সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

শালিক ও মৃত্যু বিষয়ক চিত্রনাট্য ।

কাঁঠাল মুচির মতো ঘাড় ভেঙ্গে পড়ে আছে বালক শালিক
আধেক শরীর তার রয়েছে ডাঙ্গায় আধেক পড়ে আছে জলে

পাখিটির তৃষ্ণার্ত ঠোঁট হয়তোবা ছুঁয়েছিলো জলের শরীর
কিংবা মধ্যান্হ ভোজন শেষে প্রক্ষালনে নেমেছিলো খালের বেসিনে
জলের আয়না বুঝি তাকে মুগ্ধ করেছিলো খুব
নাকি নিরঞ্জন নদী ভেবে এই খানে বসেছিলো গৌতম স্বভাবে ।

ধ্যানের আড়ত দারি মানুষের একার ছিলোনা কখনো ।

তবে কি সুত্রটা জেনেছিলো সেও........................
এমন উঠতি বয়সে কোন প্রাণী থাকেনা একাকী
তাই বুঝি সঙ্গির হাত ধরে এসেছিলো এইখানে সত্য প্রেমের প্রমাণ দিতে ।
তামার আধুলী ছুঁড়ে জলের গোলায় সেও কি মনে মনে বলেছিলো
হে প্রভু, জলের তলদেশে এই আধুলী যেখানে
সুস্হির হবে,আমার প্রেমের গল্প সুরু হউক ঠিক তার পর থেকেই ।

এভাবে একাকী পড়ে থাকা পাখির সংবাদ কখনো ছাপেনি কোন দৈনিক
পাখিটির অন্তহিন ঘুমের নিজস্ব মুদ্রা বলে দেয়
পৃথিবীর মানুষকে বড় বেশী বিশ্বাস করেছিলো সে

তাই বুঝি তারে এই নদী তীরে প্রতিদান দিয়ে গেছে কোন শখের শিকারী ।

বৃক্ষ, পাখী ও মানুষের মতো নয়

ব্রাজক পাখীর চঞ্চুতে উড়ে আসে
পড়ে থাকে পোয়াতী বটের বীজ
স্মৃতির দলিলে আঁটা ইতিহাস খ্যাত
কোন পুরনো দালানের গায় ।

একদিন এই দালানের ঘরে ঘরে
খেলে যেতো অবলা নাচের মুদ্রা
কৃ্ষকেরা পিঠে নিয়ে ফিরে যেতো মোমের চাবুক ।
ভালবেসে প্রেমিকেরা পেতো সুধু যুগল মরণ ।
একদিন এইখানে আরো বহু কিছু হয়ে গেছে বহুদিন ।

আজ, রোদ জল বাতাসের সঙ্গমে বীজ ফুটে বটগাছ ।
শুধু ইতিহাস কাকে বলে পাখী তা জানেনা ।

মানুষের মতো পাখীরাও বড় বেশী বিস্মৃৃতি প্রিয় ।
বৃক্ষ যতো উঁচুতেই থাকনা কেনো
শেকড় তার নিজ প্রয়োজনে খুঁজে নেবেই নিশ্চিত মাটি ।

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

তোমাকে চাইবো কাছে



যুবরাজের জীবন নয়
সাধারনে রেখে দিও সারাটা সময় ।
শীতাতপ ঘর নয় টিনের চালায় ।
এক চিলতে বারান্দা দখিনা হাওয়ায় ।
পুর্ণিমার চাঁদ দিও, আলোর বিছানা
গোলাপ বকুল ঘিরে ঘরের সীমানা ।
ডিজিটাল ঘড়ি নয় দিও সুর্যের সময়,
দেরি হোক, যদি পায়ে হাটা পথ হয়।
স্মৃতির সলতে জ্বেলে খুঁজে নেবো পথ
যে পথে হারিয়েছি প্রথম শরৎ ।
মাটির সড়ক দিও সারি সারি লজ্জাবতি গাছ।
পুঁই ফুল লাউ শীম দেশী গুরো মাছ।
কাঠাল বিচির সাথে জিয়লের ঝোল
হেসে হেসে তুলে দিও গালে ফেলে টোল।
যতোটা রয়েছে বাধা রেশন আহার
তার চেয়ে কম দিও ক্ষতি নেই, খাবার
অন্তে দিও, বুকে তুলে পায়রার ওম 
পাড়া জুড়ে পড়ে থাক উতসব ধুম।
যদি কোন দিন চলে আসি ব্রাযক পাখী
তোমাকে চাইবো কাছে ভিষন একাকী ।

মানুষ হারেনা কখনো ।


যতোবার হেরে গেছি,ততবার জিতেছি দ্বিগুন ।
একজন চলে গেছে,বহুজন দাঁড়িয়েছে পাশে ।
কোরালের লাল চোখ ক্রোধের আগুন
জ্বেলে যারা ফেলে গেছে নিরুপায় ঘাসে । 

এক পথ থেমে গেলে,দশ পথ খুলে গেছে দ্রুত ।
আমাকে উচ্ছিষ্ট ভেবে ফেলে গেছে যারা,
বেদের জীবন বেঁধে এঘাঠ ও অঘাঠ ছন্নছাড়া
তারা স্বগৃহে উদ্বাস্তু আজ, বহুমুখে স্রুত ।

এক হাত ভেঙ্গে গেছে,বিধাতা সব হাত দিয়েছে নিকটে ।
কুটিলের কালো মুখ, পুড়ে ছাই নিজের আগুনে ।
বাতাসে ওড়েনি, জলে রাখিনি, রেখেছি ক্ষমার পকেটে । 
এইবার ফুল দেবো, দেখা হলে আগামি ফাগুনে ।

অহমের গিলা দিয়ে ভাঁজ ছিলো যাদের জীবন
কোঁচকানো স্মৃতি নিয়ে, ভিজে আছে ঠোঙ্গার মতোন ।
প্রিয়জন সাথে করে  পাড়ি দেই সুখের মোহনা
মানুষ, মানুষকে হারাতে পারেনা । কখনো হারেনা ।

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪

হারাম হারাম

ঘুসের টকায় বাবু মানিব্যাগ ভরেছো
আগোরা নন্দন খুঁজে চন্দন সাবান
শ্যাম্পু লোশন লিস্টি ধরা সামান
হারাম হারাম বলে চিৎকার জুড়েছো
আখেরের ভয়ে, হালাল মাংশ কিনেছো ।

সোম রষ কিনে খাও লাগেনা সরম
অর্থ দাপটে জুড়াও গায়ের গরম
তোমাদের কামে ঘামে একাকার যাদের বিছানা
তারা খুব অচ্ছুত, ফুুরালে রাতের সীমানা
বাবুদের পাপ ধুতে বুঝি, গঙ্গা লাগেনা !

" ঈশ্বরের বন্দনা করিও
ঊর্ধ মুখে পথ চলিওনা"
ধারাপাত ভুলেগেছো মনেও রাখোনা
শুয়োর স্বভাবে বেশ করছো আরাম
শুধু মাঝে মাঝে বলে ওঠো,

হারাম হারাম ।

প্রার্থণা

কৌশলে কৌশলে বড়ো বেশী কুৎশীত হয়ে গেছি প্রভু ,
এবার সরল করো আমায় । চাইলে তুমি সবি পারো ,
লাভার মধ্যে রাখতে পারো বরফ পাহাড় ।
পাহাড় বুকে তীল ছোট্টো কীটের আহাড় ।
তুমিই প্রভূ রহিম করিম ইসমে আযম, তুমি আল্লাহ্ ।
লা ইলাহা ইল্লাল-লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ।

এবার সরল করো তুমি, শুদ্ধ করো আমায় ।


এই আমাকেই
পারো তুমি,
করে নিতে
তোমার আপন ।
ডাকলে আমায়
ছেড়ে দেবো
সুজন স্বজন ।
নাওনা করে
বন্ধু তোমার ।
সকাল বিকাল
নিদ্রা আহার
তোমায় যপি,
তুমিই প্রভু
নিত্য স্বরণ ।

কয়লা কালো বুকের ভিতর, হিরা'র ঝিলিক
নূরের আলো দাওনা প্রভু চিক-ঝিক-মিক ।
ভিতর ভিতর কুট বুদ্ধি, কিটের কামড়
আনাকোন্ডা, হায়েনা কিংবা দাঁতাল হাঙ্গড়
কামড় ছোবল খাই যতোটা, দেই ফিরিয়ে অধিক
দিয়ে খেয়ে সব দিকেই পঁচে গেছি মালিক ।

এবার শুদ্ধ করো তুমি, সরল করো আমায় ।

পাল্টে দেবো + সকলি রসাতলে+যুদ্ধ

১। পাল্টে দেবো । 
প্রিয়তমা তিস্তা হলে সাহারার বোন
আমাদের হয়ে যাবে বেদুঈন ঝড়
আসছে বছর অভিধানে লিখে দেবো
"মমতা" মানে নিষ্ঠুর নারী ।
বদলে গেলে পাল্টে দেবো
আমরাও পারি ।

২। রসাতলে ।

এক ডাক্তারের মৃত্যু শোকে
ফ্যানে ঝুলে
দুই ভাই-বোন গেলো মরে ।
নগরায়ন
অর্ধেক বন
পাঠালো পরপারে ।
বাকি আধেক
গোত্র শোকে
ম'রে গেলে
সুশীলের
ঘাম খাবে
টক'শো ।
বুদ্ধিমান অন্ধ হলে সকলি রসাতলে ।

  ৩ যুদ্ধ ।
শুনুন মহাশয়,
হারজিত থাকবেই
শুধু যুদ্ধটা থামবেনা ।
জিতার জন্যে যেমন...
পরাজয় মনে রেখে ময়দানে থাকুন ।
হারতে হারতে জিতে যাওয়া যায় ।
অভ্যেসটা করুন না
দমটা ধরে রাখুন না
শুরু হো'ক বিজয়ের উৎসব ।

তুই ৪

তুই মেয়েটা ভালই ছিলি
শুধু শুধু কস্ট দিলি
দিপু'র মতো কাদা মাটির মানুষ'টাকে ।
খেক শিয়ালের চালে পড়ে
গোত্তা খেয়ে হাওয়ায় উড়ে
মানুষ ভেবে ধরলি শেষে ফানুস'টাকে ।

ভালই ছিলি তুই মেয়েটা
নাস্তা সেরে দুই পড়োটা
এক সকালেই চলে গেলি ।
এর পরেতো দুপুর ছিলো
বিকেল সন্দ্যা রাত্রী ছিলো
কোরমা পোলাউ ফিরনি ছিলো
পান্তা লংকা সাথে না হয়
নিমক বিহীন ভর্তা ছিলো
সুখ দুঃখের তিতা মিঠায়
পুড়ো জীবন পরেই ছিলো ।

দুঃখের ভয়ে সুখের খোঁজে
কার বুকে তুই মুখ লুকোলি
নাস্তা সেরে সকাল সকাল
চোরের মতো পালিয়ে গেলি ।

আমাকে কস্ট দিলে


আমাকে কস্ট দিলে সৌর চিৎকারে
নখত্র নাস্তিক হবে কক্ষপথ ভুলে ।
পিপিলীকার ধর্মঘট এই গ্রীস্মে
মম্বন্তরে ফুরাবে সকল সঞ্চয় ।
পোয়াতী শষ্যের মাঠ বিরান হবে
লুকানো পেটিকোট ছিঁড়ে খাবে ইঁদুরের দল ।

পোষা ময়নারা ভুলে যাবে বিনীত ভাষণ ।
চঞ্চুতে নেবেনা তারা পিপাশার জল ।
ক্রস ফায়ার ভোর নেবে নীরিহের প্রাণ
কল্প যুধ্যের ঠা ঠা শব্দে বেকুব মোরগ
ভুলে যাবে শোভিত সময় ।

সোনা রোদ গিলে খাবে মেঘের নেকাব
বাজের ইঙ্গিতে বেহালার সুর
ভুল তালে দিয়ে যাবে বৈঠকি গান ।
মেহেদী হারাবে তার বনেদি বাহার
আলপনা খেলবেনা অনুঢ়ার হাতে ।

চন্দনের ঘ্রাণ বিবাগী হবে, এই বর্ষায়
চোখের জলে ভেসে যাবে বিপাশার কূল
বানের বন্য স্রোতে দূর পথ
ভেসে যাবে মানবিক পলি ।

সূর্যের ছোঁয়া ফেরাবে সুর্যমুখী
দুরত্ব প্রেমের গপ্ল ফুরাবে এবার ।
আহরণ বয়কটে যাবে মৌমাছি দল 

আকালের দিনে মধুমুখ হবেনা
কোন নব যাতকের ।

আমাকে কস্ট দিলে নস্টরা ধিক্কার দেবে
আপাতঃ সভ্যরা ডেকে নেবে কাছে ।

তুই ১ ২ ৩

(১)
ডান কাতে শুই
বাম কাতে শুই
উভয় দিকেই শুই
ডানে শুলে
বায়ে তুই
বামে শুলে
ডান কাতে তুই
শুধু তোকে নিয়ে শুই
আমি তোকে নিয়েই শুই ।।
(২)
তুইতো মেয়ে
ঘন দুধের
পাতা দই
বিন্নি ধানের
সাদা খই
তুই যুগের
রাধা'ও নস
আমিও তোর
কৃষ্ণ নই ।

তবুও যদি
সঙ্গি হই ?
আমায় সাথে
নিবি সই
যদিও খুব
দামী নই ।
তোর প্রেমে
হোঁচট খেয়ে
বুকে আমার
ব্যাথা অথই।।
(৩)
তোর কাছে
দেহের চাবি
খুললে পরে
দেখতে পাবি
ফুরিয়ে যাচ্ছে
ঘরির সময়
পাপে তাপে
হচ্ছে যে ক্ষয়
দেহের আর
দোষ কি বল
দোষটাতো সব ভাবনাতে ।
আমি মরি
তোর সামনে
তুই দেখিস পাবনাতে ।

ফিরে তাকাবোনা বলে


বাঁশের মাচান বাঁধা বাড়ীর পালানে
বিনম্র ভোরের মতো সাদা লাউফুল
শিশির আয়না করে আয়েশে আবেশে
দেখে আকাশের মুখ ।

শালিকেরা হেঁটে হেঁটে ক্ষেতের বাতর
ঘুরে ঘুরে খেয়ে নিলে প্রথম আহার
মাছের উয়াস ভাঙ্গা পুরান পুকুর
তলপেটে ধরে রাখে হাটু ডোবা জল ।

কিশোরী ধানের বুকে এক ফোটা দুধ
দিন গুনে পেয়ে গেলে চালের গড়ন
গন্ধরাজ ভোর আনে কৃষকের দিন ।

নিদাঘ দুপুর দিলে রোদের আগুন
মহিষেরা খুঁজে নেয় জলের উদর
দিন শেষে পেয়ে যায় নিজ নিজ ঘর
শীতের আঁধার গড়ে রাতের বাসর ।

একাকী কদম তুমি শুনেছো ঠিকই
ঘুরে দাঁড়িয়েছি,ফিরে তাকাবোনা বলে ।

সুশীলব কুশীলব


আনুগত্যের অদৃশ্য জোয়ালে
পেখম তোলা মসলিন টাই
বিপত্নীক ঝুলে থাকে মানবীয় হ্যাঙ্গারে ।
ফ্রন্ট ফেইসটা ক্যামেরায় বিগ ক্লোজ-আপে ধরা ।
লাইট’টা একটু বাড়াওতো ভাই, হ্যা, ঠিক আছে ।
রেডী…থ্রী…টু…ওয়ান…জিরো…………
এ্যাকশানে পেয়ে গেলে সুশীল-সু্খ্যাতি ।
সু’চীল চিৎকার বিটোফেনের সুর ভাঙ্গে
সিদ্ধী সেবন সাধন ঢঙ্গে গৌতম স্বভাব ।

ভেল পুরি, প্রায় ভোঁতা চাকু-ছুরী মুল্যে
বৈদ্যূতিক দহলিজে বেচে দেয় সবুজ আচঁল ।
একজন
বহুজন
কে সে জন ?
ক্রোধের তুন ভরা অদৃশ্য তীরে গাঁথে সরল শীকার ।

একা একা
দলে দলে
উপদলে
সময় হীরক খন্ড মুঠো মুঠো ছুঁড়ে দেয়
অবহেলায় পড়ে থাকা নাড়া পোড়া ছাই’য়ের দরে ।

আখেরী দর্শন বাবা…
অদৃস্ট নিয়ন্ত্রনে প্রিয় অনামিকা
সুন্দরী নীলা’র দখলে দিয়ে, তুমি আলীফ ভুলেছো ।

বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে উঞ্চ নিঃশ্বাস গুঁজে দিয়ে
মেঘেদের যৌথ খামারে ঝড়,বৃষ্টির যুগল আবাদ দেখে
সামুদ্রীক অহংকারে ভুলে গেছো নুড়ী’র মহিমা ।

ঠগের গম্ভিরে লুকানো বিকি কিনির
সকল হিসাব নিতে কবিতা সুনামি আসিতেছে
শৃংখলিত ঢেউ সম্মিলিত মার্চ পাস্ট ।

বিষন্নতার দোষ কি বলো

বিষন্নতার দোষ কি বলো ?
ভালোবাসতে তার
না লাগে জল
না লাগে চাল-চুলো ।
একটু খানি আবাদ যোগ্য
মেজাজ পেলেই হলো
একটা মৌসুম দেখনা কি হয়
বিষন্নতা বেসে ভালো ।
বিষন্নতার দোষ কি বলো
দোষ কি বলো ?

ভায়া গোরস্থান

তোমার হাওয়ার গাড়ী যাবে ছাড়ি জীবন স্টেশান
শেষ ঠিকানা অনন্তপুর ভায়া গোরস্থান
ছাড়বে গাড়ী সময় হলে ঘড়ির কাঁটা ধরে
অনন্তপুর যাবে তুমি হাওয়ার গাড়ী চড়ে
তোমার এক সেকেন্ডও লেট হবেনা
গাড়ী দ্রুতযান,যাবা ভায়া গোরস্থান ।
এক সিটের গাড়ীতে যাবে
পুলসেরাতের পুল পাবে
দুই কনট্রাকটর ভাইবা নেবে
দীর্ঘ পথের হিসাব হবে
চালক ছাড়া যাবে গাড়ী হাসরের ময়দান ।
কাস্টমে বান্ধিবে তোমায় করবে পেরেশান
লাগেজ ব্যাগেজ যাই রবে চুলচেরা হিসাব হবে
স্ক্যানারে দেখতে পাবা আমলের প্রমাণ ।
তোমার এক সেকেন্ডও লেট হবেনা
গাড়ী দ্রুতযান,যাবা ভায়া গোরস্থান। 

ফড়িঙের বয়ান

আকাশ সুনীল বুকে
ফড়িং একাকী আমি, আনমনা।
সারাদিন উড়ে চলি মেলে দুই ডানা।
নামিতে চাইনা আমি আছি যেগো সুখে।

কোথাও বসিনা করি শুধু ওড়া উড়ি।
থাকিনা থিথু আমি ডানাওয়ালা ঘুড়ি।
ওপারে ঘর আমার আকাশের পরে।
নেবোনা কাউকে কখনো সঙ্গী করে

ইচ্ছেরা জোট বাঁধে সমবেত স্বরে।
কেমনে একাকি থাকি থাকিগো গোপন
নই পাপি তাপি সাদা ফড়িঙের মন।।

অবজ্ঞার কৌশল

তোমার হৃদয় বদলের ঝটিকা সফর
থমকে দিয়েছে কনকর্ড গতি।
বিশ্বাসী প্রেমিকেরা যন্ত্রণার চোখে জ্বলে ওঠা
জলের মুক্তায় দেখে নেয় আপন কফিন।

তুমি বৃষ্টির দোহাই দিয়ে ভালবাসার খেলায় মেতে ওঠো
পরিনামহীন বিবেচনায়, শরীর সম্ভোগে।
কাঁকড়ার দাগহীন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রেখে
তুমি তারে নাম দাও পাগলামি।

কনকর্ডের কারিগরি ত্রুটি কেড়ে নিলে সম্মিলিত প্রাণ
দুঃখ বাড়ে... দুঃখ বাড়ে...... দুঃখ বাড়েনা।
তোমার মানসিক ত্রুটি প্রেমিকের পুণ্য প্রার্থনাকে
তোমার কামের আগুনে পুড়িয়ে মারে।
আমি সেই সব মৃত প্রেমিকের কবন্ধ পাঠে
শিখে নেই তোমাকে অবজ্ঞার কৌশল।

তুমিহীন ভালোবাসাহীন জীবন পরিপাটি ।

আমাদের গল্প দেখে


কথা ছিলো তুমি ষ্টেশানের শেষ গাড়ী’টার অপেক্ষায় থাকবে ।
দিনের ক্লান্তি নিয়ে, আমি ফিরে আসবো লোকাল ট্রেনে।
হাতে নিয়ে ফল মুল তেল চিনি আনাযের থলি।
হাপরের তাল,বেঁধে দিলে ঘামের জীবন
স্মৃতির চাতাল খুড়ে তুলে এনে বাজারের ফর্দ
ফুটপাথ ঘুরে ঘুরে কিনে নিয়ে ব্যাগে ভরি জরুরি সামান।।

