শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

ছড়া কবিতা ।

ছড়া কবিতা / কিশোর কবিতা 

(১)

বিনিময়

তুই বলছিস অল্প নিবি
আমায় দিবি অধিক
প্রেমে হয়না সিক্সটি-ফরটি
সমান হবে দু’দিক ।।

উষ্ণতা তুই একাই দিবি ?
আমি দেবো আদ্রতা!!
ভালো্বাসার চাল চলনে
এটা নয়রে ভদ্রতা ।।
আমার বুকের ব্যাথা ছুঁবি ?
সত্যি ছুঁবি তুই?
তোকে ছুঁতে দিয়ে যদি
আমিও একটু ছুঁই?
ছুঁতে দিবি তুই ??
ছুঁয়ে ছুঁয়ে আপন হবার
পদ্ধতিটা আদী
না ছুঁয়েই করনা চেষ্টা
হতে পারিস যদি ।।
সকল ব্যাথা কুড়িয়ে নিবি
জীবন নদী পাড়ী দিবি
ভাসিয়ে তোর মন পবনের নাও ....
তুইতো নসরে ব্লটিং পেপার
দুঃখ চুষে করবি ডিনার !
সব বেদনা একাই খাবি !
আমরা যাবো ফাও !
শরৎ গেছে, দেনা যেতে
বিশ্বাষে রাখ আঁচল পেতে
ভোরের আগে ভরে যাবে
শুন্য আঁচলটাও ।।
আমার, যা আছে সুখ
হিবাহ করে দেবরে তোর নামে
কিনতে চাইলে পাবিনে তুই
সাত পৃথীবির দামে!!!!!

(0২)

বিষন্নতার দোষ কি বলো (?)...
ভালো্বাসতে না লাগে জল 

না লাগে চাল-চুলো ।
একটু খানি আবাদ যোগ্য 

নরম মেজাজ পেলেই হলো ।
একটা মৌসুম দেখোনা কি হয় 

বিষন্নতাকে বেসে ভালো 
বিষন্নতার দোষ কি বলো ? 

দোষ কি বলো ?

(0৩)
যতই বলিস
দুরের শহড়
তুইতো আছিস
বুকের ভিতর ।
পনের হাজার
কিলো মিটার
ঐ দেখা যায়
এপাড় ওপাড় !
এ পথ কি আর
খুব বেশী দুর ?
ততোই কাছে,
যতটা গলা ও সুর ।
ঝড়তে দে তুই,
সময় ওদের ঝ’ড়ে যাওয়ার ।
কুড়িয়ে নে তুই,
তোর সময়টা কুড়িয়ে পাওয়ার ।
ও্মা! Call দেবো কি
হাওয়ায় উড়ে ?
মন পবনের
নাও’য়ে চড়ে ?
দিস্ নি কেন
Cell ঠিকানা ?
ইচ্ছে তোর
গল্পো করার,
ভাব বিনিময়
মেজাজ ধরার ।
তোকে ধরার
Clue দিবিনা ?
আমি তোর মতো
নই, গোপন কৃপণ ।
আমি তোর
বন্ধু আপন ।
পাঠিয়ে দিলাম
ফোনের Digit,
করিস এবার
কথার Visit ।। 


(0৪)

তোর মন জানালা...
পুরো খোলা...
তুইতো কবি...
বন্ধু হবি ?
বলনা নীলা...
মেঘলা দিনে...
নিবি চিনে...
উদাস দুপুর...
বৃস্টি নুপুর...
ঝিরি হাওয়া...
আমি হবো...
ঝরা পাতা...
ঝরে যাওয়া...
আমাকে তুই...
মিস করবি
আমায় নিয়ে...
দুই একটা...
ছড়া লিখবি...
আমিও কবির...
বন্ধু হবো...
কাব্য ছড়ায়...
দখল নেবো...
এই টুকুন...
ছোট দাবি...
খুবি খোলা...
তুইকি আমার...
বন্ধু হবি ?...
বলনা নীলা...


(0৫)

আকাশ সুনীল বুকে
ফড়িং একাকী আমি, আনমনা।
সারাদিন উড়ে চলি মেলে দুই ডানা।
নামিতে চাইনা আমি আছি যেগো সুখে।

কোথাও বসিনা করি শুধু ওড়া উড়ি।
থাকিনা থিথু আমি ডানাওয়ালা ঘুড়ি।
ওপারে ঘর আমার আকাশের পরে।
নেবোনা কাউকে কখনো সঙ্গী করে
ইচ্ছেরা জোট বাঁধে সমবেত স্বরে।
কেমনে একাকি থাকি থাকিগো গোপন
নই পাপি তাপি সাদা ফড়িঙের মন।

 (৬)

কথা ছিল কথা হবে ফোনে ......
নিষেধ করনি তুমি শুনে......
কার কাছে দিয়ে দেহ মন.......
তুমি নিলে একাকী জিবন.......
মিলে গিয়ে দুধে জলে একা
ভালোবেসে খাওনিকি ধোঁকা ?
লয় তাল কেটে গিয়ে সুর .......
থেমে গেছে জীবন সুরুর .......
কোথায় তুমি,সে কতো দূর!! ......


(৭)

বৃষ্টি মানেই স্মৃতির স্রোতে
একলা ভেসে যাওয়া
বৃষ্টি মানেই মিশেল স্মৃতির
মৃদু মন্দ হাওয়া
বৃষ্টি আমার সুখের আড়ত
বৃষ্টি চির প্রেম 
বৃষ্টি আমার অমৃত রস
বৃষ্টি আমার হেম ।


(৮)

শূন্য বাড়ী
শূন্য গোয়াল
শূন্য গোলা ।।

শূন্য উঠোন
শূন্য উনুন
শূন্য থালা ।।
শূন্য হাত, পকেট, মাথা
শূন্য দোয়াত, কলম, খাতা।।

শূন্য ঘরের ঘটি বাটি
শূন্য জীবন জীয়ন কাঠি
শূন্য সকাল দুপুর বিকাল
শূন্য ঘরে একলা থাকা
শূন্য এখন দৃষ্টি আমার
বুকটা আমার ভীষণ ফাঁকা ।

(৯)

দরোজা'টা খোলা ছিল
তুমি ছিলে ঘুমে
পটে আঁকা তোমায় দেখে
পরে গেলাম প্রেমে...

আব্বু তোমার অফিস বোধহয়
মা গেছেন নাইতে
ঘুমে সুন্দর দেখতে তুমি
জেগে থাকার চাইতে...
তাই তোমাকে জাগাই'নিতো
উচ্চ ম্রিদু স্বরে
মাঝ দুপুরে পূর্ণিমা চাঁদ
সেদিন তোমার ঘরে...
কাছে পেয়েও পূর্ণিমা চাঁদ
ছুঁইনি আমি সেদিন
চাঁদ সুন্দর তোমায় দেখে
মুগ্ধতায় বিলীন...

(১১)

পাত্রী তাহার ছাত্রী ছিল
এখন ঘরের ইস্তিরি
মাষ্টার মশাই প্রমাণ দিলেন
প্রেমের বড় মিস্তিরি।

মাথা মোটা ছাত্রীটি আজ
ঘরের পাকা গৃহিণী
মাষ্টার এখন ঘরের ম্যাও
বউটি ঘরের বাঘিনি।
মহান পেশা ছেড়ে দিলেন
ঘরের নীচে লনডিরি
পাঁচ টাকাতে কাপড় ডলেন
ভাবেন, ভালই ছিল মাস্টারি।

(১২)

তুই মেয়েটা ভালই ছিলি
শুধু শুধু কস্ট দিলি
দিপু'র মতো কাদা মাটির মানুষ'টাকে ।
খেক শিয়ালের চালে পড়ে
গোত্তা খেয়ে হাওয়ায় উড়ে
মানুষ ভেবে ধরলি শেষে ফানুস'টাকে ।

ভালই ছিলি তুই মেয়েটা
নাস্তা সেরে দুই পড়োটা
এক সকালেই চলে গেলি ।
এর পরেতো দুপুর ছিলো
বিকেল সন্দ্যা রাত্রী ছিলো
কোরমা পোলাউ ফিরনি ছিলো
পান্তা লংকা সাথে না হয়
নিমক বিহীন ভর্তা ছিলো
সুখ দুঃখের তিতা মিঠায়
পুড়ো জীবন পরেই ছিলো ।
দুঃখের ভয়ে সুখের খোঁজে
কার বুকে তুই মুখ লুকোলি
নাস্তা সেরে সকাল সকাল
চোরের মতো পালিয়ে গেলি ।

(১৪)
ডান কাতে শুই
বাম কাতে শুই
উভয় দিকেই শুই
ডানে শুলে
বায়ে তুই
বামে শুলে
ডান কাতে তুই
শুধু তোকে নিয়ে শুই
আমি তোকে নিয়েই শুই। 


তুইতো মেয়ে
ঘন দুধের
পাতা দই
বিন্নি ধানের
সাদা খই
তুই যুগের
রাধা'ও নস
আমিও তোর
কৃষ্ণ নই
আমায় সঙ্গে
নিবি সই
যদিও খুব
দামী নই
তোর প্রেমে
হোঁচট খেয়ে
বুকে আমার
ব্যাথা অথই।।
 

তোর কাছে
দেহের চাবি
খুললে পরে
দেখতে পাবি
ফুরিয়ে যাচ্ছে
ঘরির সময়
পাপে তাপে
হচ্ছে যে ক্ষয়
দেহের আর
কিইবা দোষ
দোষটাতো সব ভাবনাতে
আমি মরি
তো্র সামনে
তুই দেখিস পাবনাতে।


(১৫)

ঘুসের টকায় বাবু মানিব্যাগ ভরেছো
আগোরা নন্দন খুঁজে চন্দন সাবান
শ্যাম্পু লোশন লিস্টি ধরা সামান
হারাম হারাম বলে চিৎকার জুড়েছো
আখেরের ভয়ে, হালাল মাংশ কিনেছো ।

সোম রষ কিনে খাও লাগেনা সরম
অর্থ দাপটে জুড়াও গায়ের গরম
তোমাদের কামে ঘামে একাকার যাদের বিছানা
তারা খুব অচ্ছুত, ফুুরালে রাতের সীমানা
সাহেবের পাপ ধুতে বুঝি, গঙ্গা লাগেনা ।
" ঈশ্বরের বন্দনা করিও
ঊর্ধ্ মুখে পথ চলিওনা"
ধারাপাত ভুলে গেছো মনেও রাখোনা
শুয়োর স্বভাবে বেশ করছো আরাম
মাঝে মাঝে বলে ওঠো হারাম হারাম ।

(১৬)

কেঁদে উঠি মাঝে মাঝে একা ঘরে শিশুর মতোন
ঠোঁট বাঁকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে
কেঁদে উঠি উথাল পাথাল
শব্দ ছাড়া কেঁদে চলি একলা মাতাল
রাঙামাটির রাত্রী যদি আর না আসে
আর না আসে পাহাড় ছুঁতে মেঘের গোলা
ছবি তোলা পাগলা স্বভাব, তোমার অভাব
ভোগায় যদি আমার সময় আমার জীবন
সাগর যদি আর না ডাকে আগের মতোন
মনে হলেই কেঁদে উঠি উথাল পাথাল
শব্দ ছাড়া কেঁদে চলি একলা মাতাল

ইচ্ছে আমার হয়না তবু মাড়িয়ে দিতে তোমার চাতাল।


(১৭)

তোমার কথার পাথড় কণা
পড়লো এসে বুকের মাঝে
সুখের চোখে মেঘ জমেছে
আজ পৃথিবী যাবে ভিজে।

সুখের কপাট খীল দিয়েছে
দুঃখের দুয়ার খোলা
বুকে কথার তীর বিঁধেছে
তীব্র দহন জ্বালা।
কথায় কথায় ব্যথা
দিতে চাও যদি
দুঃখ রোদে শুকিয়ে
যাবে সুখের নদী।
তাইতো আমি ঠিক করেছি
কাঁদবোনা আর দুঃখ পেলে
কষ্ট দিয়ে দেখো দেখি
কেমন কাটাই হেঁসে খেলে।

(১৮)

যদি পুড়ে হই ছাই

যদি নদী হয়ে যাই
যদি সাগরে হারাই
যদি ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ি
তুমি থাকবে কিগো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
উজান স্রোতে যদি ফিরি।।

