বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কিছুটা ইঁদুরে খাবে কিছুটা বাঁদুরে ।

একবার পেয়েছিলে রাখোনি তো ধরে
সুলভে পেয়েছো বলে বোঝনি তো
মূল্যটা কতো বেশী, কতো কম ।

ভালোবাসা বাদামের খোসা নয়
দু হাঁতে কচলে দিয়ে ত্বকের বড়াই
মুখ ভেঙ্গে খেয়ে নেবে ভিতরের দানা ।

একবার ছুঁড়ে দিলে দুরে,
পাবেনা তা আজন্ম চিৎকারে ।
ভালোবাসা ক্রমাগত আবাদের সোনালী ফসল

কিছুটা ইঁদুরে খাবে কিছুটা বাদুরে
আসলটা রয়ে যাবে বুকের গভীরে ।

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যদি পুড়ে হই ছাই ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
যদি নদী হয়ে যাই
যদি সাগরে হারাই
যদি ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ি
তুমি থাকবে কিগো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
উজান স্রোতে যদি ফিরি।।

যদি পাখী হয়ে যাই
যদি বনে চলে যাই
যদি গৌতম ধ্যানে বসে পড়ি
তুমি আসবে কিগো মেয়ে
আমার নটিনী হয়ে
পাত্রে দুগ্ধ পুর্ণ করি ।।
যদি মেঘ হয়ে যাই
যদি আকাশে মিলাই
যদি বৃস্টি হয়ে ঝরে পড়ি
তাকিয়ে অবাক চোখে
আমায় নেবে কি মেখে
তো্মার আঁচলে যদি পড়ি ।।
যদি রোদ হয়ে যাই
যদি কিছুটা পোড়াই
যদি পুরোটাই পুড়ে হই ছাই
তুমি থেকোনা গো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
আর যদি ঘরে না ফিরি ।।

কণিকা তুমি ভাল থেকো ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
কথা ছিল কথা হবে ফোনে ......
নিষেধ করনি তুমি শুনে......
কার কাছে দিয়ে দেহ মন.......
তুমি নিলে একাকী জিবন.......
মিলে গিয়ে দুধে জলে একা
ভালোবেসে খাওনিকি ধোঁকা ?
লয় তাল কেটে গিয়ে সুর .......
থেমে গেছে জীবন সুরুর .......
কোথায় তুমি,সে কতো দূর!! ......

অবজ্ঞার কৌশল ।

অবজ্ঞার কৌশল............
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
তোমার হৃদয় বদলের ঝটিকা সফর
থমকে দিয়েছে কনকর্ড গতি।
বিশ্বাসী প্রেমিকেরা যন্ত্রণার চোখে জ্বলে ওঠা
জলের মুক্তায় দেখে নেয় আপন কফিন।

তুমি বৃষ্টির দোহাই দিয়ে ভালবাসার খেলায় মেতে ওঠো
পরিনামহীন বিবেচনায়, শরীর সম্ভোগে।
কাঁকড়ার দাগহীন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রেখে
তুমি তারে নাম দাও পাগলামি।
কনকর্ডের কারিগরি ত্রুটি কেড়ে নিলে সম্মিলিত প্রাণ
দুঃখ বাড়ে... দুঃখ বাড়ে...... দুঃখ বাড়েনা।
তোমার মানসিক ত্রুটি প্রেমিকের পুণ্য প্রার্থনাকে
তোমার কামের আগুনে পুড়িয়ে মারে।
আমি সেই সব মৃত প্রেমিকের কবন্ধ পাঠে
শিখে নেই তোমাকে অবজ্ঞার কৌশল।
তুমিহীন ভালোবাসাহীন জীবন পরিপাটি
ভালোবেসে রেখেছো অন্তিম বরাদ্দ।
তিন মুঠো মাটি।

ধানমন্ডি আট নম্বর

আজকাল বেলাতেই অবেলার ছায়া নেমে যায় ।
বড় অসময়ে ঝড়ে যায় আমের মুকুল ।
মাঝ রাতে ভেঙ্গে যায়
তুলো হয়ে উড়ে যায় নাস্তিক শিমুল ।
সুস্থির বটের চেয়ে দ্রুত বারে তেজপাতা দেবদারু ।