মাফলারের উষ্ণতা গলায় ধরে, খুঁজে বসি জানালার পাশ।
খুক খুক কাশি বাড়ে, শরীরের তাপ, জ্বরের প্রকোপ ।
নাপা’র ক্ষমতা খায় কালাজ্বর রাত, হাড়ের কাঁপন।
বালিকা রাতের বুকে চোখ ফেলে দেখি হু হু করে
ছুটে চলে ঘর বাড়ি গ্রাম, গাছের মিছিল।
গোল চাঁদ আলো নিয়ে খেলা করে কুয়াশার দল।।

প্রহর বিলম্বে এলে ট্রেন, তোমাকে খুঁজি।
প্রিয় স্টেশানে, কথা ধরে বসে আছো একাকি উন্মুখ।
ক্ষণকালে বুঝে নেই, প্রিয় অপেক্ষার অভিমান নদীর উৎস হয়,
কিছু কিছু গাঢ় প্রেম ।

একে একে চলে গেলে সব, চিনে নিতে পথে নামি আমাদের গ্রাম।
শাপভীতু তুমি, পথের চিতল বুকে আমাকে হাঁটাও,
দূর পথ উড়ে আসে মহুয়ার ঘ্রান, বয়াতীর গান,
মন জুড়ে পড়ে থাকে কথার বাগান।
ভাবের কুশুম ফুটে উঁকি দিলে দেড়জোড়া মুখ
আনন্দ আকাশ দেখি বাবা আর বাবাই বুবাই।।
হঠাৎ নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে গেয়ে উঠি.........
আজ আমি খবর পেলাম দখিনা বাতাসে......
আমাদের গল্প দেখে এই রাতে চাঁদ হাসে।।

বিনিময়


তুই বলছিস অল্প নিবি
আমায় দিবি অধিক
প্রেমে হয়না সিক্সটি-ফরটি
সমান হবে দু’দিক ।

উষ্ণতা তুই একাই দিবি  ?
আমি দেবো আদ্রতা !
ভালোবাসার চাল চলনে
এটা নয়রে ভদ্রতা ।

আমার বুকের ব্যাথা ছুঁবি ,
সত্যি ছুঁবি তুই ?
তোকে ছুঁতে দিয়ে যদি
আমিও একটু ছুঁই ?
ছুঁতে দিবি তুই ?

ছুঁয়ে ছুঁয়ে আপন হবার
পদ্ধতিটা আদি
না ছুঁয়েই করনা চেষ্টা
হতে পারিস যদি ।

সকল ব্যাথা কুড়িয়ে নিবি
জীবন নদী পাড়ী দিবি
ভাসিয়ে তোর মন পবনের নাও ?

তুইতো নসরে ব্লটিং পেপার
দুঃখ চুষে করবি ডিনার ।
সব বেদনা একাই খাবি ?
আমরা যাবো ফাও !

শরৎ গেছে, দেনা যেতে
বিশ্বাষে রাখ আঁচল পেতে
ভোরের আগে ভরে যাবে
শুন্য আঁচলটাও ।

আমার, যা আছে সুখ
হিবাহ করে দেবরে তোর নামে
কিনতে চাইলে পাবিনে তুই
সাত পৃথীবির দামে ।

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

পূর্ণিমা বিবাগী হলে

দেহ তার বাঁশপাতা ধার, দুধস্বর লজ্জাতে দূরে ।
রূপচাঁদা শিশুচোখ খেলা করে রুপার কোঠরে।
কালো রাত ডুবে থাকে রেষমের চুলে।
মেহগনি ফল আধফোটা বুকের বেলুন
দুলে ওঠে ফুলে ওঠে মোলায়েম ঢেউ।।

সেগুন চিবুকে একা অভিজাত কালোজিরা তিল
অভিলাষ নির্বাসন, আহ কি নিখুঁত নির্বাচন!!
গাছীর নিপুন হাতে কাটা খেজুর গাছের তলপেট
স্বেদ বিন্দু খুঁজে নেয় ঝিনুকের মুখ।

পথিকের আড় চোখ ছাড়েনা দেহ, ছাড়েনা স্বভাব।
বদের ভাগাড়ে বাজে সমবেত শীশ ।
বিষ মুখে পূজারীর ভাব ।

প্রতিদিন কাজ সেরে হাঁটা পথে ঘরে ফেরে
হাতে নিয়ে বাজারের ব্যাগ ।
প্রতারণা জানেনা বুনন কন্যা ।
শুয়োরের দল সাঁঝ রাতে ছিঁড়ে খায় মেহগনি ফল ।

পূর্ণিমা বিবাগী হলে স্বদেশ ঘুমায় অমাবস্যার কোলে !