শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫

শব্দ সমবায় ।



১। কবির গাম্ভীর্যে হঠাৎ মেঘে ঢেকে গেলে সুনীল আকাশ
আমি আতি পাতি তোমাকে খুঁজি, বৃষ্টি বানে ভিজে
আবাদের যোগ্য হবো বপন সুশ্রীতে ।

২। অভিমানে ভেঙ্গে গেলে মেঘের চোয়াল
আলো নিয়ে ফিরে আসে চাঁদের শরীর ।
ও চাঁদ সামলে রেখো জ্যোৎস্নাকে ......
শুভ পূর্ণিমা ।

৩। আমাকে একটি সিগারেটের বয়স ঋণ দেবে প্লীজ ?
নিজেকে পোড়ানোর ধোঁয়ায় তোমাকে দেখে দেখে
বুঝে নিতাম সুখ টান বলে কিছু আছে কিনা !

৪। একজন মনোযোগী পাঠক কবিকে শুধরে দিয়ে গেলে
মাঝ রাতে কবিকে ছুটি দিয়ে কবিত্ব যায় পাঠকের পাতে ।

৫। কতবার যে নিজেকে রসির মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে
নিজ পিঠের ছোট্ট তিলটি ছুঁতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছি ।
কতবার যে ঘুম চোখে ডান পা সঠিক স্যান্ডালে
গলাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছি
তোমাকে বলতে গেলে জানি
হেসে লুটোপুটি
খেয়ে মফিজ
মফিজ বলে
মাতিয়ে তুলবে
রবীন্দ্র সরোবর ।


৬। মরে যাচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে ধ্বসে যাচ্ছে সব
এই নিয়ে করছে কারা মিহি উৎসব ?
মাগো আমার ক্ষুধা পাচ্ছে, ক্ষুধা বাড়ছে
আমি কিন্তু বোমা খেয়ে ফেলবো !

৭। তোমার অনামিকায় রেখে আসা শেষ স্পর্শ স্মৃতি
মনে করিয়ে দেয় তুমি আমার ছিলে ।
সত্যই কি আমার ছিলে ?

৮। সাধ্যের উঁচু দেয়াল ধ'রো বড়জোর , টপকে যেওনা ।
যতোটাই পাও , তোমার হাহাকার যাবেনা ।

৯। ফাঁসির দড়িকে বন্ধু করে নিজ ছাদে শুন্যে ঝুলেছো !
কাপুরুষ বন্ধুভাগ্য আমার ! এতো প্রিয় ছিলে তুমি !

১০। আটকে পড়া ফড়িং এর অস্থিরতা তোমাতে কেন !
কোন ফাঁদে পড়ে আছো তুমি ? মনে রেখো
হিসাবী ভালোবাসা কৌশল শিখায়
বিশ্বাস দেয় না ।


১১। অরন্যের শূন্যতা বন্য ছিলোনা কখনো
নগরে ছিলো ঢেঁড় বেশী ।
বন্যতা পুষেছে নগর ।
বেঁধেছে ঘর ।
অরন্যে যাবো ।
আমি
অরন্যে যাবো ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন