শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

ওব্বু , ফিরার থেইক্যা । ( রাজা , মাপ কইরা দেন । মিডায় মুক মাইরা আনে । )

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।


কথায় কথায় খুন খারাপী
সেজে সাধু সন্ত পাপী তাপী ।
বুক চিড়ে তেলে পোড়
সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাতে ।


ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।


শুনেছিলাম রাজা প্রজা
সখ্য হতো আগে ,
প্রজারা না খেতে পেলে
রাজা থাকতেন জেগে ।
এখন রাজা সব চুষে খায়
প্রজাদের নাড়ি শুকায় ,
উজির নাজির চেল-চামুন্ডা
সবাই আছো দুধে ভাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

জোড় করে যায়না পাওয়া
এক মানুষের মন ,
কি করে পাবে রাজা
কোটি জনগণ ।
তোমাদের দেশপ্রেম নাই
খাও ক্ষমতার মন্ডা মিঠাই
আম জনতার নাই মমতা
থাকুক পড়ে ফুটপাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

বামেদের তর্ক বড়াই
তত্তের ফুটো কড়াই ,
রাজাকারের পাকি প্রীতি
উথলে ওঠে ভাতৃ স্মৃতি ।
প্রয়োজনে বসিয়ে কোলে
ক্ষমতার দোলনা খেলো
এই জনতা খেপলে রাজা
পাবে সাজা হাতে নাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

বেদখল

কোথায় খেলি গোল্লাছুট
মাঠ খেয়েছে দালান আজ
কোথায় ভিড়াই পারের ডিঙ্গা
ঘাট খেয়েছে দখল বাজ ।

অসম্ভব ।

ইচ্ছে করে, যাই'যে ফিরে ফেলে আসা শৈশবে
বিকাল বেলা যায় কি পাওয়া ভোরের সূর্যোদয়
এখন আমার মন বসেনা বিত্ত ও বৈভবে
আটচল্লিশ পায়কি ফিরে চৌদ্দ কিংবা নয় ?

মাহমুদ সাবধান ।

মাহমুদ তুমি ব্যাচেলর ।
মেয়েদের দিকে তাকাবা না
তোমার কেউ নাই
সাবধান...........................

আমরা ম্যারেড ।
কম্পেয়ার করার মতো
আমাদের ঘরে একজন করে আছে ।
সুতরাং.......................................

হক কথা গোপন কথা... ৩

পরের স্বামী দেখতে দারুন
ঘরেরটা মাকুন্দা
পরের গায়ে সুগন্ধি
ঘরের গায়ে ফাকুন্দা ।

পরের বউ মিষ্টি তেতুল
ঘরেরটা ধাইন্না ঝাল
পরের বউ কোকের বোতল
ঘরেরটা ভুষিমাল !

গোপন কথা হক কথা...২

নারী আর তেলাপোকা
বংশ বৃদ্ধি করে
পুরুশ আর তুরকুলা
মরার আগে শতবার
আছার খেয়ে মরে ।

নারী আর মেনি মাছ
যত বড় আদার হউক
মুখের সামনে পেলে ক্যোঁৎ করে গিলে খায়
পুরুষ আর বোয়াল মাছ
জিন্দা মুর্দা পচা গলা গু গোবর সব খায় ।

হক কথা গোপন কথা...১

উকুন আর নারী উভয়েই সমান
একজন ধারণ করে অন্যটা বিচরণ
সুযোগ পেলে সমান তালে বালিশ
বিছানা এবং শরীর পাল্টায় ।

পুরুষ আর বিড়ালে পার্থক্য নাই
দুধ দেখলে উভয়েই
ছোক ছোক করে
সন্তর্পণে মুখ বাড়িয়ে দেয় ।

সাদাফ বোঝে উল্টা ।

অন্ধ দেখে অন্তর চোখে
ভালদের চোখ থাকে খোলা
অন্ধ বরাবর পষ্ট দেখে
খোলা চোখ দেখে ঘোলা !

সাদাফ
না দেখে ঘোলা
না দেখে পষ্ট
অন্তর বাহির
দুই'ই নষ্ট ।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

খোলা চিঠি

ই মেইলে নয় ।
চিঠি পেলাম রঙ্গিন খামে
কত বছর ? বহু বছর ।
আধ জীবনের দামে !

হাতে লেখা নাম ঠিকানায় স্পষ্ট প্রেরক ।
কে লিখেছে বুঝতে পারি অধম প্রাপক ।
দেশের নাম বুঝতে আর রয়না বাকি
খামের উপর আঁকা দুটো কিউই পাখি ।

এতো বছর পরেও আছি তোমার মনে!
ইচ্ছে করে বলি, সখি চলো স্বেচ্ছা গুমে
হারিয়ে যাই আজ দুজনে
পারিনি যা আগ জীবনে ।


দাহ যন্ত্রনায় পোড় খাওয়া বৃক্ষ
আর থিতিয়ে পড়া পাতার সমবায়
হঠাৎ স্রাবণের জলে ভিজে যে ভাবে
বুকের সবুজ খোলে
বহু...বহুদিন পর
ঠিক সেভাবেই তোমার শব্দ স্রাবণ
আমার মন সবুজকে খুলে দিয়ে
দিগন্তে পাঠালো সূর্যকে মুঠোয় পুরে ।

অনেকটা যেন,
"যাও পাখি বল তারে "...
পাখির কি আর দায় পড়েছে আমার কথা
বলবে গিয়ে তোমার কাছে উড়াল মুখে
আমিই তোমায় নিজের মুখে বলছি শোন,
যোগাযোগের বাইরেও অন্য আরেক
যোগাযোগ থাকে । আছে , থাকবে জেনো ।

বলার কিছু নেইতো তেমন
ভেজা ব্যাঙ কুয়োয় থাকি
নেইতো আমার বিশ্ব ভ্রমন
সুখের দৃশ্য শব্দে আঁকি ।

দুই দু মুঠো ভাতের আশায়
খুলেছিগো ভাতের দোকান
শোকর আল-হাম দুলিল্লাহ
মানের সাথে বেঁচেছে প্রাণ
জাবর কেটে স্মৃতির বিলাস
করবো কখন ! প্রাণ হাঁসফাঁস ।

ঠিক করেছো ।
আগে ভাগেই দিক চিনেছো ।
নইলে চুলোয় ঠেলতে হতো গোবর ঘসি
প্রেমের ভুলে হয়তো দিতে গলায় ফাঁসি ।

যাওয়ার পরে পাইনি সময়,
দাঁতে নখ কেটে কেটে ভাববো
"যেখানে ছোঁবে পাবে আমার শরীর"
কবির মতো করে লিখবো ।

এখন কি গো মন আর পোড়ায় ?
মন পোড়েনা, পোড়ার ব্যথা গিড়ায় গিড়ায় ।

যে পুজো তুমি দেখে গেছো
নিয়ে গেছো অর্ঘ।
এখনো হয় পাড়ায় পাড়ায় ঘরে ঘরে
শুধু দল বেঁধে পুজো দেখা হয়নাতো আর
আমার পুজোর দেবী নেইযে আমার ।

নিজ হাতে ফুল তুলি এখনো যদিও
সে ফুল হাতে নিয়ে যাইনা কোথাও ।

এইতো আমার সাদা মাটা ছোট্ট জীবন
এর মধ্যে তোমায় নিয়ে ভাববো কখন ?

উত্তর পেলে লিখবো আবার
পরের বার বড় করে ।
ভাল থেকো সর্বাবস্থায়
আনন্দকে সঙ্গি করে ।
ইতিতে,
পুড়নো সেই ঘুরে ফিরে
যার জন্যে পালিয়ে গেলে
দেশ ছেরে ।


বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

দ্রোহের শাহী বাগান ।

দ্রোহের শাহী বাগান (শাহবাগের প্রথম নাম )
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
( দ্বিতীয় দিনের অবাক করা জন সমুদ্রের জোয়ারে
অভিভুত হয়ে এই লেখা , পরবর্তী দুঃখ জনক গল্পটি 
সকলেরই জানা । ) 

বহুদিন বহুমাস বহু বছর পর প্রজন্ম চত্তর
হঠাৎ তোমাকে দেখি বাংলাদেশ শ্লোগান মুখর
মুষ্টিবদ্ধ সূর্যমুখী হাত, চলমান দন্ডায়মান জোড়াসনে
শাহবাগ দ্রোহের আগুন জেলেছো ফুলেল ফাগুনে ।

দিনের সূর্যাস্ত আছে চেতনার নাই । যুদ্ধ হবে ।
আলোর গতিতে পৌঁছে গেছে সংবাদ ঘরে ঘরে ।
উৎখাত হবে ধর্ম বর্ম পরা উইপোকা
ছারপোকা মুক্ত হবে ঘর বিছানা উলু মুক্ত মাটি ।

তরুনেরা জেগে থাকে যুগে যুগে কবি
জাগানিয়া সুরে জেগে থাকে খাঁটি ।

চিহ্ন ২

সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেললেও
মোছার চিহ্ন থেকে যায় ঠিকই
দুজন চলে যায় দুমুখী নিদ্রায়
কালের গহনে বর্জনে সজ্ঞায় 

প্রশ্নোত্তরের বিভীষিকা মেখে
অপরিপূর্ণ জীবন রেখে
কোন সত্যের আহবানে যায়
কোন সে টানে কিসের মায়ায় ।

কতটা বিশুদ্ধ হলে
বোধের গভীরে
অন্তঃসার নামে
জন্মান্তর ভ্রূণে 
যদিও অগ্নির দাহ জীবনের কোষে ।

এখনো অদৃশ্য ছবি
সমুদ্র যাত্রায় হাঁটে
সাদা কাপড়ের
আ-নগ্ন আসামী
এখনো আমুন্ড কাঁকড়া
অপ্রাপ্তে ঘৃণিত হয়ে
মিশে যায় মিথ্যার বিরোধী খোঁয়াড়ে ।

মোছার চিহ্নকে রেখে গিয়ে
কালো পাথরের দ্বীপে
অচিহ্নিত একক আল্পনায়
এভাবে দুজন দুমুখী নিদ্রায় মিশে যায় ।



চিহ্ন ১

সমস্ত চিহ্ন মুছতে গিয়ে
মোছার চিহ্ন রেখেছো তুমি
এক জীবনের পলি নিয়ে
দিয়ে গেছো মরুভুমি ।

সেই ভুমিতে হচ্ছে আবাদ
খয়েড়ি, সোনালী খেজুড়
মাত্রা পেয়েছে জীবনের স্বাদ
বেড়েছে শক্তি বাজুর ।

তোমাকে ছাড়া দিব্বি কাটাই
সাজানো গোছানো জীবন
ফেলে গিয়েছো বিষের নাটাই
হঠাৎ বিস্ফোরণ ।
   



 

মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

বিনীত নিবেদন এই যে......

মহারাজ ,
বিনীত নিবেদন এই যে ,
এ দেশে আগুনে ভাজা মুরি
বর্ণিল প্যাকেটে পায়
বাজারের দাম ।
নির্বাচিত প্রতিনিধি পায়
পোড়া কয়লার বীভৎস মুখ ।
সেন্ট মার্টিনের কাটা মাছ পায়
তারের ঝুলন্ত বিছানা ।
দক্ষিণা বাতাস ।
সূর্যের আদর ।
আমাদের সমবেত মৃত্যু পায়
পেট কাটা শরীর ।
রাজকীয় দড়ি ।
অভিজাত ইটের মালা ।
মুখ বাঁধা মায়াবী পলি ব্যাগ ।
শীতলক্ষ্যার বিসাক্ত উদর ।
মিথ্যা তাদের দমাতে পারেনি
মৃত্যু তাদের থামেতে পারেনি ।
জলের তলপেট ফুঁড়ে
উঠে আসে সত্যের সমবায় ।
গুমের কৌশলে রাজা কতদিন
জিতে যাবেন বলুন ।
প্রকৃতির প্রকৃত ডি এন এ
ঠিকই বলে দেবে
সে আমার ভাই ছিল
সে আমার পিতা ছিল
সে আমার একমাত্র পুত্র ।
হে রাজাধিরাজ ,
আপনার হাঁসি এখন
মরা মাছের বাসি মুখ ,
আমাকে টানেনা ।
বিনীত ভাষণে বলি ,
এ দেশ আমার নয় ।
এ মাটি আমার নয় ।
এ সবুজ আমার নয় ।
অতএব ,
আমার নাগরিকত্ব
কেড়ে
নেয়া
হোক ।

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

বুলাকে নিয়ে টুকরো কাব্য ।

বুলা তুই, চাস না কিছুই,আবার ক্ষুধা আছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমের...বহু জন্মের আশ মিটাবি একটা প্রেমেই, ভুলে দুঃখ, বিগত জীবনের । এই নে, দিলেম এক দিঘী প্রেম, মিটিয়ে নে তোর আশ...জলকেলিতে নামরে এবার ,ভাসিয়ে দে তোর দিমিয়ে রাখা রাজহাঁস অভিলাষ         

আসবো আবার বৃষ্টি হয়ে...ফিরে যাবো ভিজিয়ে দিয়ে...গরম কফি আয়েশ করে... খেয়ো বুলা প্রাণটি ভরে...এবার আসলে আর যাবনা...তখন কিন্তু পালিয়োনা ।

ইদানীং তুমি নাকি

ইদানিং তুমি নাকি ব্যস্ত ভীষণ  
তোমার সময় দিচ্ছ কাকে।
আমার মতো আপন করে
শুনি, বলো আরকে ডাকে ।
বেনিয়ারা হরেদরে কিনছে
নাকি তোমার সময় ।
আজকাল প্রতিরাতে
তিনু মিনুর যেমনটা হয় ।
পিঠ ছড়ানো রঙিন চুলে
বিক্রি হচ্ছ হাতে হাতে ।
আদর করে বুকের পায়রা
তুলে দিচ্ছ নতুন পাতে
কোন হাতে যে পায়েশ বাটি
দিচ্ছ তুলে নাভীর চাবি
কে যে যাচ্ছে সাঁতরে ওপাড়
কে যে খাচ্ছে দারুন খাবি
আমি চাইলেম বুকের ময়না
নিজের একটু অধিকার
ওদের দিলে আস্ত তোমায়
ওদের বেলায় এতো উদার !