ইয়াবা রজনী দিলে অস্থির সময়
ক্লান্ত দেহ যায় চুলের আধারে ।
বিশের তারুণ্য ভাঙ্গে ঝিমরাত রাজার কাশিতে ।
তিনমাথা নিমতিতা মুখে তার অরুচি আহার ।
রাতভর তারাবাতি চোখ গড়াগড়ি খায়
মূত্রনালির সুত্র খোঁজে ভেজা ফ্লোর । 

অধরা'রা ধরা দেয় মাঝরাতে
সোসাইটি গড়ে কামের কুয়ায় ।
ন্যাড়া মাথা ডিজে,কি যে হুলুস্থুল !
পরচুলে ঝুলে পড়ে শেষ রাত ।
কেয়া'দের পেট ভরা ফেন্সি(দের)ডাল
তলের মজা খোঁজে রেজা সুজা
শুকনো ঠোঁটের স্বভাবি চুমুতে ।  

ধানমন্ডি আট নম্বর রবীন্দ্র সরোবর তাড়িয়ে কণ্ঠস্বর
ছড়া গান কবিতায় তরুন আয় ফিরে জীবনের মায়ায় ।
পতিত তরুন জেগে ওঠে প্রাণপন,দুহাতে সরিয়ে মেঘের দেয়াল
সরোবরে এনে দেয় সোনালী সকাল । 

কস্ট স্রোতে

এভাবে হয়না জানি,হওয়া সমিচিন নয় ।
এভাবেই একদিন কস্ট স্রোতে নদী হয় ।


এলোমেলো


সমালোচনার তিক্ত বিষ মেনে নিও
তুমি উদারতার অমৃত দিও ।


স্বীকারোক্তির সাহস জীবনকে উজ্জ্বল করে
মিথ্যে করে কুৎসিত পেঁচার আদল ।


সাহসিরা যুদ্ধে যায়, ভিতু লুকায় যুক্তির দেয়ালে ।

আমি

উদবাস্ত জীবন দুপায়ে ভ্রমন
ইচ্ছে ঘুড়ী ইচ্ছে গমন
না শুনি কথা খুজিনা কারণ
এমনি আমি এমনি ধরন
তাই বুঝি কেউ নেই কেউ নেই
পথ আগলে করবে বারণ ।


হৃদয়ের সবটুকু ভুমি
দখলে নিয়েছো তুমি
নিজ বুকে দখলটা হারিয়ে
ধরেছি তোমাকে জড়িয়ে
আজ শুধু মনে হয় নিজেকে
পৃথিবীতে আমি খুব দামি ।

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বৌদি ।



কলা পাতায় তোলা দুধের খিসসা পাটি শাপটার বুকে । কিশোরীর উঁকি দেয়া উঠতি স্তনের মতো ফোলা বুকের এক থালা পাটি শাপটা চোখের সামনে এই মাত্র বৌদি রেখে গেলেন সেই সাথে এক বাটি দুধ লাউ । সারা বিকেলের হাঁটা পথের ক্লান্ত আমরা, চাপ কলের শীতল জলে স্নানের মুগ্ধতায় শান্ত । পেটে ইঁদূরের শঙ্খ্য ধনি বাইরে কাছিমের ধ্যানে উদরে ধীরে সুস্হে সাজিয়ে নিলাম খানার বাহার । ততোক্ষনে অমৃত আস্বাদ মুখে দেয় গানের বোল বৌদিগো...... বৌদিগো......

ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে আনা পিৎজা, বার্গার লাল পিপড়ের উৎসব মঞ্চ । সভ্য ভব্য আর্য স্বভাবে সারি সারি অগুনিত আগুয়ান । ওদের মধ্যে বিক্ষ্যাত কোন ব্যান্ড দল আছে নাকি ? থাকলে থাকতেও পারে, হয়তো দর্শনির বিনিময়ে হেব্বি মেটালে গান চলছে । কে জানে, কোন দখল বাজ এম পি মন্ত্রী এসে আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানে উদ্বোধনি পায়রা উড়িয়ে দিয়ে গেছে কিনা । হতেও পারে । আনন্দ বেদনার সোল ডিস্ট্রিবিউটরশীপ কি শুধু অকৃতজ্ঞ মনুষ্য জাতীরই ? দুই দিনের দুনিয়ায় কর বাবা নিশ্চিন্তে মৌজ মাস্তি কর তোরা । কে হায় অমৃত ছেড়ে জাংক ফুডে জাম্প মারিতে চায় ! সিধান্তের স্বস্তিতে আমরা তখন দাতা হাতেমতাই ।

তাল পাতার পাটিতে আমরা কজন জোড়াসনে বসে, নিকানো উঠোন। পুবে পরিছ্ছন্ন ছোট বাঁশ ঝাড়,নিচে তিন টিনের আকাশ । রাতে পাতে যাবে বাটা মরিচের বেলে ঝোল,সর্ষে মাখা সজনে চচ্চরি,টমেটোর ডাল,উৎকৃষ্ট প্রকরণে ভরা উলংগ হেঁসেল। মাটির উনুনে ঘসি কয়লার আগুন,গধুলীর ক্ষনেক লাল রঙ ঘাম জলে মিশে আঁকা ছবি হয়ে বৌদি তখন নিমগ্ন রাঁধুণী । প্রাকৃ্তিক গ্যালারির মুগ্ধ দর্শক আমরা মন্তব্যে মুখর । পিকাসো, ভিঞ্চিকে ভেংচি কেটে তখনি পৃ্থিবী শ্রেষ্ঠ তৈল চিত্রটি আঁকা হয়ে গেল ।

???

সে বোঝে কত ব্যথা...
যেজন কস্ট পায়... 
সেই বোঝে কত মুল্য... 
যেজন সব হারায়...
বৃক্ষ বোঝে মাটির মুল্য... 

মাছ বোঝে পানির... 
শ্রমিক বোঝে শ্রমের মুল্য...
হিরক বোঝে খনির।।

বন্ধুর বাড়ী... পাশের বাড়ী।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

যতই বলিস
দুরের শহড়
তুইতো আছিস
বুকের ভিতর ।
পনের হাজার
কিলো মিটার
ঐ দেখা যায়
এপাড় ওপাড় !
এ পথ কি আর
খুব বেশী দুর ?
ততোই কাছে,
যতটা গলা ও সুর ।
ঝড়তে দে তুই,
সময় ওদের ঝ’ড়ে যাওয়ার ।
কুড়িয়ে নে তুই,
তোর সময়টা কুড়িয়ে পাওয়ার ।
ও্মা! Call দেবো কি
হাওয়ায় উড়ে ?
মন পবনের
নাও’য়ে চড়ে ?
দিস্ নি কেন
Cell ঠিকানা ?
ইচ্ছে তোর
গল্পো করার,
ভাব বিনিময়
মেজাজ ধরার ।
তোকে ধরার
Clue দিবিনা ?
আমি তোর মতো
নই, গোপন কৃপণ ।
আমি তোর
বন্ধু আপন ।
পাঠিয়ে দিলাম
ফোনের Digit,
করিস এবার
কথার Visit ।।

দুঃখ রোদে শুকিয়ে যাবে।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর।

তোমার কথার পাথড় কণা
পড়লো এসে বুকের মাঝে
সুখের চোখে মেঘ জমেছে
আজ পৃথিবী যাবে ভিজে।

সুখের কপাট খীল দিয়েছে
দুঃখের দুয়ার খোলা
বুকে কথার তীর বিঁধেছে
তীব্র দহন জ্বালা।

কথায় কথায় ব্যথা
দিতে চাও যদি
দুঃখ রোদে শুকিয়ে
যাবে সুখের নদী।

তাইতো আমি ঠিক করেছি
কাঁদবোনা আর দুঃখ পেলে
কষ্ট দিয়ে দেখো দেখি
কেমন কাটাই হেঁসে খেলে।।

ঝুলে আছি সতেরো কোটি......


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

ধুলো পড়া ক্যালেন্ডারে হা মুখ বাঘ ঝুলে আছে
হা আছে হুংকার নেই ফ্যানের বাতাসে নড়ে
ঝুলে আছে লাল কালো সাজানো তারিখ
নষ্ট পেন্ডুলাম ঝুলে আছে ঘরের দেয়ালে
বারান্দার নাইলনে দাগ পরা অন্তর্বাস
( দাগ মানেই নুতন কিছু সৃষ্টি !!)
তেলাপোকা সঙ্গী করে ঝুলে আছে ফ্রাইপ্যান
ক্যালভিন ক্লেইন ছোট বাঘের খাঁচাটি পুরনো আলনায়
আমাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে রাজন্যগণের সপ্নভুক মৈথুনে
বৃদ্ধ শিশ্নের মতো যুগল বোঝা নিয়ে ঝুলে আছি সতেরো কোটি
ঝুলে আছি ঝুলে থেকো
নেতাদের বাক্সে ভোট রেখো............

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মশাই

মশাই ,
দয়া করে আমায় যদি
একটু সময় দিতেন
বছর বিশেক আগে যেমন
দিয়েছিলো জিতেন ।
রাজা ফাজার দেশ প্রেমটা,
সে বুঝিয়েছিল বেশ
এখন বুঝি ক্যামন করে
চলছে সারা দেশ ।
খুব করে বুঝিয়ে ছিলো
জিতেন গাঙ্গুলি
গরিব কা জান ডুবা হুয়া চান
এ্যায়সা মামুলী ।
এদের নিয়ে রাজা রাজড়ার
ভাবনা কিছুই নাই
প্রজার রক্তে রাজার নেশায়
ঝিল্লি মারা চাই ।
গুমে, খুনে, দাউ-আগুনে
পুড়ছে সারা দেশ
রাজা বলে পোশ্য বলে,
আহা বেশ বেশ বেশ ।
তিনশ তোতা পাখির রাজা
জানে নানান বাহানা
এই সত্য সবাই জানে
মশাই জানেনা ।

মশাই ,

মশাই ,
আপনি আমায় ভুল বুজেছেন দারুন ভাবে
ঘুস আমি খাইনা মোটেও ঘোর অভাবে ।
ভালোবেসে লাউ মুলোটা নিয়ে এলে ঘরে
ঘরের লক্ষী তারে আমি ফিরাই ক্যামন করে ?
পুকুরের মাছ ,পালতু মুরগি,গাভীর খাঁটি দুধ
এটাকে কি ঘুস বলা যায় কিংবা অন্য রকম সুধ !
কাজ করে দেই, খুশি মনে যে যা দিয়ে যায়
দু'হাত তুলে নিত্য করি শুকরিয়া আদায় ।
আমায় তিনি দেবেন বলেই এমন বাহানা ।
আমি জানি এই সত্য, মশাই জানেনা ।

শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আসবো ফিরে ।

আর কিছুদিন আমার জন্যে
বাড়তি বেঁচে থেকো
আসবো ফিরে তোমার কাছে
মিথ্যে বলছি নাকো । 


কষ্ট নেয়ার সহ্য শক্তি
আগের মতোই আছে
তোমার কাছে আসবো ফিরে
পুরোনো বিশ্বাসে ।


মনের দাওয়ায় আলো ছড়ায়
নিত্য জোনাক পোকা
অপেক্ষা যাক শ্রী'লাল ঘরে
আর রবেনা একা ।


কাঁদুক নাহয় দেহ ভূমি
জলের ঘাটতি ভেবে
আমি দিলে এক ফোটা জল
সাত'টা সাগর পাবে ।

স্মরণে ক্ষরণে

তোমার অনেক কথা জমে আছে এই মনে
তার চেয়ে বেশী কিছু রেখেছি গোপনে
বেঁচে আছো আজো তুমি আমার ক্ষরণে
খুব সযতনে
স্মৃতি রেখেছি স্মরণে ।

কতদুরে যবে বলো ছেড়ে আমাকে
সূর্যের আলো হয়ে ছোঁব তোমাকে
মহাদেশ দূরত্বে যতই থাকনা কেন
ক্ষরণে বেঁচে আছো তুমি তা জেনো ।

ব্যথার তীর গেঁথে গিয়েছো মননে
খুব সযতনে
স্মৃতি রেখেছি স্মরণে ।

বহু আদরে তুমি দূরে সরেছো
অমৃতের হাঁসি মুখে বিষ ধরেছো
করুনা করেছো ঘৃণা করবে বলে
অনায়াসে চলে গেছো পিছনে ফেলে ।

বলবনা সব , কিছু থাকনা গোপনে
খুব সযতনে স্মৃতি , রেখেছি স্মরণে ।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কেন লিখতে পারিনা ।

হাতের কাছে কাগজ কলম
ঠোঁটের ভাঁজে শব্দ
শুধু লিখতে পারিনা ।

বুকের মাঝে তুমি আছো
তোমার দেয়া স্মৃতি
আজো ভুলতে পারিনা ।

বড় মেয়ের বায়না আছে
এটা ওটা সেটা
সবই দিতে পারিনা ।

বাবাই বুবাই হপ্তা হিসাব
রেশন করে পাওয়া
কাছে আনতে পারিনা ।

যুগের ঘরে দুই জমেছে
একটা ছাদের নীচে
তবু বুঝতে পারিনা ।

ইচ্ছে করে সব জানিয়ে
চিঠি লিখি তোমায়
কেন লিখতে পারিনা ?

মোটর সাইকেলে ।

মোটর সাইকেলে ।

ভরাট বুকের স্পর্শ লেগে আছে বর্ষিয়ান পিঠে ।
যমজ ফলের মতো এভাবেই থেকে যাক বৃন্তে ।

এপ্রান্ত ছুঁয়ে দিলে
ওপ্রান্ত নড়ে ওঠে ।
দুরন্ত উরন্ত গতি
ঘুরে বসে দূরে যাবো
নেইতো উপায় ।

এমন কষ্টের সুখ ফিরে যদি আসে আরবার
এভাবেই বসে থেকো  ।
ভরাট বুক লেগে থাক বর্ষিয়ান পিঠে ।

যতই ভাবো

যতই ভাবো আমায় তোমার নেই প্রয়োজন
আজোব্দি আমিই তোমার বন্ধু... স্বজন ।
আমায় ভেবে তাইতো তোমার পথ চাওয়া
যে পথে বয় অনন্তকাল প্রেমের হাওয়া ।
দৃষ্টি তোমার ছড়িয়ে দ্যুতি দিগন্তে ধায়
তোমায় নিয়ে বাঁচি মরি তোমার ক্ষমায় ।
বৃক্ষ আমি চির সবুজ দেবদারু
তুমি জীবন জীয়ন কাঠি দেবী চারু ।
প্রেমের চাতক মরু তৃষ্ণা আমার বুকে
তোমায় ছেড়ে ক্যামন করে থাকি সুখে ?
দুঃখের নদী বুকের মধ্যে তুমি ছাড়া
তোমায় পেলে আনন্দে হই পাগলপারা ।
তুমি আমার জোড়া শালিক ভোরের বেলা
তোমায় ছাড়া যায় কি বাঁচা এই অবেলা !

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

তুমি ...

চাঁদের আলোয় শুকাতে দিয়েছি
ঘামে ভেজা দিয়াশলাই ।
পূর্ণিমার পরিচর্যা পেলে
বারুদ মানবিক হবে ।
সুগন্ধী বুলেট বুকে
ফুলেরা সশস্ত্র হলে
পৃথিবী উপচে যাবে
মানুষের প্রেম ।
তুমি কোমল হবেনা জেনেও
আমি বারুদ ও ফুলের
যৌথ খামারে করেছি
মানবিক চাষ ।