শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

আমি জেগে আছি এখনো ।

সিডেটিভ দুরে যাও...
আমি জেগে আছি এখনো ।
মৃত্যুর পর ঘুম পাড়াতে এসো ।
আমিও দেখে নেবো শালা
রিয়্যালিটি নখ কতো বড়ো 
কতোটা ধারালো ।

অন্তঃসার শূন্য, গাধার কাফেলা কতো দীর্ঘ 
আমিও দেখে নেবো একে একে ।
বেদুইন চিৎকারে বলি ...
দুরে যাও সরে যাও
হটো হটো হুররর হটো
আমি জেগে আছি এখনো ।

প্রকৃতিই , প্রকৃত সাহিত্য ।

একদা বাতাস পড়ে পড়ে কাটীয়েছি সকাল বিকাল ।
দিনের রৌদ্রকে ছুঁয়ে , ছুঁয়ে গেছি জ্যোৎস্নার গাল ।
রাতের বিছানা জুড়ে দলে দলে জোনাকির ভির
সারারাত , ঘুম চোখে দেখে গেছি আলোর শরীর ।

নিস্তব্ধতা পাঠ শিখে , বহুবার পড়েছি বনের গহীন ।
কোথাও নেই , কখনো ছিলোনাতো সোনার হরিন ।
নিয়মিত দেখে দেখে জলের স্বভাব , ভেঙ্গেছি কঠিন ।
জেনেছি মাটির কাছে রয়ে গেছে মানুষের ঋন ।
মহা পাঠশালা , আমি কীটাধম অতীব নগন্য ।
বড় মমতায় জানি , আমাকে পড়ায় গভীর অরণ্য ।
তোমাকে পড়িনি কোন কালে , পড়িনি তা সত্য ।
প্রকৃতি পড়েছি শুধু , প্রকৃতিই প্রকৃত সাহিত্য ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

মধ্যরাত পাবেনা আমাকে ।

মধ্যরাত মধ্যরাত করে, কতো যে
অপেক্ষ্যা করেছি !
পাইনি কখনো ।   

ঘড়িতে বারোটা বেজে থাকে প্রতিদিন !
দিন রাত্রি সমান আমার
রাত্রি দিন সমান !

অপেক্ষ্যারা মরে গেলে
মধ্যরাত ফিরে যাবে একদিন
একাকী নির্জনে ।

শুধু আমাকে পাবেনা ।
আমাকে পাবেনা । 
কখনো পাবেনা ।

বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৪

যাগা দেন , হোউমকে যামু ।

আবে হালায়, লইড়া খারান । যাগা দেন ।
আমি হোউমকের দিকে যামু ।
ছবুর করতে করতে
লাইনে খারাইতে খারাইতে
আপনেগো কাছে চাইতে চাইতে
আত পাততে পাততে
দুয়ারে গুরতে গুরতে
চপ্পল খয় করতে করতে
না খাইয়া থাকতে থাকতে
বোবা অইতে অইতে
বেবাক কষ্ট সইজ্জ করছি
পাইনাই কিচ্চু ।
মাগার নষ্ট অইনাইক্কা ।

এই ফির, খাড়ায়া যাগা দেন ।
আমি হোউমকে যামু ।
বহুদুর... হোউমকে যামু ।
 

মানুষ ৫

মানুষের মায়াবী মুখ কুৎসিত হলে
সোহেলার গান জমে হুতুমের মুখে ।
লজ্জানত মুখ, পেঁয়াজের জড়ানো স্বভাবের
ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফেরে বিলুপ্ত প্রেম ।

বাঁধাকপির নিপুণ গড়ন চেনায়
শিল্পের কারুকাজ ।
মানুষ কানে কানে দিয়ে যায়
ভাঙ্গনের মন্ত্র ।

আনারের সাজানো ঘরে,আব্রুর মহিমা দেয়
গায়ে গায়ে লেগে থাকা স্বচ্ছ পরল ।  
চোখ মেলে চেয়ে দেখি অগনন মানুষ !
যৌথ উদ্যোগে জমে গেছে কামের বাজার ।

মানুষের সংসারেরা নগ্নতার উৎসবে মেতে থাকলে
অভিমানে ফিরে যায় পূর্ণিমার আলো ।

লালসার জটিল ফেভিকলে আটক মানুষ
অপার সহিষ্ণুতায়, চারদিকে গড়ে তোলে
অদৃশ্য দেয়াল ।
জীবনের ভীড়ে খুঁজি আরেক জীবন ।
এ কোন জীবন আমি, বয়ে যাই জীবনের পিঠে ! 


মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৪

আজো বোঝনি তুমি ।

তালপাতা কলাপাতা বাঁশী নিয়ে
আমাদের তর্ক হতো খুব ।
তুমি তালপাতার পক্ষে ছিলে,
আমি কলাপাতা । 


বৈ মাতৃক শিবিরীয় আচরণে
তুমি আমি আড়ি নিয়ে চুপ ।
কিছুতেই মানতে না তুমি ।
আমিও নাছোড় ।


কলাপাতা কলাপাতা বলে
যেই না বাড়িয়েছি মুখ
দুধ স্বাদ মুখে ঢেলে 

গলা দিতে ছেড়ে .........

" আমি মেলা থেকে তাল পাতার এক বাঁশী কিনে এনেছি "

যেন এ গানেই জিতে গেছো
পৃথিবীর সব তাল গাছ ।
বোঝনি তুমিও  
আমিও পারিনি বোঝাতে.........

কোমলে কঠিনে কতোটা ফারাক !

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ২

চল ঘোড়া, গভীর অরণ্যে
মানুষের আস্তাবল ছেড়ে ।
এ শহর পড়ে থাক যেভাবে আছে ।
রাজপথ শুয়ে থাক ডোম ঘরে পড়ে থাকা,
কাঁটা ছেঁড়া লাশের মতন ।
ভাগ করে নিয়ে যাক এ নগর উত্তর দক্ষিণ ।
ছবির হাট আবারো কেঁদে উঠুক
আহত চিত্রকলার বেদনায় ।
শাহাবাগ সাফ সুফ করে নিক কেটে ছেঁটে
চেতনার চুল দাঁড়ি নখ ।
রেসিপির কবিরা পাতে পাতে
তুলে দিক সুস্বাদু কবিতা ।
পদকে ভারী হোক তাহাদের শীর ।
আমি গাঁটের খরচে নত মস্তকে নেবনা কিছুই ।
শত কবিতা ছেপে দেবো গাছেদের পাতায় পাতায় ।
সবুজেরা কবিতার প্রকৃত পাঠক ।
মানুষের মতো দলবাজি শেখেনি বনানি ।
চল ঘোড়া, গভীর অরণ্যে
মানুষের আস্তাবল ছেড়ে ।
যেখানে গনতন্ত্র থাকে
শহীদ মিনার থাকেনা ।

তিন যুগ ।

একবার ছুয়েছিলে তুমি
একবার দিয়েছিলে সব ।
তিন যুগ কেটে গেলো
চুপচাপ নিথর নীরব
সেই সুখের মদিরায় ।

তারপর কতবার গিলেছি যে, প্রেমের আফিম
কতবার সোমলতা তুলেছি ডাঙ্গায়
দোচোয়ানি মুখে মুখে কতো যে ঘুরেছি
মহুয়ার ঝিমতালে এলোমেলো খুঁজে গেছি
কতো শত মুখ ।
কোথাও পাইনি তা এতটুকু, দিয়েছিলে
যতটুকু সুখ ।
কি ছিলো তোমার কাছে তিন যুগ আগে !

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪

মমতা ৪

মমতা  ৪ । 
যে জলে শুকাও তুমি 
সে জলে ডোবাও
কতটা পারো তুমি
দেখি,কতো দুরে যাও ।
কতো নদী রক্তে যে
কিনেছি এ দেশ
লাল সবুজের এই
প্রিয় বাংলাদেশ ।
যে জল বল দিয়ে
বাঁধে আটকাও
সে জল বৈধ পথে
কতটুকু পাও ?
তিস্তার বুক তুমি
করে দিয়ে খালি
মিছে ভাষণে পাও
মিছে হাত তালি ।
মমতার মমতায়
পানি নেই তিস্তায়
তিস্তার বুকে শুধু
ধু ধু মরু বালি
ভুলে গেছো মমতা
ষোল কোটি বাঙ্গালী!
বঞ্চিত করে তুমি
পালাবে কোথায়
তিস্তার পানি ধরে
রাখো গঙ্গায় !
কোন চেক দিয়ে তুমি
পানি কিনে নিলে
এ দেশ পোড়াবে বুঝি
মঙ্গায় ফেলে !
মমতা গো মমতা
দেখেছো কি সরোতা
মাঝখানে ফেলে দেবো
এমন এক চাপ
বুঝবে বাঙ্গালী ক্যামন
বাপরে ! বাপ !!
অভিদানে লিখে দেবো
নিষ্ঠুর প্রাণী
মমতা মায়া নয়
হায়েনা জানি ।। 








তরুণ অরুণ ।

তরুণ অরুণ ।
তরুণ অরুণ
তুমি
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো ।
ভাংতে
ভাংতে
ভাংতে
আরো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
নির্মাণের
প্রতিজ্ঞায় ।

ইন্দ্রিয় ।

ঘৃণারা ক্ষমা পেলে মাথা তুলে
উঁকি দেয় চোতরার বীজ ।
লালসারা খলবল আজীবন
চেটেপুটে খায় ।
না থাকে উপরে কিছু
না থাকে তলায় ।

ভালোবাসা বয়সে ফিকে হয়ে যায় ।
প্রেমের গোলাপ চুপচাপ বইয়ের পাতায় । 

ছোটরা বড় হলে, বড়রা বুড়ো হয়ে যায় ।
বৃদ্ধরা চলে গেলে স্নেহরা ঐ পথে
আরেকটু আগায় ।

কামের কামড় পড়ে ষোল ঊর্ধ্বে ষাট
দেবতারা খোলেনি কখনো কেলির কপাট । 

ইশকাপনের বিবি ।


চিড়ার দুরি
এই হাতে
ঐ হাতে
অযত্নে ঘুরি ।

ইশকাপনের বিবি
রাজা সহ
পেয়ে গেছো
ঘরের গোলাম ।
তোমারে সেলাম বিবি
তোমারে সেলাম ।

সূর্যের হাঁসি ।

সূর্যটা শুয়ে থাক মেঘের জাজিমে ।
দূর পথ হেঁটে যাব একাকী নির্জনে ।
ক্লান্তিকে দিয়ে দেবো গ্রীষ্মের ছুটি ।
রাজপথে, আড্ডায়, বাদে ও বিবাদে
ঘরে,অবসরে তুমি শুধু ধরে রেখো
ঐ মুখে সূর্যের হাঁসি ।

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ... ১

বাঘের রক্তে পাওয়া শহীদ মিনার
ছুটা ছাটা ইঁদুরে কেটে খাচ্ছে কিনার ।

হে পিতা ,
আপনার সিংহ হৃদয়ে 
সকলের যায়গা ছিল।
নিঃশ্বাসের বারান্দা

ছড়ানো বাহু
মায়া 
প্রেম 
ক্ষমা
ছিল ।

পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া সকল সম্পদ
ষোল কোটি সন্তান আলস্য উৎসবে
খেয়ে খু'য়ে
বেচে থুয়ে
দে

লি
য়া ।

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ।

প্রতিবাদী শাহাবাগ কতো চেতনা কতো ভাগ
এরা ওরা তারা আরো কতো কতো নাম
আমি আম, নাম ধাম হীন অবাক
সকলেই বাঁশি হাতে সকলেই শ্যাম ।

এরা ওরা তারা কারা ছোট ছোট দল
এক মাথা দুর্গা দশ হাত ধরে আছে
দশটা কারণ, না দেখে কুয়ার তল
নাবালক চেতনারা নাচে ।

শাহাবাগ শাহাবাগ শাহাবাগ থেকো
তুমি কোন দল নও, ইথিহাস পাষাণ
ছাড়বেনা তোমাকে,যদি ভুল ছবি আঁক
সত্য ধর সত্যে করো সত্য নির্মাণ ।

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

মানুষ ।

রশুন একত্রে থাকে নিজগুনে ।
মানুষ বিচ্ছিন্ন তার স্বভাবে ।
বার্ধক্যপ্রাপ্ত আদায় তেজ বেশী ।
মানুষ অচল হাড়ের বয়সে ।
পুরনো মদ মুল্যে অধিক ।
বয়সি মানুষ পাড়ার ভাগাড় ।
আসবাব সুন্দর শুস্ক কাঠে ।
মানুষ সুন্দর মৃত্যু ।

মানুষ !

আনন্দের ঘি তেলে
পাঁচ বেলা ফোঁড়ন দিই
মেজাজের উনুনে ।
স্বভাবের মিশ্র সবজীতে
খুব ঝাল ছিলো গতকাল ।
সারারাত পুড়েছে জিব ।
পুড়েছে হৃদয় ।
পাদদেশের অফুরন্ত শক্তিতে
পাহাড় মাথা তুলে ছুঁয়ে দেয়
মেঘের শরীর ।
স্নানের তৃপ্তি নিয়ে
পড়ে থাকে কঠিন পাথর ।
দিনের বয়স বাড়ে,
যুগের অশ্বথ নিজ শিকড়ে
স্বাস্থ ধরে মাটির আস্বাদে ।
অনুজল বুকে থাকে সাগরের স্রোত ।
ঊর্মি মালায় ভেঙ্গে পড়ে কুলের নিয়ম ।
না হয়েছি অশ্বথ, সাগর ।
না পাহাড়, পাথর ।
কেবলই মানুষ !

দোহার ।

আমি মন মুনিয়ার দোহার হবো
তার ভিতরের যন্ত্র ছোঁবো
সুরে সুরে বাজিয়ে নেবো
সকল তালে তারে।
তোরা কেউ ঠেকাসনে আমারে
আজ ঠেকাসনে আমারে।

স্বত্ব ।


হাত ধরে বললেই হলো
ঘর রয়েছে খালি,চলো ।
শরীরটা কি মন্ডা মিঠাই !
ইচ্ছে মতো হাত পেতে চাই ।
যখন তখন, দে গোল্লা ছুট ।
মাই ফুট । ফোট শালা,ফোট ।

গতর আমার বেহেস্তি বাগান
জায়নামাজের স্বত্ব বেচি নাই ।

ভান ।

ভান করেছি,ভান করেছি প্রেমের নামে।
হিরক খন্ড কিনতে গ্যাছি জলের দামে।

নারী ও মুদ্রা ।

নারী আর মুদ্রায় পার্থক্য নেই ।
দুটো ছাড়া জীবন আচল ।
এক ঘোষণায় দুটোই অচল ।

বিনয় ।

বিনয় হচ্ছে জ্ঞ্যানের বাড়তি অলংকার ।
সব'চে সুন্দর, সবচেয়ে দামি ।
যার মালিকানা কিয়দংশের হাতে ।
বাকিরা স্বভাবি উদবাস্তু ।