পার্থক্য


তোমার ,
জলের সহজ স্বভাব ঢেলে
যা ছিল সব দিয়ে দিলে
রেষম চুলে রোদের হাওড়
কপাল জুড়ে মেঘের প্রহড়
স্বেদ বিন্দু নরম আদল
নিকট দুরে চোখের বাদল
বাখড়খানি মচমচে বুক
জঙ্ঘা পাড়ের অমৃত সুখ
বাজিয়ে দিয়ে স্নায়ুর নূপুর
রতির তালে অমিয় সুর
কথায় কথায় সবই দিলে
কথার মাখন মধু ঢেলে ।

আমার ,
স্থাবর অস্থাবর সবই নিলে
সাব কবলার এক দলিলে ।

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

নীলা বৌদি

এক অবাক রাতের গল্প বলি আজ
সেদিন আকাশ ভরা তারার কারুকাজ
সাথে ছিলো সরস্বতী রমা বৌদির গান 
ভরা চাঁদের ইলিশ আলোয় রুপালী উঠান
শীতল পাটির দুই পাড়েতে মুখো মুখি বসে
ঝিরি ঝিরি হাওয়া মেখে আয়েশে আবেশে
ডুবে ছিলাম মোহন রাতে সুরের মদিরায়
রাধা কৃষ্ণের কীর্তনিয়ায় বৌদি কেঁদে যায়
তাকে দেখে আমিও কাঁদি অজানা শঙ্কায়
সবে আমার পা পড়েছে ষোলর সীমানায়
গানের সুরে বুঝি কি আর মৃত্যুর ইঙ্গিত
আমার কাছে সবি ছিলো নির্জলা সংগীত
কি রহস্য ছিলো সেদিন সুরের মূর্ছনায়
সেই রাতটা প্রতি রাতে আমাকে তাড়ায়
সুরের মায়ায় ঢলে পড়ি নিদ্রা দেবির কোলে
হঠাৎ ভোরে জেগে দেখি বৌদি গাছের ডালে
দাদার কাছে লিখে গেছে ছোট্ট দুটি কথা
তোমরা,সুখে থেকো বিমল সুখে থেকো লতা । 
 

দাদা বৌদির মিল ছিলোনা,ছিলোনাতো সুখে
এই কথাটি জেনেছিলো পাড়ার সকল লোকে
সুবল'দার গঞ্জে ছিলো বানিয়ার দোকান

  

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান......১৫

তুমি নিরালায় বসিয়া
মানুষ নামের চাদর বুনছ
ভাবের সুতা দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া .........

দশ মাস দশদিন সময় নিয়া
ভাবের সুতায় প্রেম মিশাইয়া
বুনছ মায়ের কোলে থুইয়া
দুধের আহার দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া.........

ছয় ধোপাতে চুক্তি নিয়া
ছিড়ছে চাদর ধুইতে গিয়া
মানব চাদর হয়না রিপু
শেলাই মেশিন দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া.......

কান্দে সাদাফ সব হারাইয়া
ভাবনাতে যায় দিন ফুরাইয়া
কবে চাদর নতুন হবে
ক্বলবে জিকির গাইয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া......

সাদাফের বয়ান......১৪

হাত বাড়ালেই বন্ধু পাবে
হাজার রকমের
মনের মতো বন্ধু হবার
যোগ্যতা কজনের ?
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে...... কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

ভাইয়ের মতো কিছু বন্ধু পাবে
তোমার দেহে রবে তার নজর
বোনের মতো কিছু বন্ধু রবে
চোখ তার তোমার পকেটের উপর ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে......কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

ট্রেনে কিংবা জাহাজের কেবিনে
হঠাৎ বন্ধু পাবে রাতের ভ্রমণে
বন্ধু হবে তারা এক রাতের বাসনায়
ভুলে ভুলে ডুবে যাবে তার কামের যমুনায় ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে......কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

জ্ঞ্যান পাপী কিছু বন্ধু পাবে
জ্ঞ্যানের ভারে তারা তোমাকে ডোবাবে
গল্পে গল্পে তুমি গল্পের রাণী
তোমাকে নষ্ট করে পালাবে সে জ্ঞ্যানী ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে...... কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান ...১৩

ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে...............
আমি সকাল থেকে দুপুর বেলা
গড়ায় দেখি ভাটিতে............
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

তিন কাঁটাতে বাঁধা আছে
তোমার ঘড়িখানা
চাবি ছাড়া চলছে ঘড়ি
কখনো থামেনা
একবার ডাউন হইলে হবেনা চার্জ
পড়ে থাকবে পথের ধুলিতে.........
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

দেহ ঘড়ি মাটির তৈরি
ওয়ান টাইম ব্যাটারি
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টার কাঁটার
চলছে ঘোরাঘুরি
একবার থেমে গেলে মাটির ঘড়ি
সেতো মিশে যাবে মাতিতে......
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান.....১২

ভালোবাসার শস্য দানা খায় খুটে খায়
পাখ পাখালির দল ।
তোমার মন গোলাতে তুললেনা তা
রাখলে করে নিষিদ্ধ অঞ্চল ।

বুঝলেনাতো কে আপন পর
বুঝবে কি আর পাহাড় নদী গাছ
ঢেউয়ের মাতম প্রাশাদ প্রবাল
রক্ত চোখা কোরাল নিঃশ্বাস ।

মন বাড়ীতে ঝুল বারান্দা
হু হু বহে বৈশাখী বাতাস
তুমিও নে আমিও নেই
দোল খেয়ে যায় যুবক দীর্ঘশ্বাস ।

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

সাদফের বয়ান ......১১

মনের অথবা বনের
নেতার বা ক্রেতার
কৃষক কিংবা শ্রমিকের
টোকাই কিবা বেশ্যার
মেঘের বা বাজের
যে ভাবেই হউক
সব কিছু ওলট পালট
হয়ে যাওয়ার মতো
একটা গর্জনের অপেক্ষায় আছি ।

শীতলক্ষ্যা আমার নদী নয় যে জলে পাপ মুক্ত হবো ।

সাদাফের বয়ান...১০

ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে...............
আমি সকাল থেকে দুপুর বেলা
গড়ায় দেখি ভাটিতে............
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

তিন কাঁটাতে বাঁধা আছে
তোমার ঘড়িখানা
চাবি ছাড়া চলছে ঘড়ি
কখনো থামেনা
একবার ডাউন হইলে হবেনা চার্জ
পড়ে থাকবে পথের ধুলিতে.........
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

দেহ ঘড়ি মাটির তৈরি
ওয়ান টাইম ব্যাটারি
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টার কাঁটার
চলছে ঘোরাঘুরি
একবার থেমে গেলে মাটির ঘড়ি
সেতো মিশে যাবে মাতিতে......
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।


শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান......৯


তুমি এখানে নাই ওখানে নাই
কোন খানেও নাই ।
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।

আছো তুমি দমে দমে
আছ তুমি সকল প্রাণে
আছো এই মন ভুবনে
আছ মন সিংহাসনে
শুধু হাত বারালে তুমি নাই...
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।
দুই প্রহড়ী দিয়া কাঁধে
দম দিয়াছ সময় বেঁধে
দমে দমে তোমায় স্মরি
মনোভুমি আবাদ করি
শুধু দেখতে চাইলে তুমি নাই
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।
তুমি এখানে নাই ওখানে নাই
কোন খানেও নাই
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।

সাদাফের বয়ান ........৮


তোমার নিঃশ্বাসের কোন লাইসেন্স নাই
রিনিউ করার সিস্টেম নাই
সমন এলে যাবে চলে
পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা নাই ।

তোমার ঘরের দুয়ার বন্ধ নাই
বাইরে সিকিউরিটি নাই
মন পাখিটা উইড়া গেলে
ফিরা পাইবার উপায় নাই ।

তোমার বায়োডেটায় দেখতে পাই
নাম পরিচয় কিছুই নাই
কেয়ার অফে দুঃখেন মাঝি
উজান স্রোতে বইঠা বায় ।

তোমার কামাই রুজি কিছুই নাই
উকিল মোক্তার সঙ্গি নাই
জজ সাহেবে দিলে ফাঁসি
আপিল করার সুজোগ নাই ।

নাদান সাদাফ মরে ভাবের জ্বরে
থাকেনা মন ঘরে-বাইরে
কোন মারফতে, কোনবা পথে
মনের কথা বন্ধুরে জানাই ।

সাদাফের বয়ান.........৭


হইছি তোমার ব্যাংক এর ঋণ খেলাপি
আমায় কইরো তুমি ক্ষমা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

আমার জীবন গেলো লোনে লোনে
পাপের লড়ি টেনে টেনে ।
আমি বিষ খেয়েছি জেনে শুনে
অমৃত করে মানা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

আমার তিন কিস্তির এই লোনের বাড়ী
সুধ আসলে হইলো ভারি ।
সাদাফ খাইছে কামাই তাড়া তাড়ি
হাতে নাই কড়ি এক আনা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

সাদাফের বয়ান........৬



তোমার কাগজের ঘুড্ডি বোখাট্রা হইয়া
গোত্তা খাইয়া পড়বে কাদায় মুখ ডুবাইয়া ।

তুমি কাঁচা মাঞ্জার সুতা দিয়া
প্যাচ খেলাইছো মন
ইচ্ছা মতো ছাড়ছো সুতা
রঙ্গিলা জীবন ।
ছাড়ছো সুতা ভায়ে ভায়ে
কান্নি খাইছো ডাইনে বাঁয়ে
একবারওতো ভাবো নাই মন
হইবা দেওউলিয়া ।

তোমার দমের নাটাই হাতে নিয়া
বসে আছেন কারিগর
ওলট পালট উড়ছ তুমি
রাখো নাই খবর ।
কারিগর মুচকি হাসে
বসে তার নিজ নিবাসে
চলে যাবে তার'ই কাছে
গেলে দম ফুরাইয়া ।

একুল অকুল সব হারাইয়া
পাপের সাগর পাড়ি দিয়া
সকাল বিকাল বুক চাপড়াইয়া
সাদাফ বলে, পাড়ের নাইয়া
আমারে'নি যাইবা নিয়া
নিঃশ্পাপে তড়াইয়া...নাইয়া
আমারে'নি যাইবা নিয়া
নিঃশ্পাপে তড়াইয়া ।

সাদাফের বয়ান....৫


স্বপ্ন পোড়ার গন্ধ তুমি পাও কিনা জানিনা
স্বপ্ন পুড়ে গেলে বাকি আর কিছু থাকেনা
এক জীবনের স্বপ্ন তুমি নিজ হাতে পোড়ালে
বেঁচে থাকার মতো কিছু রেখেতো গেলেনা ।

তোমায় নিয়ে স্বপ্ন ছিলো সাত সুরে'তে বাঁধা
আমি হবো যুগের কৃষ্ণ তুমি হলে রাধা
কুঞ্জবনে নাচবে তুমি কৃষ্ণ মোহন সুরে
রংধনু তার রঙ ছড়াবে সুনীল সমুদ্দুরে ।

পুড়িয়ে দিলে জীবন চাদর বুনতে দিলেনা
স্বপ্ন পুড়ে গেলে বাকি আর কিছু থাকেনা । (চলবে)

সাদাফের বয়ান............৪



কেউ খেলে তিন তাশের খেলা
কেউ তেরো তাশে মুখ ডুবায়
তুমি মজা লইলা শুধু
পাঁচ তাশের খেলায়
বিধি, পাঁচ তাশের খেলায় ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

রিযিকের ম্যাজিক তোমার
প্রথম তাশের খেলা
অযোগ্য যায় সিংঙ্গাসনে
যোগ্যের অবহেলা,
চলে,যোগ্যের অবহেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

জন্ম দিলা মৃত্যু দিলা
আয়ূ তিন বেলা,
দিলা আয়ূ তিন বেলা
হঠাৎ এসে যায় চলে কেউ
থাকে সারা বেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরায়ন ধরপরায় ।

বিয়ে স্বাদী ধন দৌলত
তুমিই বেঁধে দিলা
বিধি,তুমি বেঁধে দিলা
ভাবের ঘরে খেলছো বসে
পঞ্চ তাশের খেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

দেখে শুনে সাদাফে কয়
লাশের আবার মরার কি ভয়
তরাইয়া নিও তুমি
আমায় আখের বেলা
বিধি, আমায় আখের বেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।।

সাদাফের বয়ান........৩



কোন খেলায় পাঠাইলা দয়াল.........
কোন খেলায় পাঠাইলা
সারাটা জীবন গেলো.........
সারাটা জীবন গেলো
খেলে শাপ লুডু খেলা
দয়াল কোন খেলায় পাঠাইলা......

ক্ষণে থাকি মইয়ের মাথায়
ক্ষণে শাপের মুখে
বিষে বিষে নীল হইলো মুখ
বিষের আড়ৎ বুকে...আমার
বুখে ভীষন জ্বালা
দয়াল কোন খেলায় পাঠাইলা......

শুনি শিং মাছের বিষ কমে নাকি
বিষ কাটালির ছোঁয়ায়
শাপে কাটলে সে বিষ নামে যখন ঝারে ওঝায়
সাদাফ মনের বিষে আউলা বেশে
ঘোরে সকাল সন্ধ্যা বেলা
কোন খেলায় পাঠাইলা............

সাদাফের বয়ান..২


মিয়া সাইফুল্লা......
শেষ পর্যন্ত কি ভাবলা ?
সার্জারি পার্টেই থাকবা
নাকি পাগলের বৈদ্য হবা ?
রাজা পাগল
প্রজা পাগল
পাগল সেনা পতি
খুনি গুমী হজ্ঞলতে নাকি
আমরার ভগ্নীপতি!!
উচ্চ শ্রেণীর
পাগল পাবা
পয়সা নিবা
থাবা থাবা
income হইবো more
দেশের নাক
ভাইঙ্গা যাক
pocket ভরবো your
ভাইবা দেখো হইবা কোনটা
স্হীর কইরা অস্হীর মনটা
করো সকাল বিকাল কশরত
এই দেশে সবই আল্লাহর রহমত !!
নাদান সাদাফ বোঝে আধা
রাজন্যগন পুরান আদা
প্রজারা সব গাধা'র দাদা !!!!
1

সাদাফের বয়ান ।


আমি কি আর আমার মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে ঊড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখি না তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর ।
আমি ভিশন স্বার্থপর ।
আমি বড়ই স্বার্থপর ।

স্বার্থপরের স্বার্থহানী
সে করেনাই কোনদিন
অফুরন্ত সম্পদ দিয়া
সময় দিছে তিনদিন
মহাকালের ফকির আমি
তিনদিনের মহারাজ
পূণ্য শুন্য সাদা খাতা
মনে নাইতো লাজ
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি বড়ই সার্থপর ।

নাইতো পাখীর তিল ভরষা
একটা জীবন মিথ্যা আশা
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা
হইলো কেবল সার
নাদান সাদাফ বলে কোন কৌশলে
ধর্ম কর্ম চোখের জলে
পাখী হইবা তুমি পার ?
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই ।
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর
আমি ভিশন স্বার্থপর ।

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪

টোকাই ও রাতের পরী

সাদাফ হাসনাইন মানজুর।

ভাতের মাড়ের মতো ঘন মেঘে ছাওয়া আকাশ
অঝরে ঝরছে প্রায় একশত বত্রিশ ঘন্টা ।
নগরী কোমর জলে দাঁঁড়িয়ে সটান ।
সব গাড়ী নৌকার মতো নিরানন্দ পার হয়
বাহান্ন নদীর শহর ।

টেবিলে দাঁঁড়ানো ফ্রীজ ছাদ ছুঁই ছুঁই ।
শ্লোগানবিহীন মরা মাছ,সাপ,ব্যাঙ বিষ্ঠার মিছিল
ড্রইং ডাইনিং বেডরুম নিয়েছে দখলে ।
যেভাবে লগি বৈঠার যায় নির্বাক হাইকোর্ট ।

মাঝে মধ্যে দু'একটা বাড়ী দেখে মনে হয়
অন্তহীন ক্লান্তি নিয়ে শুয়ে আছে জলের জাজিমে ।
কিছু কিছু বাড়ী ঘর মেতে আছে উৎসবে ।
ভুনা খিচুড়ীর স্বাদ নিয়ে খন্ড খন্ড দল
তৃপ্তির ঢেকুর তোলে এলিয়ে শরীর ।

একদল জানালায় চোখ পেতে নৃবিজ্ঞানীর কৌতুহলে
খুঁঁজে ফেরে আকাশের নাভী ।
কেউ কেউ দুঃখিত নিঃশ্বাসে ভাবে
মাঝে মধ্যে এমন সুখের টাপুর টুপুর বৃষ্টি হলে
আকাশের ক্ষতি কি এমন হতো !

একদল বন্যা ও বর্ষাতে
বৃষ্টিকে ছাতা করে নেমে যায় পথে ।

ছৈয়াল জানে জীবনের মানে ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

সোনালী বাশেঁর বুক চিড়ে

তুলে নেয় একাধিক বুক ।

বুকে মুখ উজ্জ্বল হবে

ভালবাসা সংসার সুখ হবে ।

সুখদ সময় তারে অন্ধকারে

ডেকে তুলে নেবে

বিশ্রম্ভালাপ হবে ।

সোনালী বেড়ার ফাঁকে

সোনা মুখ উঁকি দিয়ে থাকে ।

সুর্য্যকে পিঠে নিয়ে

ধারাবাহিক স্বপ্নের জাল

বুনে চলে সরল ছৈয়াল ।

দিন শেষে মহাজন গান গায়

মাইক্রো ঘরানায় ।

শুভংকরের ফাঁকে সরল ছৈয়াল ঠকে ।
7

দূরে বসে দেখবো আমি ।



দেবতা হবার কোন স্বাধ নেই, আমিও মানুষ
দুঃখ পেলে হই তছনছ, হৈ যে বেহুঁস ।
তখন দিন আমার আর দিন থাকেনা
দু চোখ ভরে আঁধারে,
বুঝি এই আমি আর ভাসবো নাগো
ডুবে যাবো ডুব সাতারে ।।

ছিলো যাবার ইচ্ছে এতই যদি
কেনো আগে যাওনি চলে ।
দেখবে আমার করুন কান্না
কেমন দেখায় শেষ বিকালে ।

তোমার চাওয়া পাওয়ার মাত্রা
যদি এমন থাকে,
ধরবে ছাড়বে যখন ইচ্ছা
যাকে তাকে ।

তোমার কাছে মনের দামকি
একটুও নাই,
ছলে বলে যে করে হউক
শরীর টা চাই ।

দারুন তোমার চাওয়া পাওয়া
এইতো আছো এইতো হাওয়া ।
তুমি চড়ুই পাখির আসা যাওয়া
চোখের জলে ভূগোল'টাকে কিনতে চাওয়া ।

তোমার বাজ পাখি মন
শরীর স্বপন,
এক সুরে যে রওনা বাঁধা
তুমি সুজন ।

দুঃখ পেয়ে গুঁড়িয়ে যাবে তুমিও কভু ,
দূরে ব'সে দেখবে প্রভূ, দেখবো আমি, দেখবো সেদিন
তোমার এক জীবনে শেষ হবেনা
আমার কাছে ফেলে যাওয়া সমস্ত ঋণ ।
6

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

লজ্জিত চড়ুই ও তোমাকে নিয়ে কাব্য ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

কিইবা বলতে পারি
অথবা কতোটাই বা বলবো তোমায় ,
জীবন আমার বসে আছে স্মৃতির ছায়ায় ।
আমায় তোমার পাশে ঘুমিয়ে রেখে
তুমি জড়িয়ে থাকো অন্য বুকে

যেমন চালের মধ্যে জড়িয়ে থাকে ধানের পোশাক ।

তুমি আমার চড়ুই পাখি
ফুরুত ফুরুত অস্ট প্রহড়
তুমি,পাড়ার চেয়েও ছোট দেখ
ঢাকার শহড় ।

এ ঘর ও ঘর সব ঘরে যাও
কোথাও যখন ঠাঁই মিলেনা
আমিই তোমার দখিণ দাওয়া
শান্তি পরশ বুলিয়ে দেওয়া শিতল হাওয়া ।

এতো তোমার আসা যাওয়া
কোথাও তুমি হওনা থিতু আপন হয়ে
এতো তোমার চাওয়া পাওয়া
চড়ুই পাখি লজ্জ্বা ঢাকে মুখ লুকিয়ে !
5

হবু রাজার ডিজিটাল দেশে ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

১ম দৃশ্য ।
গরিব প্রজাঃ
আচ্ছা, যদি এমন কিছু হয় ?
দু'য়ে দু'য়ে চার না হয়ে
হয় যদি নয় ?

আধ-পাগল প্রজাঃ
আশ্চর্য কি তাতে ? হচ্ছে ও তো তাই ।
মরছি জাতে পাতে, সুখের ঘাটতি নাই !

সম্পূর্ণ পাগল প্রজাঃ
হুম, ঠিক বলেছো ভায়া
দেখিনি জনের ছায়া
ডিজিটাল পাতা নড়ে চড়ে
একশ পার্সেন্ট সীল পড়ে !

দ্বিতীয় দৃশ্যঃ
বাক্স মাথায় সটান শুয়ে,
মুঠোফোনে কাত হয়ে,
বলছে রাজার Q.C
Sir,100% Complete
Back to Back L.C .
দুরাভাষে... ভেসে আসে
Oh, I see..... I see .
এপাড় গদ গদ, মহামতি...আমার যথাযোগ্য পুরষ্কার ?
ওপাড় একটু থেমে, হা হা হা এবার তুমি এম্বাসেডার ।

সোসাইটি ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

পোয়াতি রাতের বুকে জ্বলে ওঠে নখত্র ওযুত নিযুত ।
দ্রাক্ষার সরেষ বুক খুলে গেলে নিশী উৎসবে
বিস্কুট দৌড়ের মতো পশ্চাত প্রদেশে ধরে জোড়া হাত
বহুমুখী লম্ফের টেকনিক শেখে রাতের আসর ।
বিয়ারের টিন মুখ খুলে শুন্যে ছাড়ে পানের উয়াস ।
মফিজের দল ছায়া জলে ধীরে চলে খালের শামুখ ।
অফিস পাড়ার ঘন লেন দেন এইখানে বুঝে নেয় নগদ শরীর ।
ঝুলে পড়া শিকা থেকে খুলে পড়ে বুক । বিনয়ে ব্যাকুল
মুখ বাধিত কুকুর যেন মাথা নূয়ে চেটে খায় রষের তোয়াক ।
সোনালী আঁশের মতো ছড়ানো সুখ হাতের নপুন ফাঁদে গেথে নিলে
তপ্ত পুরুষ যোনির বেড়ী বাধ ভাঙ্গে মাতাল জোয়াড় ।
কার ঘর ভরে যায় সাদা পলি মাটি কেউ রাখেনা খবর ।

জলের বিছানা ছেড়ে পাশ ফিরে শাপলার মুখ
জল চোখ স্বাক্ষী রাখে জলের আকাশ ।

খতিয়ান............২


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

হারিয়েছি প্রথম কলম
হারিয়ে ফেলছি ধারাপাত
হারিয়েছি ঈদের জামা
নির্ঘুম কাটিয়েছি রাত ।

হারিয়েছি শীত শীত কমলা বিকাল
হারিয়ে ফেলেছি মাঘীরাত
হারিয়েছি গাছে বাঁধা রষের সকাল
কুয়াশার ভারি সম্পাত ।

হারিয়েছি বরষার নতুন শামুখ
হারিয়ে ফেলেছি খোলা মাঠ
হারিয়েছি পারাপারে ছৈ খোলা নাও
পাড় ভাঙ্গা পিচ্ছিল ঘাট ।

হারিয়েছি ডিম বুকে চিংড়ির চাই
হারিয়ে ফেলেছি লাল-ভাত
হারিয়েছি বায়েস্কোপে হেলেনের মুখ
টেটা হাতে ধীরে চলা ধীবরের রাত ।

একে একে বহু কিছু হারিয়ে ফেলেছি
স্মৃতির লবঙ্গ মুখে ঝাল সয়ে আছি
স্বাদ, বিস্বাদে গেছে । বিস্বাদ স্বাদে ।
পেয়ে হারিয়ে সয়ে নির্বিবাদে ।

মানুষ......৪

প্রতিবেশি নদীর মতো.................................
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

এ মানুষ প্রতিবেশি নদীর মতো কেবলি বাঁক বদলায় ।
বদলায় সকাল দুপুর জোয়াড় ভাটায়
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বিশ্বাস বদলায়
বদলায় প্রিয়তম হাত, হৃদয়ের কারুকাজ ।
অবিশ্বাসের তীর অহ রহ ছুঁড়ে চলে মানুষ তীরন্দাজ ।
এ মানুষ এতো দ্রুত বদলায়, প্রতিবেশি নদীর মতো
কেবলি বাঁক বদলায় ।

ইঁদুরের মতো বদলায় সশ্যের জমিন
বদলায় বিছানা ।
ভাঙ্গনে ভাঙ্গনে বদলায় মাটির শরীর
বদলায় সীমানা ।
ইথারের লেফাফায় মানুষ বদলায় তার আপন ঠিকানা ।
এ মানুষ এতো দ্রুত বদলায়, প্রতিবেশী নদীর মতো
কেবলি বাঁক বদলায় ।

ধীরেনের স্নান


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

ধীরে হাঁটছেন, বাবু ধীরেন, ধলেশ্বরীর কুলে ।
রাঙ্গা সূর্য নাঙ্গা হয়ে, নেমে যাচ্ছে জলে ।
ক্লান্ত ধীরেন হাঁটেন, মনে মনে ভাবেন
এমন সুজোগ আবার, কবে কখন পাবেন ?

ক্লান্তি ঝারার স্রেশ্ঠ সময়, সান্ধ্য কালীন স্নান ।
আকাশ ডুবছে সাগর জলে! আকাশ সাগর সমান !

প্রশ্ন মনে, ভাবেন ধীরেন, স্নানের ফাঁকে ফাঁকে ।
আকাশ নাকি সাগর, কে ডাকছে কাকে ?
ভাবতে ভাবতে ধীরেন ,
জলের মধ্যে দাঁঁড়িয়ে এবার জল মুক্ত হলেন ।

পরিতাপ নাই তার রুষ্ঠ হলে জলের দেবতা ।

মানুষ........১



সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"

মানুষ........২


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"

মানুষ...... ৩

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

হাওয়ার শাষনে প্রদীপের আলো যেমন কাঁপতে থাকে
ইলাষ্টিকের ফিতার মতো থিরি থিরি ,
ইদন' নিজেকে আমার নিশ্বাসের আওতায় এনে
শাষিত আলোর মতো দুলে উঠে বললো
সুর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী যেমন..............
তেমনি আপনাকে ঘিরে আমার সমস্ত আয়োজন ।

তার বাচন সামর্থে, মুগ্ধতার মোহনায় ডুবে যেতে যেতে
বুঝলাম আর কখনো তলিয়ে যাওয়া হবেনা আমার ।
কেননা ভেসে ওঠার কোন চিন্হ রাখিনি জলে ।
ভালোবাসার ব্ল্যাক হোলে পড়ে গেলে কেউ ফিরেনা কখনো ।
যেমন লায়লার কাছে ফেরেনি কয়েছ, ফরহাদ পারেনি যেতে ।
দেবের গমন দেবত্বে নয় পারুর প্রতিক্ষাতে ।

প্রিয় মঈনুল,
নটে ঘাছটি মুরিয়ে যাবার আগেই
আমাদের গল্প ফুরিয়ে যাবার আগেই
বন্ধু রিয়াজ'কে বলে দিও ...............

মানুষ তার ণির্মাণ পথেই হাঁটে সারাক্ষণ ।

মৌসুমী.................. ১

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
 

মিছিলের প্রতিবাদ সহ হাওড় সমান ঘৃণা,আট বছরের দামে
ক্ষোভের জি পি ও থেকে পোস্ট করেছি,লাল সাদা এক খামে ।
আমার এক দিগন্ত প্রেমের আবাদ উদয়াস্ত ঘামে ,
বাড়ছিল বেশ লিকলিকিয়ে ভালোবাসার নামে ।

প্রেরকের নাম ঠিকানায় আমি ।
শুনছি আবার গজ ফিতাতে মাপছো নাকি,
লোভের বানে ধ্বসিয়ে দিয়ে ভালবাসার ভূমি ।
হচ্ছো ফের মাপা কথার তোতা পাখী ?

জোঁকের মতো উভয় পথে, লেজে মুখে চলতে পারো ।
কামের কৌটায় আর কতো স্রোত ধরতে পারো ?
বীজ-তলা'তে নতুন করে দিচ্ছ নাকি জল ?
আর কি পারো ছল ? তুমি আর কতোটা খল ?

মৌসুমী......2


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

কলশীর গভীরতা নিয়ে এসেছিলে কুয়ার কিনারে ।
প্যাকেজ প্রেমের অভিজ্ঞতায় ইতিহাসের মিনারে
ওঠা সম্ভব নয় জেনেও ভুলে গেলে মৌসুমি ?
পরিমাপ যায়না করা মাটির গভীর থেকে উঠে আসা
জলের জোয়াড়.। বামন উচ্চতা দিয়ে প্রায়শই তুমি
ছুঁতে চাও প্রেমিক শাহজাহানের ভালোবাসা !

সাদাফের বয়ান ...৩

আমি কি আর আমার মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে ঊড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখি না তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর ।
আমি ভিশন স্বার্থপর ।
আমি বড়ই স্বার্থপর ।

স্বার্থপরের স্বার্থহানী
সে করেনাই কোনদিন
অফুরন্ত সম্পদ দিয়া
সময় দিছে তিনদিন
মহাকালের ফকির আমি
তিনদিনের মহারাজ
পূণ্য শুন্য সাদা খাতা
মনে নাইতো লাজ
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি বড়ই সার্থপর ।

নাইতো পাখীর তিল ভরষা
একটা জীবন মিথ্যা আশা
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা
হইলো কেবল সার
নাদান সাদাফ বলে কোন কৌশলে
ধর্ম কর্ম চোখের জলে
পাখী হইবা তুমি পার ?
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই ।
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর
আমি ভিশন স্বার্থপর ।

সাদাফের বয়ান ... ২


মিয়া সাইফুল্লা......
শেষ পর্যন্ত কি ভাবলা ?
সার্জারি পার্টেই থাকবা
নাকি পাগলের বৈদ্য হবা ?
রাজা পাগল
প্রজা পাগল
পাগল সেনা পতি
খুনি গুমী হজ্ঞলতে নাকি
আমরার ভগ্নীপতি!!
উচ্চ শ্রেণীর
পাগল পাবা
পয়সা নিবা
থাবা থাবা
income হইবো more
দেশের নাক
ভাইঙ্গা যাক
pocket ভরবো your
ভাইবা দেখো হইবা কোনটা
স্হীর কইরা অস্হীর মনটা
করো সকাল বিকাল কশরত
এই দেশে সবই আল্লাহর রহমত !!
নাদান সাদাফ বোঝে আধা
রাজন্যগন পুরান আদা
প্রজারা সব গাধা'র দাদা !!!!
1

সাদাফের বয়ান ।

 
 
বিনয় মিস্রিত জ্ঞ্যান মানুষকে সুশ্রী করে,
অহংকার তারে করে কুৎসিত ।
এ কথা বলেছে সাদাফ
জেনে রাখো নিশ্চিত ।

নষ্টালজিয়া ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

আগের মতো আর নেইকো সময়
দাঁতে নখ কেটে কেটে ভাববো ।
"যেখানে ছোঁবে পাবে আমার শরীর"
এ কথা কবি'র মতো বলবো ।

দল বেঁধে পুজো দেখা হয়নাতো আর
আমার পুজোর দেবী নেইতো আমার
নিজ হাতে ফুল তুলি এখনো যদিও
সে ফুল হাতে নিয়ে যাইনা কোথাও ।

কখনো স্বপ্নে আসো কখনো ভাবনাতে
কখনো দুলে ওঠো মনের'ই অজান্তে ।
কি করে ভুলবো বলো পুরোনো সে দিন
যেদিন রয়ে গেছে আজো অমলীন ।

কি চাও তুমি ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

বলো কি চাও ।
কি চাও তুমি ?
হৃৎপিন্ড !
কি এমন তাতে ?
পুঁই ফুলের মতো
ছিড়েঁ এনে তুলে দিতে পারি
তোমার দু'হাতে ।

বলো কি চাও ?

এই শরীরে বয়ে যাওয়া
পিতা প্রপিতা মহের
লবন জলে কুমারী,
তুমি পুণ্য স্নানে যেতে চাও ?
যদি চাও, তাও তোমার
আকাংক্ষার দিঘী হবে টই টম্বুর ।

কি চাও তুমি ?

রাখালের ভাঙ্গা বাঁশী
তুমি চাও ?
যদি চাও , তাতেও
অমোঘ সুর ধরিয়ে দিতে পারি
সুরে সুরে ফ্রীজ করে দিতে পারি
পাখীর কাকলি, চলে যাওয়া চাঁদকে ।

তুমিতো এসবের কিছুই চাইলেনা ।

শুধু, ইনিয়ে বিনিয়ে

আকারে ইঙ্গিতে
জানিয়ে দিলে
অর্থের বোরাকে চড়ে
তুমি চলে যেতে চাও
অন্য কোথাও
অন্য কারো হাত ধরে ।

চন্দ্রিমায় চলচিত্র ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

সূর্যের তন্দুর গড়ে দিন । দিনের যৌবন ।
যুগলের পদচারণ যায় কমে ।
ছায়াকে অনুসরন করে
যে যার যায়গা বদলে নেয় ছায়া সুখে ।

মৌসুমী রোদের টানে
গাছেরাও বদলে নেয় পাতা বল্কল ।
বাতাসের সাথে কথা কওয়া পাতার পরীরা
মানুষের পাশাপাশি বসে থাকে ।

প্রিয়জন অবলম্বন,
লেপ্টে রয় যমজ ফলের মতন ।

হিশশ.................................শ্
আরো একটু অপেক্ষ্যা করো
কিছুক্ষন পর চন্দ্রিমা পর্দায়
চুম্বনের সংগীত দেখতে পাবে ।

দাহ কালের প্রার্থনা ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
(২৪,০৪,১৪)

বিমাতা গরম দিলে রক্ত চক্ষু রাত
নিদ্রাহীন বেয়ে চলি ঘাম জল নদী ।
অনুজা ভোরের কাছে শীতল পরশ
পেয়ে যাই 

পেয়ে যাই 
ঢুলু ঢুলু ঘুম ।
ঘুমিয়ে পড়ি
ঘুমিয়ে পড়ি
ঘুমিয়ে পড়ি মাটির খাটালে ।
হে বিমাতা তপ্ত দাহ,
কিছু কাল
কিছু কাল
এই নিদারুন নিদাঘের কালে
চুপ চাপ থাকোনা আড়ালে ।

সব শালা নষ্ট ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
১৪।০৪।২০১৪

মগজে বৃদ্ধ, মাতাল রাজার মতো
কবিরাও চুড় হয়ে
পড়ে আছে পানশালায় ।

প্রগতির সোম রষে বুঁদ হয়ে
রাজ পোষ্যরা ঘুমায় চেতনার সজ্যায় ।
শব্দ-বন্ধুরা তেলের মহাজনি নিয়ে
সেনাপতির উড়াল সঙ্গি হয় রণ সংগীতে ।
সুশীলের বাকবাকুম ভাঙ্গেনা পিঁপড়ার ঘুম ।

কেউ দেখেনা দুঃখিনী তিস্তার বুক ।
ধরেনা কলম । লেখেনা কষ্ট ।
নষ্ট । সব শালারা নষ্ট ।
তরুনেরা উঠে দাঁড়ালে, নষ্টরা যাবে নিশ্চিত আড়ালে ।

সামর্থ্য ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
২২।০৪।২০১৪

শেষ পর্যন্ত তাই হলো,
যে ভাবে চেয়েছিলে তুমি ।
অর্থের বোরাকে চড়ে,
পৌঁছে গেলে গন্তব্যে ।

কবিতার উপমা নেই
দিগন্তে জোৎস্ন্যার ঢেঊ
ফুলের নিশ্বাসে কুয়াশার ধোঁয়া
বাতাসে নেই বৃষ্টির বীজ ।

সেই দেশে
তোমার মতো
আস্ত কাব্য গ্রন্থটি
পড়বে কে শুনি ?

নক্ষত্র ভাঙ্গা হাসিতে তুমি
চলে গেলে অন্য লোকালয়ে ।
বলিহারি তোমার সামর্থ !
কি করে পারো এতো ?

সেদিন বিষুদবার ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

দরোজাটা খোলা ছিলো তুমি ছিলে ঘুমে
ঘুম কাতুরে তোমায় দেখে পড়ে গেলাম প্রেমে
আব্বু তোমার অফিস বোধয় মা গেছেন নাইতে
ঘুমে সুন্দর দেখতে তুমি জেগে থাকার চাইতে ।

তাই তোমাকে জাগাইনিতো উচ্চ-মৃদু স্বরে
মাঝ দুপুরে পূর্ণিমা চাঁদ সেদিন তোমার ঘরে
কাছে পেয়েও পূর্ণিমা চাঁদ ছুঁইনি আমি সেদিন
অরক্ষিত তোমার রুপে মুগ্ধতায় বিলীন ।

সেদিন ছিলো বিষূদবার, আমি হয়ে গেলাম তোমার ।

ক্ষুধা ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

বেতনের সব টাকা শেষ হলে ঘরের ভারায় ।
বিনিত জীবন ভাঙ্গে সভ্যের দেয়াল ।
কঠিন চোয়াল, ভেঙ্গে খায় নিজ মাড়ী দাঁত ।
দু হাত ফিরিয়ে দেয় অনুপম ছোঁয়া ।
কদমে কদমে চেনে অন্ধকার পথ ।

এই ভাবে থেমে গেলে সৎ এর জীবন
নিজ হাতে রেধে খাবে আপন মগজ ।
ফুসফুস গলা গিলা কলিজা চুল ও নখ
পুরো দেহ খেয়ে নেবে ক্ষুধার জঠর ।

ভুলের চর্চা পেলে মূলের অধিক
অসভ্যের দল পায় সাহেবি জীবন !!

খতিয়ান ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

শুন্য বাড়ী
শুন্য গোয়াল
শুন্য গোলা ।
শুন্য উঠোন
শুন্য উনুন
শুন্য থালা ।
শুন্য হাত
পকেট মাথা
শুন্য দোয়াত
কলম খাতা ।
শুন্য ঘরের
ঘটি বাটি
শুন্য জীবন
জীয়ন কাঠী ।
শুন্য সকাল
দুপুর বিকাল
শুন্য ঘরে
একলা থাকা ।
শুন্য এখন
দৃষ্টি আমার
বুকটা আমার
ভীষন ফাঁকা ।

আর্যরা শোন ।


সাদাফ হাযসনাইন মানজুর

বুকের কষ্টকে বলি, থাক জেগে বুকে
জেগে থাক দিন রাত ।
তামাম পৃ্থিবী থাক নিজেদের সুখে
চলুক সুখের বৃষ্টিপাত ।

একাকী আমি ঘুরে ফিরে থাকি
লক্ষ জনের ভিতর ।
অনেকেই এসেছে বাগদাদ ছেড়ে
আমি এ মাটির এক অনার্য ঈতর ।

আমাদের মালসা ভাঙ্গা খালের উপর
যে কাঠের পুলটি ছিলো ।
সকাল দুপুর নেংটা ঝাপে
শৈশব খেয়ে গেলো ।

যৌবন আমার নগর ভাগাড়
ভরে ছিলো পঁচা গলায় ।
মাঝ বয়সে বিষ্বাদে হরষে
কাটাই ঝাড়ুর শলায় ।

আমড়ার ঢেকি মাকাল একাকী
লক্ষ জনের ভিতর ।
খল ছল আমি খুবি কমদামী
অনার্য এক ঈতর ।

স্বপ্ন ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

আমার স্বপ্ন দেখা রাত
সুখের যায়না ভোলা কিছু
দিগন্তে পথ দৌড়ে গেছি
তোমার পিছু পিছু ।
পাইনি ছুঁতে তোমায়
ক্লান্ত হয়ে বসে ছিলাম
শিমুল মেঘের ছায়ায় ।




বোতাম খোলা আকাশ 
ছিলো দিক ছাপানো
সবুজ চাদর
দারুন দুর্বা ঘাস ।
 
হাত দুরত্বে আমরা দুজন
ছিলাম মুখো মুখি

হঠাৎ চমকে মেঘ সরিয়ে
রোদ্র দিলো উঁকি  ।

হাতের কাছে ভরা দীঘি
পাতা ভাসা ঢেউ
ওপারে দুই চখা চখি
আমরা দুজনেও ।
ঢেউয়ের কথক
দেখেছিলাম
আর দেখেনি কেউ ।

আমার স্বপ্নে দেখা রাত
আজো যায়না ভোলা কিছু...............

হারালে বুঝবে পরে ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

পশ্চিমে তুমি
পূর্বে ও তাই
উত্তর দক্ষিনে
তোমাকেই পাই ।
আমি তোমার গ্রহনে যেতে চাই ।

সড়কে রবোনা
নড়কে ও না
স্বর্গে কিংবা
মর্গে ও যাবোনা
শুধু তোমার সঙ্গী হতে চাই ।

ডাইনে ও
বাঁয়েতে
আলোতে বা
ছায়াতে
তুমি ছাড়া তো কেউ নাই ।

উড়েও যাবোনা
পড়েও না
ধরেও না
সরেও না
তোমাকে নিয়েই বাঁচতে চাই ।

হারালে বুঝবে পরে কে এসেছিলো দ্বারে ।

মানুষ কলংকিত নিজেদের কল্যাণে ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
(১৮।০৪।২০১৪)
মিষ্টার রোদ্দুর আজকাল দিগন্তের ডাইনিঙ্গে বসে
আকাশ তন্দুরে পোড়া বাতাসের নান ,
মেঘের নেহারি ,বাটি তোলা শিশির পায়েশ 

সাত সাগর বৃষ্টিতে সেরে নেয় দুপুরের ভোজ ।

তিস্তার পোড়া টিস্যুতে মুছে মুখ
তৃপ্তির ঢেকূড় তোলে বাজের বাহারী হুংকার ।
জলের যুবতি কাঁদে ভাটির চিৎকারে, সমবেত
মানুষেরা হেরে যায় কাক’দের দলিয় মায়ায় ।

স্বপ্ন ভুক রাজা স্বপ্ন দেখে তিস্তার বুকে
ঝুলে থাকা থোকা থোকা খয়েরি খেজুড়
দেশে দেশে খুঁজে পায় খাবার টেবিল । 

মৃত প্রজাদের হাড়গোড় ভেঙ্গে নামে তেলের ব্যারেল । 
ডলার মুল্যে, ভুলে থাকে প্রেয়শী তিস্তার শোক । 

রাজকীয় ঢোল হাতে, গেয়ে যায় রাজার গায়েন
‘জয় হউক, জয় হউক মমতাময়ী নিষ্ঠূর নারীর’।
সুরের মহিমা খায় অনুড়া তিস্তার কোমল কফিন ।
ডানার পালকে দিয়ে বোরাক উড়াল,
সবিনয়ে দলিত মানুষ নক্ষত্র বৈঠকে গেলে
মৃদু গুঞ্জন ভাসে, কান পেতে শোনা যায়,
মানুষেরা অনিয়মে খোঁজে আয়েশী জীবন ।
হক কথা, মর্ম কথা , আমাদের সঙ্ঘ হবেনা ।

একথা জেনেছে সত্য । বুঝেছে তাবৎ সৌর পরিবার ।
পরমত বলি দিয়ে মানুষ রক্তের হোলিতে
পৃথিবীর ধ্বংস যজ্ঞে মেতে থাকে দিন রাত ।
সভায় সৌর সিদ্ধান্ত আসে
"মানুষ কলংকিত নিজেদের কল্যাণে" ।

মমতা.........২

মমতা............ ২

মমতা,এই বর্ষায়,ঝাক ঝাক মাছের মিছিলে
আমারো যাবার ইচ্ছে তোমাকে সঙ্গে নিয়ে ।
তুমি দেখে যেয়ো, বোধ হারা ক্রোধের আগুন
কি ভাবে পোড়ালে হয় নদী মরুভূমি ।

তুমিকি ঈশ্বর ? ভাংবে গড়বে প্রাণের ধরন ।
কসাই স্বভাবে কেটে তিস্তার জীবন
গোপন বৈঠায় ভেঙ্গে পালের অহম
কার গাঙ বেয়ে গাও ভাটিয়ালী গান ?

মমতা,শুদ্ধ সমতা হলে বিয়োগের কালে
পাবে চিতার আগুন আর ফুলের বাহার ।
ভুল হলে ষোল কোটি ফুল, শত কোটি
কীট নিয়ে উৎসবে সেরে নেবে প্রাতের আহার ।

প্রকৃতি, সেতো জলে ভরা ইয়ো ইয়ো খেলা নয়
ছেড়ে দিয়ে তুলে নেবে হাতের মুঠোয় ।
ঈশ্বর মহান গনতান্ত্রিক যেনো, বিদায়ের কালে
না পাবে শষাণ তুমি না পাবে আগুন ।

মমতা.........১

মমতা ............১

নদী হারিয়েছে নাব্যতা
চর জেগেছে বুকে
বহু মানুষের গাঢ় স্বর
একটি নদীর বুকে
আমি কী করে 'মমতা'কে
মানুষের নেতা বলি ?

গান হারিয়েছে ঝরণা
তিস্তা হারিয়েছে জল
সম্মিলিত কান্না
আমাদের সম্বল !
আমি কি করে মমতাকে
মানুষের নেতা বলি ?

সুর হারিয়েছে পাখিরা
বসন্ত বিপাকে
পাখিদের অভিশাপ
ভোগাবেই মমতাকে
বলো,কি করে মমতাকে
সত্যি মানুষ বলি ?

অভিধানে লিখে দেব
মমতা মানে নিষ্ঠুর প্রাণী ।
বদলে গেলে পালটে দিতে
আমরাও জানি ।