যদি পাখী হয়ে যাই
যদি বনে চলে যাই
যদি গৌতম ধ্যানে বসে পড়ি
তুমি আসবে কিগো মেয়ে
আমার নটিনী হয়ে
পাত্রে দুগ্ধ পুর্ণ করি ।।
যদি মেঘ হয়ে যাই
যদি আকাশে মিলাই
যদি বৃস্টি হয়ে ঝরে পড়ি
তাকিয়ে অবাক চোখে
আমায় নেবে কি মেখে
তো্মার আঁচলে যদি পড়ি ।।
যদি রোদ হয়ে যাই
যদি কিছুটা পোড়াই
যদি পুরোটাই পুড়ে হই ছাই
তুমি থেকোনা গো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
আর যদি ঘরে না ফিরি ।

(১৯)

আবার তুমি বাসছো কাকে ভালো
কাকে দিচ্ছো অন্ধকারের কালো
দিচ্ছো কাকে শরীর ভুগোল তুমি
কে পাচ্ছে হৃদয় মনোভূমি ?

(২০)
এভাবেই লুকিয়ে রেখো নিজেকে
যে ভাবে মুক্তো থাকে ঝিনুকের বুকে ।
এসোনা, কখনো সামনে এসোনা।
তোমাকে দেখে নেবো অন্তরচোখে ।

(২১)

বিশ্বাষের সুইস ব্যাংকে থরে থরে সাজিয়ে রাখা
ভালোবাসার তর তাজা নোট ক্রোধের আগুনে
পুড়ে ছাই করে দিলে !
সবইতো তোমার ছিলো জানি ।
কি করে পোড়ালে সখি নিজে গড়া
ভালবাসার ঘর !


 (২১)

আগুন পোড়ায় না ততো
যতোটা কৌশলী প্রেম ।
শত ফোটা অমৃত মারে
এক ফোটা বিরহের হেম ।
একবার ভালবেসে
বারবার মরে যেতে চাই ।
অমৃত আবাদে যদি
কৃষকের অধিকার পাই ।
নরমে পাইনি ততো
যতোটা পেয়েছি কঠিনে ।
পেরেক গেঁথেছো সখি
এই বুকের গহিনে ।

(২২)

মশাই ,
আপনি আমায় ভুল বুজেছেন দারুন ভাবে
ঘুস আমি খাইনা মোটেও ঘোর অভাবে ।
ভালোবেসে লাউ মুলোটা নিয়ে এলে ঘরে
ঘরের লক্ষী তারে আমি ফিরাই ক্যামন করে ?
পুকুরের মাছ ,পালতু মুরগি,গাভীর খাঁটি দুধ
এটাকে কি ঘুস বলা যায় কিংবা অন্য রকম সুধ !
কাজ করে দেই, খুশি মনে যে যা দিয়ে যায়
দু'হাত তুলে নিত্য করি শুকরিয়া আদায় ।
আমায় তিনি দেবেন বলেই এমন বাহানা ।
আমি জানি এই সত্য, মশাই জানেনা ।


(২৩)

ভরাট বুকের স্পর্শ লেগে আছে বর্ষিয়ান পিঠে ।
যমজ ফলের মতো এভাবেই থেকে যাক বৃন্তে ।
এপ্রান্ত ছুঁয়ে দিলে
ওপ্রান্ত নড়ে ওঠে ।
দুরন্ত উরন্ত গতি
ঘুরে বসে, দূরে যাবো
নেইতো উপায় ।
এমন কষ্টের সুখ ফিরে যদি আসে আরবার
এভাবেই বসে থেকো ।
ভরাট বুক লেগে থাক বর্ষিয়ান পিঠে ।


মাটির গনেশ খায়না
মানুষ গনেশ পায়না ।
 



(২৪) ।

মমতা 

যে জলে শুকাও তুমি
সে জলে ডোবাও
কতটা পারো তুমি
দেখি,কতো দুরে যাও ।
শতো নদী রক্তে
কিনেছি এ দেশ
লাল সবুজের এই
প্রিয় বাংলাদেশ ।
যে জল বল দিয়ে
বাঁধে আটকাও
সে জল বৈধ পথে
কতটুকু পাও ?
তিস্তার বুক তুমি
করে দিয়ে খালি
মিছে ভাষণে পাও
মিছে হাত তালি ।
মমতার মমতায়
পানি নেই তিস্তায়
তিস্তার বুকে শুধু
ধু ধু মরু বালি
ভুলে গেছো মমতা
ষোল কোটি বাঙ্গালী!
বঞ্চিত করে তুমি
পালাবে কোথায়
তিস্তার পানি ধরে
রাখো গঙ্গায় !
কোন চেক দিয়ে তুমি
পানি কিনে নিলে
এ দেশ পোড়াবে বুঝি
মঙ্গায় ফেলে !
মমতা গো মমতা
দেখেছো কি সরোতা
মাঝখানে ফেলে দেবো
এমন এক চাপ
বুঝবে বাঙ্গালী ক্যামন
বাপরে ! বাপ !!


(২৫)

স্বত্ব ।
হাত ধরে বললেই হলো
ঘর রয়েছে খালি,চলো ।
শরীরটা কি মন্ডা মিঠাই !
ইচ্ছে মতো হাত পেতে চাই ।
যখন তখন, দে গোল্লা ছুট ।
মাই ফুট । ফোট শালা,ফোট ।

গতর আমার বেহেস্তি বাগান
জায়নামাজের স্বত্ব বেচি নাই ।


(২৫)
তিনু মিনু'র পবিত্র হজ্ব ।
( আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েত কবুল করুন । আমীন)
এক জোড়া ভন্ড,
বসে দুই দন্ড
ক্ষুধা পেটে
এহরাম
ছিঁড়ে খায় । 


হেথা খায়
হোথা খায়
লাথি খায়
গুতা খায়
জুতা খায়
ফিতা খায়
ধুলা খায়
মুলা খায়
ভুল খায়
চুল খায়
ছাল খায়
বাল খায়
খেয়ে গলা
চুলকায় ।


মল খায়
জল খায়
রানী'মার
তল খায়
ইশকুলে
ঘুস খায়
পেয়ে গেলে
ম্যাডামের
হিসু খায় ।
শত শত
কোটি টাকা
আই এস ডি
বিল খায়
গাঁজা খায়
ভাং খায়
মদ খায়
তাড়ি খায়
ভদকায়
টাল খায় ।


কিল খায়
ঢিল খায়
কালোজিরা
তিল খায়
মিল খায়
ঝিল খায়
দেশ খায়
জাতি খায়
সবুজের
বুক চিড়ে
ভিতরের
লাল খায় ।


ডান খায়
বাম খায়
নাস্তিক
জিহবায়
জামায়াত
চেটে খায়
মাঝ রাত
হলে পরে
খাপে খাপে
মিল খায়
সব খাওয়া
শেষ হলে
দুই হাতে
কান মলে
তিনু মিনু
হজ্বে যায় !


(২৬)

নীল কষ্টের গুঁড়ো , ঊর্মি ভাঙ্গা অশান্ত জল
পরিমাণ মতো ধৈর্যের নিমক মিশিয়ে
বুকের কড়াইয়ে করেছি প্রেমের খামির ।
তুমি ফিরে না এলে , গোধুলি যাবেনা কোথাও
সময় , খিল তুলে বসে রবে একাকী নির্জনে ।

সন্ধ্যা হবেনা পাড়ায় পাড়ায় , কর্পোরেশনের
পথে পথে জ্বলে উঠবেনা নিয়মের বাতি ।
রাত আসবেনা আজ , সূর্য যাবেনা ডুবে ।
আনন্দ ভ্রমনে জোনাকিরা পাবেনা রাতের আঁধার ।
সব চলাচল থেমে রবে গৌধুলির ঘরে ।
তুমি না এলে , কেউ যাবেনা কোথাও ।
আমিও যাবনা নিয়ে বিরহের তন্দুর , প্রেমের খামির ।

(২৭)

দুঃখের দীঘল দীঘি বেয়ে মাঝে মধ্যে
দই একটা আনন্দ সংবাদ ভেসে আসে
মোহর ভরা কলসির মতো ।
ভাড়াটে সুখ, বুক পকেটে রেখে প্রিয় বেশ্যার
অবিকল আদলে মায়াবী সুরে বাজায়
নগ্নতার গান ।

কিনে নিয়ে মুঠো মুঠো সুখের অসুখ
দলে দলে ভীর জমে ঝাপ খোলা
অনিদ্রার বড়াই খানায় ।
মাঝ রাতে মাপা দরে জমে যায় কেঁচোর বাজার
অনুঢ়া ভুমির তল থেকে বুদবুদ কাদা জল উঠে এলে
সুগন্ধ বন্ধনী খুঁজে পায় মেহগনি ফল ।
চেতনার মহামতি সম্বিত ফিরে পেলে
কদাচিৎ ঘরে ফিরে মোহর কলস ।

(২৮)

ভুল বোঝায় কৃতিত্ব নেই জেনেও
বারবার তাই বুঝেছো । গমনে ও আগমনে
বিস্তর ফারাক জেনেও ভুল পথে গেছো ।
স্বেচ্ছা ভুলে দারুন পটু
কটু কথার খৈ ফোটাও
উষ্ণ হৃদয় লুকিয়ে রেখে
সস্তা দরে শত্রু জোটাও ।



(২৯)

নপুংসক ।
খ্যাপা
সিংহ
ধরেনি
তখনো
ছুয়েছে
কেবল
তাতেই
কুপোকাত ।
খুব
গোপনে
হয়েই
গেলো
এক
পশলা
সাদা
বৃষ্টিপাত ।

জাহান্নামে
যাও
আলোটা
নিভিয়ে
সিংহী
বলেন
দাঁত
চিবিয়ে ।
ঘরেতে
আগুন
আখেরেও
তাই,
সিংহের
জীবন
কেশর
ছাড়াই ।।


(৩০)

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।
কথায় কথায় খুন খারাপী
সাধু সন্ত পাপী তাপী ।
বুক চিড়ে তেলে পুড়ে
তোমারা খেলছো খেলা
সকাল বিকাল সন্ধ্যা
এবং দিনে রাতে ।
ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।


শুনেছিলাম রাজা প্রজা
সখ্য হতো আগে ,
প্রজারা না খেতে পেলে
রাজা থাকতেন জেগে ।
এখন রাজা সব চুষে খায়
প্রজাদের নাড়ি শুকায় ,
উজির নাজির চেল-চামুন্ডা
সবাই আছো দুধে ভাতে ।
ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

জোড় করে যায়না পাওয়া
এক মানুষের মন ,
কি করে পাবে রাজা
কোটি জনগণ ।
তোমাদের দেশপ্রেম নাই
খাও ক্ষমতার মন্ডা মিঠাই
আম জনতার নাই মমতা
থাকুক পড়ে ফুটপাতে ।
ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

বামেদের তর্ক বড়াই
তত্তের ফুটো কড়াই ,
রাজাকারের পাকি প্রীতি
উথলে ওঠে ভাতৃ স্মৃতি ।
প্রয়োজনে বসিয়ে কোলে
ক্ষমতার দোলনা খেলো
এই জনতা খেপলে রাজা
পাবে সাজা হাতে নাতে ।
ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে 

পরের স্বামী দেখতে দারুন
ঘরেরটা মাকুন্দা
পরের গায়ে সুগন্ধি
ঘরের গায়ে ফাকুন্দা ।
পরের বউ মিষ্টি তেতুল
ঘরেরটা ধাইন্না ঝাল
পরের বউ কোকের বোতল
ঘরেরটা ভুষিমাল !

নারী আর তেলাপোকা
বংশ বৃদ্ধি করে
পুরুশ আর তুরকুলা
মরার আগে শতবার
আছার খেয়ে মরে ।
নারী আর মেনি মাছ
যত বড় আদার হউক
মুখের সামনে পেলে ক্যোঁৎ করে গিলে খায়
পুরুষ আর বোয়াল মাছ
জিন্দা মুর্দা পচা গলা গু গোবর সব খায় ।

উকুন আর নারী উভয়েই সমান
একজন ধারণ করে অন্যটা বিচরণ
সুযোগ পেলে সমান তালে বালিশ
বিছানা এবং শরীর পাল্টায় ।
পুরুষ আর বিড়ালে পার্থক্য নাই
দুধ দেখলে উভয়েই
ছোক ছোক করে
সন্তর্পণে মুখ বাড়িয়ে দেয় ।

অন্ধ দেখে অন্তর চোখে
ভালদের চোখ থাকে খোলা
অন্ধ বরাবর পষ্ট দেখে
খোলা চোখ দেখে ঘোলা !
সাদাফ
না দেখে ঘোলা
না দেখে পষ্ট
অন্তর বাহির
দুই'ই নষ্ট ।

ইদানিং ।

তুমি নাকি ব্যস্ত ভীষণ
তোমার সময় দিচ্ছ কাকে।
আমার মতো আপন করে
শুনি, বলো আরকে ডাকে ।
বেনিয়ারা হরেদরে কিনছে
নাকি তোমার সময় ।
আজকাল প্রতিরাতে
তিনু মিনুর যেমনটা হয় ।
পিঠ ছড়ানো রঙিন চুলে
বিক্রি হচ্ছ হাতে হাতে ।
আদর করে বুকের পায়রা
তুলে দিচ্ছ নতুন পাতে ।
কোন হাতে যে পায়েশ বাটি
দিচ্ছ তুলে নাভীর চাবি ।
কে যে যাচ্ছে সাঁতরে ওপাড়
কে যে খাচ্ছে দারুন খাবি ।
আমি চাইলেম বুকের ময়না
নিজের একটু অধিকার ।
ওদের দিলে আস্ত তোমায়
ওদের বেলায় এতো উদার !!!

পার্থক্য

তোমার ,
জলের সহজ স্বভাব ঢেলে
যা ছিল সব দিয়ে দিলে
রেষম চুলে রোদের হাওড়
কপাল জুড়ে মেঘের প্রহড়
স্বেদ বিন্দু নরম আদল
নিকট দুরে চোখের বাদল
বাখড়খানি মচমচে বুক
জঙ্ঘা পাড়ের অমৃত সুখ
বাজিয়ে দিয়ে স্নায়ুর নূপুর
রতির তালে অমিয় সুর
কথায় কথায় সবই দিলে
কথার মাখন মধু ঢেলে ।

আমার ,
স্থাবর অস্থাবর সবই নিলে
সাব কবলার এক দলিলে ।


ভালোবাসার শস্য দানা খায় খুটে খায়
পাখ পাখালির দল ।
তোমার মন গোলাতে তুললেনা তা
রাখলে করে নিষিদ্ধ অঞ্চল ।

বুঝলেনাতো আপন কে পর
বুঝবে কি আর পাহাড়, নদী, গাছ,
ঢেউয়ের মাতম, প্রাশাদ প্রবাল,
রক্ত চোখা কোরাল নিঃশ্বাস ।
মন বাড়ীতে ঝুল বারান্দা
হু হু বহে বৈশাখী বাতাস
তুমিও নে আমিও নেই
দোল খেয়ে যায় যুবক দীর্ঘশ্বাস ।


মিয়া সাইফুল্লা......
শেষ পর্যন্ত কি ভাবলা ?
সার্জারি পার্টেই থাকবা
নাকি পাগলের বৈদ্য হবা ?
রাজা পাগল
প্রজা পাগল
পাগল সেনা পতি
খুনি গুমী হজ্ঞলতে নাকি
আমরার ভগ্নীপতি!!
উচ্চ শ্রেণীর
পাগল পাবা
পয়সা নিবা
থাবা থাবা
income হইবো more
দেশের নাক
ভাইঙ্গা যাক
pocket ভরবো your
ভাইবা দেখো হইবা কোনটা
স্হীর কইরা অস্হীর মনটা
করো সকাল বিকাল কশরত
এই দেশে সবই আল্লাহর রহমত !!
নাদান সাদাফ বোঝে আধা
রাজন্যগন পুরান আদা
প্রজারা সব গাধা'র দাদা !!!!

 ।
বেতনের সব টাকা শেষ হলে ঘরের ভারায় ।
বিনিত জীবন ভাঙ্গে সভ্যের দেয়াল ।
কঠিন চোয়াল, ভেঙ্গে খায় নিজ মাড়ী দাঁত ।
দু হাত ফিরিয়ে দেয় অনুপম ছোঁয়া ।
কদমে কদমে চেনে অন্ধকার পথ ।

এই ভাবে থেমে গেলে সৎ এর জীবন
নিজ হাতে রেধে খাবে আপন মগজ ।
ফুসফুস গলা গিলা কলিজা চুল ও নখ
পুরো দেহ খেয়ে নেবে ক্ষুধার জঠর ।
ভুলের চর্চা পেলে মূলের অধিক
অসভ্যের দল পায় সাহেবি জীবন !!

আমার স্বপ্ন দেখা রাত
সুখের যায়না ভোলা কিছু
দিগন্তে পথ দৌড়ে গেছি
তোমার পিছু পিছু ।
পাইনি ছুঁতে তোমায়
ক্লান্ত হয়ে বসে ছিলাম
শিমুল মেঘের ছায়ায় ।

হাত দুরত্বে আমরা দুজন
ছিলাম মুখো মুখি
মেঘে রোদে মাখা মাখি
বোতাম খোলা আকাশ ।
দিক ছাপানো
সবুজ চাদর
দারুন দুর্বা ঘাস ।
হাতের কাছে ভরা দীঘি
পাতা ভাসা ঢেউ
ওপারে দুই চখা চখি
আমরা দুজনেও ।
ঢেউয়ের কথক
দেখেছিলাম
আর দেখেনি কেউ ।
আমার স্বপ্নে দেখা রাত
আজো যায়না ভোলা কিছু ।


তোমাকে কষ্ট দেবোনা বলে থির করেছি।
তোমাকে দুঃখ দেবোনা বলে থির করেছি।
এই ঢাকা’কে সাক্ষী রেখে বলছি।
প্রাণের ঢাকা সাক্ষী রেখে বলছি।

অভিমানে হরতাল ডেকে
ভয়তাল পাকাবোনা থির করেছি।
তুষের আগুন বুকে জ্বেলে
তোমাকে পোড়াবোনা থির করেছি।
এই ঢাকা’কে সাক্ষী রেখে বলছি।
প্রাণের ঢাকা সাক্ষী রেখে বলছি।
বিকেলের সোনারোদ মেঘে ঢেকে গেলে
তোমাকে দেখাবোনা থির করেছি।
ঝড়ের ইংগিতে বাজ নেমে এলে
তোমাকে কাঁপাবোনা থির করেছি।
এই ঢাকা’কে সাক্ষী রেখে বলছি।
প্রাণের ঢাকা সাক্ষী রেখে বলছি ।



তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে ,
এক জগ পানিতে সাওয়ার নেয়া !
না যাবে স্নানের তৃষ্ণা , না প্রেমের ।
সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে একটা জীবন ভালোবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
একটা কাকতাড়ুয়া জীবন বেছে নেয়া ।
এক পায়ে দেখে যাওয়া সোনালী যৌবন ।
না যাবে ছোঁয়া তারে, না পুরাবে আশা ।
সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে এক জীবনে ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।
তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
তিন জীবনের ঘুম যাবে সীমান্ত প্রহরায় ।
অরক্ষিত ঘর কি করে প্রেম সামলায় !
তোকে একটা জীবন ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই
সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই ।

ভাই সাহেব, রাজনিতি করেন মনে হচ্ছে ?
নাতো !!!
তাহলে গাধার মতো কথা বলেন না।


তুমি ।
সূর্যটা শুয়ে থাক মেঘের জাজিমে ।
দূর পথ হেঁটে যাব একাকী নির্জনে ।
ক্লান্তিকে দিয়ে দেবো গ্রীষ্মের ছুটি ।
রাজপথে, আড্ডায়, বাদে ও বিবাদে
ঘরে,অবসরে তুমি শুধু ধরে রেখো
ঐ মুখে সূর্যের হাঁসি ।

ভান করেছি,ভান করেছি প্রেমের নামে।
হিরক খন্ড কিনতে গ্যাছি জলের দামে।

কতো কথা বললাম তাকে
সে কি বাচাল ভাবলো আমাকে !

কদিন আমার স্পর্শের উত্তেজনায় নিজেকে
মেলে ধরতে পুনর্বার গুটিয়ে নেবার আগে ।
সহিষ্ণু লজ্জাবতি বুকের দু'পাতা খুলে
অপেক্ষাকে দীর্ঘায়িত করে, যেভাবে
মাটি কামড়ে পড়ে থাকে বৃষ্টি জলের
উষ্ণ স্পর্শের আশায়
একদিন আমার স্পর্শের উত্তেজনায়
তুমি নিজেকে ... 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন