মতিহার ঢেকুর তোলা ধকের জীবন
এলোমেলো মাতাল পায়ে অর্থের গরম।
আমাদের পার্থক্য উত্তর দক্ষিণের।
দুরতিক্রমণের বাহন ছিলো ভালোবাসা।
যুগ যুগ আগে,তাকেও মাড়িয়ে গেছে বনের শুকর।

কথার চিরতায় ফল ভালো
মিষ্টিতে ভুলোনা।
সমুদ্রমন্থনে অমৃত নিও
অতলে ডূবোনা।
সব শরীরে রক্ত বহে
সকল রক্ত লাল।
সহ্যতে কোমল কেহ
উষ্ণতায় বেসামাল।
ইমেইলে নয় ইমো কিংবা ভাইবারে নয়
যদি হাতের লেখা একটা চিঠি পেতাম।
দিব্বি করে বলছি সখি, বিশ্বাস করো
কোরবানী সুখে কতল হয়ে যেতাম।
কতো ভাবে ছাটা হলে, প্রেম ঢেঁকিছাটা হয়
সুত্রটা জেনে গেছি আমি। 
একমাত্র কবি দিতে পারেন 'ঢেঁকিছাটা প্রেম' 
আর পারেন অন্তর্যামী।

যুদ্ধ ছাড়া মিলেনা কিছুই
একটি সর্ষে দানাও না।
রণকৌশলে ভুল হলে
তুমি,ইঁদুর ছানাও না।

বোখাট্টা ঘুড়ি তুমি, নিজেকে কাটা সুতোয় জড়িয়ে
ঝুলে থাকা আকাশের কাছে খুঁজতে গেছো
বাতাসের জন্ম বৃত্তান্ত !
সাহারার বালুকণা, সাগরের ঢেউ
চরিত্রে ভিন্ন জেনেও দু'দিকে উড়ে গেছো 
ফরিং স্বভাবে ।
তুমি কাটা ঘুড়ী নীলিমায়।
তোমাকে বাজীতে হেরে
নাস্তিক নাটাই
কার হাতে
উল্টো হাওয়ায় খুলেছে
মাড় দেয়া দুর্বল সুতো !
ঘুড়ি তোমার চোখে জল ।

বাঘের থাবা সিংহের ঘাড়ে।
দেখি কে বাঁচাতে পারে। 
তারে কে বাঁচাতে পারে।

বাঘের থাবা সিংহের ঘাড়ে।
দেখি কে বাঁচাতে পারে। 
তারে কে বাঁচাতে পারে।
বাঘের থাবা সিংহের ঘাড়ে।
দেখি কে বাঁচাতে পারে। 
তারে কে বাঁচাতে পারে।
এমন হতো যদি
হঠাৎ করে ভরে যেতো
দেশের সকল নদী।
আমার তিস্তা জলপোয়াতি 
হতো যদি আবার।
সকল নদী হতো যদি
স্বচ্ছ জলাধার।
শস্য,ফলে,মাছে,ফুলে
দেশটা ভরে যেতো।
সোনার দেশের সকল দু:খ
হাওয়ার সংগী হতো।
আমার জল আমায় দেবে
কেন দিচ্ছো না!
ন্যাজ্য প্রাপ্য চাচ্ছি আমি
তোমার অংশ না ।
তুমি সিমার,তুমি চামার
ঋষি মুচির অধম।
কি করে সারাবে বলো
ষোলো কোটি জখম।
ও মেঘ তুমি যাচ্ছো কোথায়
সাত সকালে উড়ে?
ভিজবো সন্ধ্যায় নামো যদি
মুশলধারায় ঝরে।
আমি আছি সে ও আসবে
তুরান্ত ফিরো মেঘ।
আকাশ ভেঙে নামবে কিনা
হচ্ছে যে উদ্বেগ।
আজকে যদি না আসো আর
জনম আড়ি নেবো।
আমায় বৃষ্টি হতে হলেও আজ
প্রিয়াকে ভেজাবো।
ও মেঘ আমার আকাশ জুড়েই থাকো।
অপেক্ষাতে আছি,একটু নড়বো নাকো।

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬




পিঠা বাঙ্গালীদের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার । অগুনিত মজাদার ও সুস্বাদু পিঠার দেশ বাংলাদেশ ।এর রকম ভেদের অভাব নেই । এক সময় এই দেশের ঘরে ঘরে মেহমানদেরকে দুধেল , রসালো , ঝাল , নোনতা ও নকশী পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো । মানুষের জীবন যখন একান্নবর্তী সংসারের মায়াবী উঠোন ছেড়ে নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকলো , দরদিয়া মা খালাদের স্নেহ মমতা থেকে দূরে সরে গিয়ে দশ ফিট বাই দশ এর ছোট্ট রুমে বন্দী হয়ে গেলো তথাকথিত আধুনিক স্বাধীন জীবন ,তখন থেকেই হাজার বছরের ঐতিহ্য সুস্বাদু পিঠার স্বাদ ভুলতে সুরু করলাম আর পাশ্চ্যাত্যের অস্বাস্থ্যকর জাংকফুড, ফাস্টফুড নিয়ে মেতে উঠলাম । বহুবছর ধরেই বহুভাবে প্রমানিত হয়ে এসেছে যে ফাস্টফুড স্বাদে গ্রহনযোগ্য হলেও সুস্বাস্থ্যকর নয় ,খুব দ্রুত মেদ,ভুরি ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে যা পরবর্তীতে একজন মানুষের স্বাভাবিক চলাচল,কর্ম ক্ষমতা কমিয়ে প্রায় অথর্ব করে তোলে ।
অথচ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পিঠা পশ্চিমা ফাস্টফুডের সম্পুর্ন বিপরীত ।
'দরবার এ মানজুর' প্রায় হারিয়ে যাওয়া পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষে বাংলাদেশে প্রথম একটি পুর্নাংগ পিঠাঘর পরিচালনার সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে । যেখানে সারা বছর সব ধরনের পিঠা তৈরী হবে এবং পাওয়া যাবে । কি শীত, কি গ্রীস্ম ঋতুভেদের অপেক্ষায় থাকতে হবেনা আর । 
সারা বছর ঝাল, মিষ্টি, দুধেল, রসালো পিঠা, বিন্নি চাল ও কাউনের ক্ষীর, পায়েশ, কলাপাতার পাত-খিস্যা সহ বিভিন্ন স্বাদের পিঠা নিয়ে সাজানো থাকবে দরবার এ মানজুর।
লাল আটার রুটি, চালের রুটি, রুমালী রুটি বা চাপাতি রুটি, সবজি মিক্সড ত্রি-ডাল চাপটি, কালাই চাপ্টি, চাল-ডাল চাপ্টি,জালি বা ছিট পিঠা, সাদা চিতৈ, নারকেল চিতৈ,  খুদ-ভাত ।
যা দিয়ে এই গুলো খাবেন............ কোয়েল ভুনা, কবুতর ভুনা, পাতিহাঁস ভুনা, দশাল
হাস ভুনা, রাজহাঁস ভুনা দেশী মুরগী ভুনা, কক-মরগী ভুনা, ব্রয়লার ভুনা, গরু ভুনা,
চুই ঝালে খাশী ভুনা, টারকা ডাল, সাদা মিক্সড সবজি, খুদ- ভাতের জন্য থাকবে বহুপদী ভর্তা।
কোড়াল ,তেলাপিয়া ও ইলিশের বারবিকিউ । সেট মেন্যুতে থাকছে দেশীয় রেসিপিতে চিকেন ফ্রাইড রাইস, চিকেন কারী , ফিস কারী ,সাদা সবজী ও গ্রীন সালাদ ।
সারা বছর একমাত্র এখানেই পাবেন ওরিজনাল কলা পাতায় বানানো পাতক্ষিস্যায় তৈরী 'পাটি শাপটা' পিঠা , যে পাটি শাপটা পিঠা এখনো কোথাও বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাচ্ছেনা। মানিকগঞ্জের
বিখ্যাত হাজারী গুর , যশোর এর খাজুরার খেজুরের গুর ও ফরিদপুরের ঐতিহ্য বাহী পাটালী গুরের তৈরি দুধ চিতৈ,জাফরান মিক্সড দুধ চিতৈ। জাফরান মিক্সড হাতে ডলা দুধ সেমাই । দুধ পুলি।
মালপোয়া। নবাবী স্পঞ্জ। আউশের ক্ষীর। চিনিগুড়া পায়েশ সহ নানান রকমের মিষ্টি পিঠা পাবেন এই দরবারে। "পিঠা হউক লাঞ্চ-ডিনার , পিঠা হউক ডেজার্ট"
দরবার এ মানজুর মানেই "সারা বছর পিঠার বছর ।
কতো প্রকার চা পাবেন.......................?
দুধ জাফরান চা। দুধ মাসালা চা। তুলশী চা। পুদিনা চা। কাচা আমলকি চা। আস্ত ত্রিফলা চা। মাল্টি ভিটামিন চা। কি কি জুস পাবেন...............................?
বেল-তোকমা জুস। চিরতামধু। ওলটকোমল-ঘৃতকুমারী। কুশুম গরম কালোজিরা-রশুন-মধু জুস। কুশুম গরম লেবু-মধু-তুলশী-পুদিনা জুস। উচ্ছে-থানকুনি-মধু জুস।
মেথি-অর্জুন- মধু জুস সহ সব ধরনের সিজনাল ফলের জুস।
আইস্ক্রীম। টক ও মিষ্টি দৈ। নিজস্ব খামারের গরুর দুধে তৈরি মিষ্টি, বোতলজাত গরুর দুধ। ঘি।

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বর্গবচন ।
হে মহান, আমি ইহকাল পরকালে শুধু আপনারই লবিং করি ,আমাকে হেদায়েত পুর্বক গ্রহন করুন মুমিনের কাতারে । আমিন ।   
এক জীবনে মানুষ ঠিক ততো টুকুই পায় যতোটা বিলায় সে উদার হস্তে । প্রেমে বা দ্রোহে , হিংসায় অথবা খোবে । ঘৃণায় কিংবা প্রতিবাদে , গিবদে বা প্রশংসায় । সে তার প্রাপ্য টুকুই পায় । তিল, তাল বা পাহাড়ের হিসাবেই পেয়ে যায় সবটুকু । অযাচিত প্রাপ্তি নেই মানুষের ললাটে ।

মনের ভিতর বাড়ীতে আজন্ম এক তরুনের নাম ওয়াহিদ সিদ্দিকি । বন্ধুতে, মনুষ্যত্বে হৃদয়ের বিস্তার ভুমিতে ওয়াহিদ সিদ্দিকি এক ঐশ্বর্যের নাম । এক ব্যস্ত মানবিক যন্ত্রের নাম । এই নাম বুকে গেঁথে আছে প্রায় তিন যুগ । মাঝে মাঝে দেখা হয় মাঝে মাঝে হয়না । কখনো বা কথা হয় কখনো বা হয় না । যোগাযোগের বাইরেও অন্য আরেক যোগাযোগ থাকে ; থেকে যায় তাই , যখনই দেখা হয় আন্তরিকতার উষ্ণ ছোঁয়ায় মনে হয়, বুঝি গতোকালও এক তুখোড় আড্ডা শেষে ফিরে গেছি যে যার ঘরে ।
ভোরের প্লেনে উড়ে হংকং । মিটিং সেরে দুপুরে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ চেকআপ শেষে সন্ধ্যায় ঢাকা এয়ারপোর্ট নেমে ইমিগ্রেশন ত্যাগের আগেই ফোন কল,  ঐ শুয়োর,ফেসবুকের স্ট্যাটাসে আজকে এইটা কি কবিতা লিখছিস তুই"? এই কবিতার জন্য তোকে ফাইন করা হলো,তোর জন্য এ বছর সব প্রকাশকের দুয়ার বন্ধ করে দিয়ে এই বই সিদ্দিকি প্রকাশ করবে । এই হচ্ছে ওয়াহিদ সিদ্দিকি । ভালোলাগা এবং বাসা প্রকাশ করবে আচুম্বা এক গালি দিয়ে । ভালোবাসা এক ধারাবাহিক জুয়া খেলার নাম , এ খেলায় বরাবর বিজয়ী এক তারকার নাম ওয়াহিদ সিদ্দকি । এই বই ওর জন্যে ওর স্বর্গীয় পিতা মাতা ,পরিবারের সকলের জন্যে ।
সে আমার ভাই,আমার বন্ধু , আমার দূর পথের অভিভাবক, আমায় হাসতে শিখিয়েছে, হাসাতেও । যুদ্ধ করে বাঁচতে শিখিয়েছে বাঁচাতেও । বাইশ বছরের অভিমান ভেঙ্গে শিখিয়েছে কি করে মিশে যেতে হয়ে নিজ রক্ত স্রোতে । যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, সরদার আরিফ হোসেন শাহিন । এই বই দিয়ে আমি তাকেও কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরন করি ।
অস্বীকারের অঙ্গীকারে প্রজন্মকে শিখিয়ে দিচ্ছে, 'পরম্পরা ভুলে গিয়ে শত্রু জ্ঞ্যানে ভুলে থেকো নিজের রক্ত' ! রক্ত কণা জমাট বাঁধে দেহের ভিতর হৃদয়পুরে, হৃদযন্ত্র বিকল করে নিজেও ভোগে, ভুগিয়ে মারে বংশথোকা । ঘুরে ঘুরে সকল বুকের সকল পথেই একটা করে বসত বাড়ী তৈরী করে খালি ঘরে একা ফেলে থাকছে এখন নিজের ইচ্ছায়, নিজের মতন । সে আমার রক্তে বাঁধা পিঠ বড় ভাই , শেখ মোজাফফর হোসেন । এ বই দিয়ে তাকেও আমি স্মরণ করি নতশীরে ।
হে মহান, আমাকে, আমার কণ্যা ত্রয়কে রক্তের স্রোত বয়ে বেড়ানোর অফুরান শক্তি দিয়ে আমার রাসুলকে সন্মানিত ও আপনাকে রাজিখুশি রাখার তৌফিক দান করুন । আমিন ।