কলা পাতায় তোলা দুধের খিসসা পাটি শাপটার বুকে । কিশোরীর উঁকি দেয়া উঠতি স্তনের মতো ফোলা বুকের এক থালা পাটি শাপটা চোখের সামনে এই মাত্র বৌদি রেখে গেলেন সেই সাথে এক বাটি দুধ লাউ । সারা বিকেলের হাঁটা পথের ক্লান্ত আমরা, চাপ কলের শীতল জলে স্নানের মুগ্ধতায় শান্ত । পেটে ইঁদূরের শঙ্খ্য ধনি বাইরে কাছিমের ধ্যানে উদরে ধীরে সুস্হে সাজিয়ে নিলাম খানার বাহার । ততোক্ষনে অমৃত আস্বাদ মুখে দেয় গানের বোল বৌদিগো...... বৌদিগো......
ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে আনা পিৎজা, বার্গার লাল পিপড়ের উৎসব মঞ্চ । সভ্য ভব্য আর্য স্বভাবে সারি সারি অগুনিত আগুয়ান । ওদের মধ্যে বিক্ষ্যাত কোন ব্যান্ড দল আছে নাকি ? থাকলে থাকতেও পারে, হয়তো দর্শনির বিনিময়ে হেব্বি মেটালে গান চলছে । কে জানে, কোন দখল বাজ এম পি মন্ত্রী এসে আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানে উদ্বোধনি পায়রা উড়িয়ে দিয়ে গেছে কিনা । হতেও পারে । আনন্দ বেদনার সোল ডিস্ট্রিবিউটরশীপ কি শুধু অকৃতজ্ঞ মনুষ্য জাতীরই ? দুই দিনের দুনিয়ায় কর বাবা নিশ্চিন্তে মৌজ মাস্তি কর তোরা । কে হায় অমৃত ছেড়ে জাংক ফুডে জাম্প মারিতে চায় ! সিধান্তের স্বস্তিতে আমরা তখন দাতা হাতেমতাই ।
তাল পাতার পাটিতে আমরা কজন জোড়াসনে বসে, নিকানো উঠোন। পুবে পরিছ্ছন্ন ছোট বাঁশ ঝাড়,নিচে তিন টিনের আকাশ । রাতে পাতে যাবে বাটা মরিচের বেলে ঝোল,সর্ষে মাখা সজনে চচ্চরি,টমেটোর ডাল,উৎকৃষ্ট প্রকরণে ভরা উলংগ হেঁসেল। মাটির উনুনে ঘসি কয়লার আগুন,গধুলীর ক্ষনেক লাল রঙ ঘাম জলে মিশে আঁকা ছবি হয়ে বৌদি তখন নিমগ্ন রাঁধুণী । প্রাকৃ্তিক গ্যালারির মুগ্ধ দর্শক আমরা মন্তব্যে মুখর । পিকাসো, ভিঞ্চিকে ভেংচি কেটে তখনি পৃ্থিবী শ্রেষ্ঠ তৈল চিত্রটি আঁকা হয়ে গেল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন