সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

আবার !

আবার তুমি বাসছো কাকে ভালো
কাকে দিচ্ছো অন্ধকারের কালো
দিচ্ছো কাকে শরীর ভুগোল তুমি
কে পাচ্ছে হৃদয় মনোভূমি ????

জানে পোড়া মন ।

কতজন এলো গেলো, একজন বুক জুড়ে থাকে ।
প্রেমিক মরেনা কখনো, না ছুঁয়ে নিজ প্রেমিকাকে ।
অমৃত মেনে কতো হেমলক, এ বুকে করেছি হযম ।
তবু তোমারেই ভালোবাসি, সখি খোদার কসম ।
চিতায় আগুন জ্বালাও, জ্বলে তা বুকের ভিতর ।
কোনদিন শুনছনি? পুড়ছে কোন প্রেমিকের গতর ?
তোমারে প্রেম করি, ভালোবাসি, করিনাতো ডর ।
প্রেমিক পোড়েনা গো সখি, যতই পোড়াও অন্তর ।
পাথরেও কথা কয়, যদি পায়, প্রেমিকা ঝরনার মন ।
হগলেই ভালোবাসে, তবু এই কথা জানে কয়জন?
এক মাত্র জানছি আমি, আর জানে ঐ মহাজন।
কতো ভালোবাসি তোরে, সখি জানে পোড়া মন ।

এসোনা ।

এভাবেই লুকিয়ে রেখো নিজেকে
যে ভাবে মুক্তো থাকে ঝিনুকের বুকে ।
এসোনা, কখনো সামনে এসোনা।
তোমাকে দেখে নেবো অন্তরচোখে ।

অমৃত আবাদে ।

আগুন পোড়ায় না ততো
যতোটা কৌশলী প্রেম ।
শত ফোটা অমৃত মারে
এক ফোটা বিরহের হেম ।
একবার ভালবেসে
বারবার মরে যেতে চাই ।
অমৃত আবাদে যদি
কৃষকের অধিকার পাই ।
নরমে পাইনি ততো
যতোটা পেয়েছি কঠিনে ।
পেরেক গেঁথেছো সখি
এই বুকের গহিনে ।

তোমার ছিলো

বিশ্বাষের সুইস ব্যাংকে থরে থরে সাজিয়ে রাখা
ভালোবাসার তর তাজা নোট ক্রোধের আগুনে
পুড়ে ছাই করে দিলে !
সবইতো তোমার ছিলো জানি ।
কি করে পোড়ালে সখি নিজে গড়া
ভালবাসার ঘর !

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

খোলা চিঠি ।

ই মেইলে নয় ।
চিঠি পেলাম রঙ্গিন খামে
কত বছর ? বহু বছর ।
আধ জীবনের দামে !

হাতে লেখা নাম ঠিকানায় স্পষ্ট প্রেরক ।
কে লিখেছে বুঝতে পারি অধম প্রাপক ।
দেশের নাম বুঝতে আর রয়না বাকি
খামের উপর আঁকা দুটো কিউই পাখি ।

এতো বছর পরেও আছি তোমার মনে!
ইচ্ছে করে বলি, সখি চলো স্বেচ্ছা গুমে
হারিয়ে যাই আজ দুজনে
পারিনি যা আগ জীবনে ।


দাহ যন্ত্রনায় পোড় খাওয়া বৃক্ষ
আর থিতিয়ে পড়া পাতার সমবায়
হঠাৎ স্রাবণের জলে ভিজে যে ভাবে
বুকের সবুজ খোলে
বহু...বহুদিন পর
ঠিক সেভাবেই তোমার শব্দ স্রাবণ
আমার মন সবুজকে খুলে দিয়ে
দিগন্তে পাঠালো সূর্যকে মুঠোয় পুরে ।

অনেকটা যেন,
"যাও পাখি বল তারে "...
পাখির কি আর দায় পড়েছে আমার কথা
বলবে গিয়ে তোমার কাছে উড়াল মুখে
আমিই তোমায় নিজের মুখে বলছি শোন,
যোগাযোগের বাইরেও অন্য আরেক
যোগাযোগ থাকে । আছে , থাকবে জেনো ।

বলার কিছু নেইতো তেমন
ভেজা ব্যাঙ কুয়োয় থাকি
নেইতো আমার বিশ্ব ভ্রমন
সুখের দৃশ্য শব্দে আঁকি ।

দুই দু মুঠো ভাতের আশায়
খুলেছিগো ভাতের দোকান
শোকর আল-হাম দুলিল্লাহ
মানের সাথে বেঁচেছে প্রাণ
জাবর কেটে স্মৃতির বিলাস
করবো কখন ! প্রাণ হাঁসফাঁস ।

ঠিক করেছো ।
আগে ভাগেই দিক চিনেছো ।
নইলে চুলোয় ঠেলতে হতো গোবর ঘসি
প্রেমের ভুলে হয়তো দিতে গলায় ফাঁসি ।

এইতো আমার সাদা মাটা ছোট্ট জীবন
এর মধ্যে তোমায় নিয়ে ভাববো কখন ?

উত্তর পেলে লিখবো ঠিকই
পরের বার বড় করে ।
ভাল থেকো সকল সময়
আনন্দকে সঙ্গি করে ।
ইতিতে,
পুড়নো সেই ঘুরে ফিরে
যার জন্যে পালিয়ে গেলে
স্বদেশ ছেড়ে ।


রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

আড়ালে অন্যে থাকে ।

পায়ে পায়ে হাঁটি বলে
ভাববেন না দৌড়াতে পারিনা ।
গোড়ালির দৃঢ় চাপ দেখে নিন
কিভাবে কাঁতরে ওঠে পথের পাথর ।
চুপচাপ থাকি বলে ভাবিস নে
কুঁচকে গেছি নিদারুন ভয়ে ।
কান পেতে শুনে নিস
কথার ক্রুদ্ধস্বর বুকের আগুন ।
হাসিমুখ ফ্রেমে বাঁধা দেখো বলে
ভেবোনা সূর্য পিছলে হলো সোনার মোহর ।
বোধের স্বচ্ছ চোখে দেখে নিও
মাঝে মাঝে ফ্রেম হাসি ঝুলে থাকে ঘৃণার দেয়াল ।
চোখের মুগ্ধতা মানে এই নয়
বিরক্তির ভাষা জানা নেই
জরুরে বলকে ওঠে হাপরের বুক
যে অনলে পুড়ে খাঁক মুগ্ধ পরাণ ।

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

বীর ।

লক্ষ কোটি শুক্রকীট পরাজিত করা বিজয়ী মানুষ আমি
পৃথিবীতে এসেছি হেরে যেতে নয় ।
ঘৃণা নয়তো প্রেম
আলোকিত দিন
অথবা 
অন্ধকার
জয় করে
নেবো ।
তবু পরাজয়ের খালি হাতে যাবোনা ফিরে ।

অরন্যর শূন্যতা বন্য ছিলোনা কখনো ।
নরম নিপাট নিস্তব্ধ শূন্যতা বুকে নিয়ে
 
ঢেঁড় নগরে বেধেছে ঘর ।
আমার আগে একবার মহামতি আলেকজ্যান্ডার ,
একবার ঘুরে গেছে চে, গাইতে গাইতে ফিরে গেছে
খুদিরাম ।
বিজয়ীর বীর বুকে উপচে পড়ে মানুষের প্রেম ।
কি করে হারাবে তাকে 


সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৪

সাত জীবনের চাওয়া । (দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ )

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে , 
এক জগ পানিতে সাওয়ার নেয়া ।  
না যাবে স্নানের তৃষ্ণা ,  না প্রেমের ।

সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে একটা জীবন ভালোবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
একটা কাকতাড়ুয়া জীবন বেছে নেয়া ।
এক পায়ে দেখে যাওয়া সোনালী যৌবন ।
না যাবে ছোঁয়া তারে, না পুরাবে আশা ।

সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই
তোকে এক জীবনে ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই ।

তোকে একটা জীবন ভালোবাসা মানে
তিন জীবনের ঘুম যাবে সীমান্ত প্রহরায় ।
অরক্ষিত ঘর কি করে প্রেম সামলায়  !    

তোকে একটা জীবন ভালবেসে কোন তৃপ্তি নাই
সাতটা জীবন চাই আমার সাতটা জীবন চাই ।   

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

আমি জেগে আছি এখনো ।

সিডেটিভ দুরে যাও...
আমি জেগে আছি এখনো ।
মৃত্যুর পর ঘুম পাড়াতে এসো ।
আমিও দেখে নেবো শালা
রিয়্যালিটি নখ কতো বড়ো 
কতোটা ধারালো ।

অন্তঃসার শূন্য, গাধার কাফেলা কতো দীর্ঘ 
আমিও দেখে নেবো একে একে ।
বেদুইন চিৎকারে বলি ...
দুরে যাও সরে যাও
হটো হটো হুররর হটো
আমি জেগে আছি এখনো ।

প্রকৃতিই , প্রকৃত সাহিত্য ।

একদা বাতাস পড়ে পড়ে কাটীয়েছি সকাল বিকাল ।
দিনের রৌদ্রকে ছুঁয়ে , ছুঁয়ে গেছি জ্যোৎস্নার গাল ।
রাতের বিছানা জুড়ে দলে দলে জোনাকির ভির
সারারাত , ঘুম চোখে দেখে গেছি আলোর শরীর ।

নিস্তব্ধতা পাঠ শিখে , বহুবার পড়েছি বনের গহীন ।
কোথাও নেই , কখনো ছিলোনাতো সোনার হরিন ।
নিয়মিত দেখে দেখে জলের স্বভাব , ভেঙ্গেছি কঠিন ।
জেনেছি মাটির কাছে রয়ে গেছে মানুষের ঋন ।
মহা পাঠশালা , আমি কীটাধম অতীব নগন্য ।
বড় মমতায় জানি , আমাকে পড়ায় গভীর অরণ্য ।
তোমাকে পড়িনি কোন কালে , পড়িনি তা সত্য ।
প্রকৃতি পড়েছি শুধু , প্রকৃতিই প্রকৃত সাহিত্য ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

মধ্যরাত পাবেনা আমাকে ।

মধ্যরাত মধ্যরাত করে, কতো যে
অপেক্ষ্যা করেছি !
পাইনি কখনো ।   

ঘড়িতে বারোটা বেজে থাকে প্রতিদিন !
দিন রাত্রি সমান আমার
রাত্রি দিন সমান !

অপেক্ষ্যারা মরে গেলে
মধ্যরাত ফিরে যাবে একদিন
একাকী নির্জনে ।

শুধু আমাকে পাবেনা ।
আমাকে পাবেনা । 
কখনো পাবেনা ।

বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৪

যাগা দেন , হোউমকে যামু ।

আবে হালায়, লইড়া খারান । যাগা দেন ।
আমি হোউমকের দিকে যামু ।
ছবুর করতে করতে
লাইনে খারাইতে খারাইতে
আপনেগো কাছে চাইতে চাইতে
আত পাততে পাততে
দুয়ারে গুরতে গুরতে
চপ্পল খয় করতে করতে
না খাইয়া থাকতে থাকতে
বোবা অইতে অইতে
বেবাক কষ্ট সইজ্জ করছি
পাইনাই কিচ্চু ।
মাগার নষ্ট অইনাইক্কা ।

এই ফির, খাড়ায়া যাগা দেন ।
আমি হোউমকে যামু ।
বহুদুর... হোউমকে যামু ।
 

মানুষ ৫

মানুষের মায়াবী মুখ কুৎসিত হলে
সোহেলার গান জমে হুতুমের মুখে ।
লজ্জানত মুখ, পেঁয়াজের জড়ানো স্বভাবের
ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফেরে বিলুপ্ত প্রেম ।

বাঁধাকপির নিপুণ গড়ন চেনায়
শিল্পের কারুকাজ ।
মানুষ কানে কানে দিয়ে যায়
ভাঙ্গনের মন্ত্র ।

আনারের সাজানো ঘরে,আব্রুর মহিমা দেয়
গায়ে গায়ে লেগে থাকা স্বচ্ছ পরল ।  
চোখ মেলে চেয়ে দেখি অগনন মানুষ !
যৌথ উদ্যোগে জমে গেছে কামের বাজার ।

মানুষের সংসারেরা নগ্নতার উৎসবে মেতে থাকলে
অভিমানে ফিরে যায় পূর্ণিমার আলো ।

লালসার জটিল ফেভিকলে আটক মানুষ
অপার সহিষ্ণুতায়, চারদিকে গড়ে তোলে
অদৃশ্য দেয়াল ।
জীবনের ভীড়ে খুঁজি আরেক জীবন ।
এ কোন জীবন আমি, বয়ে যাই জীবনের পিঠে ! 


মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৪

আজো বোঝনি তুমি ।

তালপাতা কলাপাতা বাঁশী নিয়ে
আমাদের তর্ক হতো খুব ।
তুমি তালপাতার পক্ষে ছিলে,
আমি কলাপাতা । 


বৈ মাতৃক শিবিরীয় আচরণে
তুমি আমি আড়ি নিয়ে চুপ ।
কিছুতেই মানতে না তুমি ।
আমিও নাছোড় ।


কলাপাতা কলাপাতা বলে
যেই না বাড়িয়েছি মুখ
দুধ স্বাদ মুখে ঢেলে 

গলা দিতে ছেড়ে .........

" আমি মেলা থেকে তাল পাতার এক বাঁশী কিনে এনেছি "

যেন এ গানেই জিতে গেছো
পৃথিবীর সব তাল গাছ ।
বোঝনি তুমিও  
আমিও পারিনি বোঝাতে.........

কোমলে কঠিনে কতোটা ফারাক !

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ২

চল ঘোড়া, গভীর অরণ্যে
মানুষের আস্তাবল ছেড়ে ।
এ শহর পড়ে থাক যেভাবে আছে ।
রাজপথ শুয়ে থাক ডোম ঘরে পড়ে থাকা,
কাঁটা ছেঁড়া লাশের মতন ।
ভাগ করে নিয়ে যাক এ নগর উত্তর দক্ষিণ ।
ছবির হাট আবারো কেঁদে উঠুক
আহত চিত্রকলার বেদনায় ।
শাহাবাগ সাফ সুফ করে নিক কেটে ছেঁটে
চেতনার চুল দাঁড়ি নখ ।
রেসিপির কবিরা পাতে পাতে
তুলে দিক সুস্বাদু কবিতা ।
পদকে ভারী হোক তাহাদের শীর ।
আমি গাঁটের খরচে নত মস্তকে নেবনা কিছুই ।
শত কবিতা ছেপে দেবো গাছেদের পাতায় পাতায় ।
সবুজেরা কবিতার প্রকৃত পাঠক ।
মানুষের মতো দলবাজি শেখেনি বনানি ।
চল ঘোড়া, গভীর অরণ্যে
মানুষের আস্তাবল ছেড়ে ।
যেখানে গনতন্ত্র থাকে
শহীদ মিনার থাকেনা ।

তিন যুগ ।

একবার ছুয়েছিলে তুমি
একবার দিয়েছিলে সব ।
তিন যুগ কেটে গেলো
চুপচাপ নিথর নীরব
সেই সুখের মদিরায় ।

তারপর কতবার গিলেছি যে, প্রেমের আফিম
কতবার সোমলতা তুলেছি ডাঙ্গায়
দোচোয়ানি মুখে মুখে কতো যে ঘুরেছি
মহুয়ার ঝিমতালে এলোমেলো খুঁজে গেছি
কতো শত মুখ ।
কোথাও পাইনি তা এতটুকু, দিয়েছিলে
যতটুকু সুখ ।
কি ছিলো তোমার কাছে তিন যুগ আগে !

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪

মমতা ৪

মমতা  ৪ । 
যে জলে শুকাও তুমি 
সে জলে ডোবাও
কতটা পারো তুমি
দেখি,কতো দুরে যাও ।
কতো নদী রক্তে যে
কিনেছি এ দেশ
লাল সবুজের এই
প্রিয় বাংলাদেশ ।
যে জল বল দিয়ে
বাঁধে আটকাও
সে জল বৈধ পথে
কতটুকু পাও ?
তিস্তার বুক তুমি
করে দিয়ে খালি
মিছে ভাষণে পাও
মিছে হাত তালি ।
মমতার মমতায়
পানি নেই তিস্তায়
তিস্তার বুকে শুধু
ধু ধু মরু বালি
ভুলে গেছো মমতা
ষোল কোটি বাঙ্গালী!
বঞ্চিত করে তুমি
পালাবে কোথায়
তিস্তার পানি ধরে
রাখো গঙ্গায় !
কোন চেক দিয়ে তুমি
পানি কিনে নিলে
এ দেশ পোড়াবে বুঝি
মঙ্গায় ফেলে !
মমতা গো মমতা
দেখেছো কি সরোতা
মাঝখানে ফেলে দেবো
এমন এক চাপ
বুঝবে বাঙ্গালী ক্যামন
বাপরে ! বাপ !!
অভিদানে লিখে দেবো
নিষ্ঠুর প্রাণী
মমতা মায়া নয়
হায়েনা জানি ।। 








তরুণ অরুণ ।

তরুণ অরুণ ।
তরুণ অরুণ
তুমি
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো ।
ভাংতে
ভাংতে
ভাংতে
আরো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
ভাংতে থাকো
নির্মাণের
প্রতিজ্ঞায় ।

ইন্দ্রিয় ।

ঘৃণারা ক্ষমা পেলে মাথা তুলে
উঁকি দেয় চোতরার বীজ ।
লালসারা খলবল আজীবন
চেটেপুটে খায় ।
না থাকে উপরে কিছু
না থাকে তলায় ।

ভালোবাসা বয়সে ফিকে হয়ে যায় ।
প্রেমের গোলাপ চুপচাপ বইয়ের পাতায় । 

ছোটরা বড় হলে, বড়রা বুড়ো হয়ে যায় ।
বৃদ্ধরা চলে গেলে স্নেহরা ঐ পথে
আরেকটু আগায় ।

কামের কামড় পড়ে ষোল ঊর্ধ্বে ষাট
দেবতারা খোলেনি কখনো কেলির কপাট । 

ইশকাপনের বিবি ।


চিড়ার দুরি
এই হাতে
ঐ হাতে
অযত্নে ঘুরি ।

ইশকাপনের বিবি
রাজা সহ
পেয়ে গেছো
ঘরের গোলাম ।
তোমারে সেলাম বিবি
তোমারে সেলাম ।

সূর্যের হাঁসি ।

সূর্যটা শুয়ে থাক মেঘের জাজিমে ।
দূর পথ হেঁটে যাব একাকী নির্জনে ।
ক্লান্তিকে দিয়ে দেবো গ্রীষ্মের ছুটি ।
রাজপথে, আড্ডায়, বাদে ও বিবাদে
ঘরে,অবসরে তুমি শুধু ধরে রেখো
ঐ মুখে সূর্যের হাঁসি ।

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ... ১

বাঘের রক্তে পাওয়া শহীদ মিনার
ছুটা ছাটা ইঁদুরে কেটে খাচ্ছে কিনার ।

হে পিতা ,
আপনার সিংহ হৃদয়ে 
সকলের যায়গা ছিল।
নিঃশ্বাসের বারান্দা

ছড়ানো বাহু
মায়া 
প্রেম 
ক্ষমা
ছিল ।

পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া সকল সম্পদ
ষোল কোটি সন্তান আলস্য উৎসবে
খেয়ে খু'য়ে
বেচে থুয়ে
দে

লি
য়া ।

চেতনা নাশক বটিকা ওরফে কবিতা ।

প্রতিবাদী শাহাবাগ কতো চেতনা কতো ভাগ
এরা ওরা তারা আরো কতো কতো নাম
আমি আম, নাম ধাম হীন অবাক
সকলেই বাঁশি হাতে সকলেই শ্যাম ।

এরা ওরা তারা কারা ছোট ছোট দল
এক মাথা দুর্গা দশ হাত ধরে আছে
দশটা কারণ, না দেখে কুয়ার তল
নাবালক চেতনারা নাচে ।

শাহাবাগ শাহাবাগ শাহাবাগ থেকো
তুমি কোন দল নও, ইথিহাস পাষাণ
ছাড়বেনা তোমাকে,যদি ভুল ছবি আঁক
সত্য ধর সত্যে করো সত্য নির্মাণ ।

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

মানুষ ।

রশুন একত্রে থাকে নিজগুনে ।
মানুষ বিচ্ছিন্ন তার স্বভাবে ।
বার্ধক্যপ্রাপ্ত আদায় তেজ বেশী ।
মানুষ অচল হাড়ের বয়সে ।
পুরনো মদ মুল্যে অধিক ।
বয়সি মানুষ পাড়ার ভাগাড় ।
আসবাব সুন্দর শুস্ক কাঠে ।
মানুষ সুন্দর মৃত্যু ।

মানুষ !

আনন্দের ঘি তেলে
পাঁচ বেলা ফোঁড়ন দিই
মেজাজের উনুনে ।
স্বভাবের মিশ্র সবজীতে
খুব ঝাল ছিলো গতকাল ।
সারারাত পুড়েছে জিব ।
পুড়েছে হৃদয় ।
পাদদেশের অফুরন্ত শক্তিতে
পাহাড় মাথা তুলে ছুঁয়ে দেয়
মেঘের শরীর ।
স্নানের তৃপ্তি নিয়ে
পড়ে থাকে কঠিন পাথর ।
দিনের বয়স বাড়ে,
যুগের অশ্বথ নিজ শিকড়ে
স্বাস্থ ধরে মাটির আস্বাদে ।
অনুজল বুকে থাকে সাগরের স্রোত ।
ঊর্মি মালায় ভেঙ্গে পড়ে কুলের নিয়ম ।
না হয়েছি অশ্বথ, সাগর ।
না পাহাড়, পাথর ।
কেবলই মানুষ !

দোহার ।

আমি মন মুনিয়ার দোহার হবো
তার ভিতরের যন্ত্র ছোঁবো
সুরে সুরে বাজিয়ে নেবো
সকল তালে তারে।
তোরা কেউ ঠেকাসনে আমারে
আজ ঠেকাসনে আমারে।

স্বত্ব ।


হাত ধরে বললেই হলো
ঘর রয়েছে খালি,চলো ।
শরীরটা কি মন্ডা মিঠাই !
ইচ্ছে মতো হাত পেতে চাই ।
যখন তখন, দে গোল্লা ছুট ।
মাই ফুট । ফোট শালা,ফোট ।

গতর আমার বেহেস্তি বাগান
জায়নামাজের স্বত্ব বেচি নাই ।

ভান ।

ভান করেছি,ভান করেছি প্রেমের নামে।
হিরক খন্ড কিনতে গ্যাছি জলের দামে।

নারী ও মুদ্রা ।

নারী আর মুদ্রায় পার্থক্য নেই ।
দুটো ছাড়া জীবন আচল ।
এক ঘোষণায় দুটোই অচল ।

বিনয় ।

বিনয় হচ্ছে জ্ঞ্যানের বাড়তি অলংকার ।
সব'চে সুন্দর, সবচেয়ে দামি ।
যার মালিকানা কিয়দংশের হাতে ।
বাকিরা স্বভাবি উদবাস্তু ।

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কিছুটা ইঁদুরে খাবে কিছুটা বাঁদুরে ।

একবার পেয়েছিলে রাখোনি তো ধরে
সুলভে পেয়েছো বলে বোঝনি তো
মূল্যটা কতো বেশী, কতো কম ।

ভালোবাসা বাদামের খোসা নয়
দু হাঁতে কচলে দিয়ে ত্বকের বড়াই
মুখ ভেঙ্গে খেয়ে নেবে ভিতরের দানা ।

একবার ছুঁড়ে দিলে দুরে,
পাবেনা তা আজন্ম চিৎকারে ।
ভালোবাসা ক্রমাগত আবাদের সোনালী ফসল

কিছুটা ইঁদুরে খাবে কিছুটা বাদুরে
আসলটা রয়ে যাবে বুকের গভীরে ।

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যদি পুড়ে হই ছাই ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
যদি নদী হয়ে যাই
যদি সাগরে হারাই
যদি ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ি
তুমি থাকবে কিগো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
উজান স্রোতে যদি ফিরি।।

যদি পাখী হয়ে যাই
যদি বনে চলে যাই
যদি গৌতম ধ্যানে বসে পড়ি
তুমি আসবে কিগো মেয়ে
আমার নটিনী হয়ে
পাত্রে দুগ্ধ পুর্ণ করি ।।
যদি মেঘ হয়ে যাই
যদি আকাশে মিলাই
যদি বৃস্টি হয়ে ঝরে পড়ি
তাকিয়ে অবাক চোখে
আমায় নেবে কি মেখে
তো্মার আঁচলে যদি পড়ি ।।
যদি রোদ হয়ে যাই
যদি কিছুটা পোড়াই
যদি পুরোটাই পুড়ে হই ছাই
তুমি থেকোনা গো মেয়ে
আমার পথো চেয়ে
আর যদি ঘরে না ফিরি ।।

কণিকা তুমি ভাল থেকো ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
কথা ছিল কথা হবে ফোনে ......
নিষেধ করনি তুমি শুনে......
কার কাছে দিয়ে দেহ মন.......
তুমি নিলে একাকী জিবন.......
মিলে গিয়ে দুধে জলে একা
ভালোবেসে খাওনিকি ধোঁকা ?
লয় তাল কেটে গিয়ে সুর .......
থেমে গেছে জীবন সুরুর .......
কোথায় তুমি,সে কতো দূর!! ......

অবজ্ঞার কৌশল ।

অবজ্ঞার কৌশল............
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
তোমার হৃদয় বদলের ঝটিকা সফর
থমকে দিয়েছে কনকর্ড গতি।
বিশ্বাসী প্রেমিকেরা যন্ত্রণার চোখে জ্বলে ওঠা
জলের মুক্তায় দেখে নেয় আপন কফিন।

তুমি বৃষ্টির দোহাই দিয়ে ভালবাসার খেলায় মেতে ওঠো
পরিনামহীন বিবেচনায়, শরীর সম্ভোগে।
কাঁকড়ার দাগহীন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রেখে
তুমি তারে নাম দাও পাগলামি।
কনকর্ডের কারিগরি ত্রুটি কেড়ে নিলে সম্মিলিত প্রাণ
দুঃখ বাড়ে... দুঃখ বাড়ে...... দুঃখ বাড়েনা।
তোমার মানসিক ত্রুটি প্রেমিকের পুণ্য প্রার্থনাকে
তোমার কামের আগুনে পুড়িয়ে মারে।
আমি সেই সব মৃত প্রেমিকের কবন্ধ পাঠে
শিখে নেই তোমাকে অবজ্ঞার কৌশল।
তুমিহীন ভালোবাসাহীন জীবন পরিপাটি
ভালোবেসে রেখেছো অন্তিম বরাদ্দ।
তিন মুঠো মাটি।

ধানমন্ডি আট নম্বর

আজকাল বেলাতেই অবেলার ছায়া নেমে যায় ।
বড় অসময়ে ঝড়ে যায় আমের মুকুল ।
মাঝ রাতে ভেঙ্গে যায়
তুলো হয়ে উড়ে যায় নাস্তিক শিমুল ।
সুস্থির বটের চেয়ে দ্রুত বারে তেজপাতা দেবদারু ।

ইয়াবা রজনী দিলে অস্থির সময়
ক্লান্ত দেহ যায় চুলের আধারে ।
বিশের তারুণ্য ভাঙ্গে ঝিমরাত রাজার কাশিতে ।
তিনমাথা নিমতিতা মুখে তার অরুচি আহার ।
রাতভর তারাবাতি চোখ গড়াগড়ি খায়
মূত্রনালির সুত্র খোঁজে ভেজা ফ্লোর । 

অধরা'রা ধরা দেয় মাঝরাতে
সোসাইটি গড়ে কামের কুয়ায় ।
ন্যাড়া মাথা ডিজে,কি যে হুলুস্থুল !
পরচুলে ঝুলে পড়ে শেষ রাত ।
কেয়া'দের পেট ভরা ফেন্সি(দের)ডাল
তলের মজা খোঁজে রেজা সুজা
শুকনো ঠোঁটের স্বভাবি চুমুতে ।  

ধানমন্ডি আট নম্বর রবীন্দ্র সরোবর তাড়িয়ে কণ্ঠস্বর
ছড়া গান কবিতায় তরুন আয় ফিরে জীবনের মায়ায় ।
পতিত তরুন জেগে ওঠে প্রাণপন,দুহাতে সরিয়ে মেঘের দেয়াল
সরোবরে এনে দেয় সোনালী সকাল । 

কস্ট স্রোতে

এভাবে হয়না জানি,হওয়া সমিচিন নয় ।
এভাবেই একদিন কস্ট স্রোতে নদী হয় ।


এলোমেলো


সমালোচনার তিক্ত বিষ মেনে নিও
তুমি উদারতার অমৃত দিও ।


স্বীকারোক্তির সাহস জীবনকে উজ্জ্বল করে
মিথ্যে করে কুৎসিত পেঁচার আদল ।


সাহসিরা যুদ্ধে যায়, ভিতু লুকায় যুক্তির দেয়ালে ।

আমি

উদবাস্ত জীবন দুপায়ে ভ্রমন
ইচ্ছে ঘুড়ী ইচ্ছে গমন
না শুনি কথা খুজিনা কারণ
এমনি আমি এমনি ধরন
তাই বুঝি কেউ নেই কেউ নেই
পথ আগলে করবে বারণ ।


হৃদয়ের সবটুকু ভুমি
দখলে নিয়েছো তুমি
নিজ বুকে দখলটা হারিয়ে
ধরেছি তোমাকে জড়িয়ে
আজ শুধু মনে হয় নিজেকে
পৃথিবীতে আমি খুব দামি ।

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বৌদি ।



কলা পাতায় তোলা দুধের খিসসা পাটি শাপটার বুকে । কিশোরীর উঁকি দেয়া উঠতি স্তনের মতো ফোলা বুকের এক থালা পাটি শাপটা চোখের সামনে এই মাত্র বৌদি রেখে গেলেন সেই সাথে এক বাটি দুধ লাউ । সারা বিকেলের হাঁটা পথের ক্লান্ত আমরা, চাপ কলের শীতল জলে স্নানের মুগ্ধতায় শান্ত । পেটে ইঁদূরের শঙ্খ্য ধনি বাইরে কাছিমের ধ্যানে উদরে ধীরে সুস্হে সাজিয়ে নিলাম খানার বাহার । ততোক্ষনে অমৃত আস্বাদ মুখে দেয় গানের বোল বৌদিগো...... বৌদিগো......

ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে আনা পিৎজা, বার্গার লাল পিপড়ের উৎসব মঞ্চ । সভ্য ভব্য আর্য স্বভাবে সারি সারি অগুনিত আগুয়ান । ওদের মধ্যে বিক্ষ্যাত কোন ব্যান্ড দল আছে নাকি ? থাকলে থাকতেও পারে, হয়তো দর্শনির বিনিময়ে হেব্বি মেটালে গান চলছে । কে জানে, কোন দখল বাজ এম পি মন্ত্রী এসে আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানে উদ্বোধনি পায়রা উড়িয়ে দিয়ে গেছে কিনা । হতেও পারে । আনন্দ বেদনার সোল ডিস্ট্রিবিউটরশীপ কি শুধু অকৃতজ্ঞ মনুষ্য জাতীরই ? দুই দিনের দুনিয়ায় কর বাবা নিশ্চিন্তে মৌজ মাস্তি কর তোরা । কে হায় অমৃত ছেড়ে জাংক ফুডে জাম্প মারিতে চায় ! সিধান্তের স্বস্তিতে আমরা তখন দাতা হাতেমতাই ।

তাল পাতার পাটিতে আমরা কজন জোড়াসনে বসে, নিকানো উঠোন। পুবে পরিছ্ছন্ন ছোট বাঁশ ঝাড়,নিচে তিন টিনের আকাশ । রাতে পাতে যাবে বাটা মরিচের বেলে ঝোল,সর্ষে মাখা সজনে চচ্চরি,টমেটোর ডাল,উৎকৃষ্ট প্রকরণে ভরা উলংগ হেঁসেল। মাটির উনুনে ঘসি কয়লার আগুন,গধুলীর ক্ষনেক লাল রঙ ঘাম জলে মিশে আঁকা ছবি হয়ে বৌদি তখন নিমগ্ন রাঁধুণী । প্রাকৃ্তিক গ্যালারির মুগ্ধ দর্শক আমরা মন্তব্যে মুখর । পিকাসো, ভিঞ্চিকে ভেংচি কেটে তখনি পৃ্থিবী শ্রেষ্ঠ তৈল চিত্রটি আঁকা হয়ে গেল ।

???

সে বোঝে কত ব্যথা...
যেজন কস্ট পায়... 
সেই বোঝে কত মুল্য... 
যেজন সব হারায়...
বৃক্ষ বোঝে মাটির মুল্য... 

মাছ বোঝে পানির... 
শ্রমিক বোঝে শ্রমের মুল্য...
হিরক বোঝে খনির।।

বন্ধুর বাড়ী... পাশের বাড়ী।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

যতই বলিস
দুরের শহড়
তুইতো আছিস
বুকের ভিতর ।
পনের হাজার
কিলো মিটার
ঐ দেখা যায়
এপাড় ওপাড় !
এ পথ কি আর
খুব বেশী দুর ?
ততোই কাছে,
যতটা গলা ও সুর ।
ঝড়তে দে তুই,
সময় ওদের ঝ’ড়ে যাওয়ার ।
কুড়িয়ে নে তুই,
তোর সময়টা কুড়িয়ে পাওয়ার ।
ও্মা! Call দেবো কি
হাওয়ায় উড়ে ?
মন পবনের
নাও’য়ে চড়ে ?
দিস্ নি কেন
Cell ঠিকানা ?
ইচ্ছে তোর
গল্পো করার,
ভাব বিনিময়
মেজাজ ধরার ।
তোকে ধরার
Clue দিবিনা ?
আমি তোর মতো
নই, গোপন কৃপণ ।
আমি তোর
বন্ধু আপন ।
পাঠিয়ে দিলাম
ফোনের Digit,
করিস এবার
কথার Visit ।।

দুঃখ রোদে শুকিয়ে যাবে।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর।

তোমার কথার পাথড় কণা
পড়লো এসে বুকের মাঝে
সুখের চোখে মেঘ জমেছে
আজ পৃথিবী যাবে ভিজে।

সুখের কপাট খীল দিয়েছে
দুঃখের দুয়ার খোলা
বুকে কথার তীর বিঁধেছে
তীব্র দহন জ্বালা।

কথায় কথায় ব্যথা
দিতে চাও যদি
দুঃখ রোদে শুকিয়ে
যাবে সুখের নদী।

তাইতো আমি ঠিক করেছি
কাঁদবোনা আর দুঃখ পেলে
কষ্ট দিয়ে দেখো দেখি
কেমন কাটাই হেঁসে খেলে।।

ঝুলে আছি সতেরো কোটি......


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

ধুলো পড়া ক্যালেন্ডারে হা মুখ বাঘ ঝুলে আছে
হা আছে হুংকার নেই ফ্যানের বাতাসে নড়ে
ঝুলে আছে লাল কালো সাজানো তারিখ
নষ্ট পেন্ডুলাম ঝুলে আছে ঘরের দেয়ালে
বারান্দার নাইলনে দাগ পরা অন্তর্বাস
( দাগ মানেই নুতন কিছু সৃষ্টি !!)
তেলাপোকা সঙ্গী করে ঝুলে আছে ফ্রাইপ্যান
ক্যালভিন ক্লেইন ছোট বাঘের খাঁচাটি পুরনো আলনায়
আমাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে রাজন্যগণের সপ্নভুক মৈথুনে
বৃদ্ধ শিশ্নের মতো যুগল বোঝা নিয়ে ঝুলে আছি সতেরো কোটি
ঝুলে আছি ঝুলে থেকো
নেতাদের বাক্সে ভোট রেখো............

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মশাই

মশাই ,
দয়া করে আমায় যদি
একটু সময় দিতেন
বছর বিশেক আগে যেমন
দিয়েছিলো জিতেন ।
রাজা ফাজার দেশ প্রেমটা,
সে বুঝিয়েছিল বেশ
এখন বুঝি ক্যামন করে
চলছে সারা দেশ ।
খুব করে বুঝিয়ে ছিলো
জিতেন গাঙ্গুলি
গরিব কা জান ডুবা হুয়া চান
এ্যায়সা মামুলী ।
এদের নিয়ে রাজা রাজড়ার
ভাবনা কিছুই নাই
প্রজার রক্তে রাজার নেশায়
ঝিল্লি মারা চাই ।
গুমে, খুনে, দাউ-আগুনে
পুড়ছে সারা দেশ
রাজা বলে পোশ্য বলে,
আহা বেশ বেশ বেশ ।
তিনশ তোতা পাখির রাজা
জানে নানান বাহানা
এই সত্য সবাই জানে
মশাই জানেনা ।

মশাই ,

মশাই ,
আপনি আমায় ভুল বুজেছেন দারুন ভাবে
ঘুস আমি খাইনা মোটেও ঘোর অভাবে ।
ভালোবেসে লাউ মুলোটা নিয়ে এলে ঘরে
ঘরের লক্ষী তারে আমি ফিরাই ক্যামন করে ?
পুকুরের মাছ ,পালতু মুরগি,গাভীর খাঁটি দুধ
এটাকে কি ঘুস বলা যায় কিংবা অন্য রকম সুধ !
কাজ করে দেই, খুশি মনে যে যা দিয়ে যায়
দু'হাত তুলে নিত্য করি শুকরিয়া আদায় ।
আমায় তিনি দেবেন বলেই এমন বাহানা ।
আমি জানি এই সত্য, মশাই জানেনা ।

শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আসবো ফিরে ।

আর কিছুদিন আমার জন্যে
বাড়তি বেঁচে থেকো
আসবো ফিরে তোমার কাছে
মিথ্যে বলছি নাকো । 


কষ্ট নেয়ার সহ্য শক্তি
আগের মতোই আছে
তোমার কাছে আসবো ফিরে
পুরোনো বিশ্বাসে ।


মনের দাওয়ায় আলো ছড়ায়
নিত্য জোনাক পোকা
অপেক্ষা যাক শ্রী'লাল ঘরে
আর রবেনা একা ।


কাঁদুক নাহয় দেহ ভূমি
জলের ঘাটতি ভেবে
আমি দিলে এক ফোটা জল
সাত'টা সাগর পাবে ।

স্মরণে ক্ষরণে

তোমার অনেক কথা জমে আছে এই মনে
তার চেয়ে বেশী কিছু রেখেছি গোপনে
বেঁচে আছো আজো তুমি আমার ক্ষরণে
খুব সযতনে
স্মৃতি রেখেছি স্মরণে ।

কতদুরে যবে বলো ছেড়ে আমাকে
সূর্যের আলো হয়ে ছোঁব তোমাকে
মহাদেশ দূরত্বে যতই থাকনা কেন
ক্ষরণে বেঁচে আছো তুমি তা জেনো ।

ব্যথার তীর গেঁথে গিয়েছো মননে
খুব সযতনে
স্মৃতি রেখেছি স্মরণে ।

বহু আদরে তুমি দূরে সরেছো
অমৃতের হাঁসি মুখে বিষ ধরেছো
করুনা করেছো ঘৃণা করবে বলে
অনায়াসে চলে গেছো পিছনে ফেলে ।

বলবনা সব , কিছু থাকনা গোপনে
খুব সযতনে স্মৃতি , রেখেছি স্মরণে ।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কেন লিখতে পারিনা ।

হাতের কাছে কাগজ কলম
ঠোঁটের ভাঁজে শব্দ
শুধু লিখতে পারিনা ।

বুকের মাঝে তুমি আছো
তোমার দেয়া স্মৃতি
আজো ভুলতে পারিনা ।

বড় মেয়ের বায়না আছে
এটা ওটা সেটা
সবই দিতে পারিনা ।

বাবাই বুবাই হপ্তা হিসাব
রেশন করে পাওয়া
কাছে আনতে পারিনা ।

যুগের ঘরে দুই জমেছে
একটা ছাদের নীচে
তবু বুঝতে পারিনা ।

ইচ্ছে করে সব জানিয়ে
চিঠি লিখি তোমায়
কেন লিখতে পারিনা ?

মোটর সাইকেলে ।

মোটর সাইকেলে ।

ভরাট বুকের স্পর্শ লেগে আছে বর্ষিয়ান পিঠে ।
যমজ ফলের মতো এভাবেই থেকে যাক বৃন্তে ।

এপ্রান্ত ছুঁয়ে দিলে
ওপ্রান্ত নড়ে ওঠে ।
দুরন্ত উরন্ত গতি
ঘুরে বসে দূরে যাবো
নেইতো উপায় ।

এমন কষ্টের সুখ ফিরে যদি আসে আরবার
এভাবেই বসে থেকো  ।
ভরাট বুক লেগে থাক বর্ষিয়ান পিঠে ।

যতই ভাবো

যতই ভাবো আমায় তোমার নেই প্রয়োজন
আজোব্দি আমিই তোমার বন্ধু... স্বজন ।
আমায় ভেবে তাইতো তোমার পথ চাওয়া
যে পথে বয় অনন্তকাল প্রেমের হাওয়া ।
দৃষ্টি তোমার ছড়িয়ে দ্যুতি দিগন্তে ধায়
তোমায় নিয়ে বাঁচি মরি তোমার ক্ষমায় ।
বৃক্ষ আমি চির সবুজ দেবদারু
তুমি জীবন জীয়ন কাঠি দেবী চারু ।
প্রেমের চাতক মরু তৃষ্ণা আমার বুকে
তোমায় ছেড়ে ক্যামন করে থাকি সুখে ?
দুঃখের নদী বুকের মধ্যে তুমি ছাড়া
তোমায় পেলে আনন্দে হই পাগলপারা ।
তুমি আমার জোড়া শালিক ভোরের বেলা
তোমায় ছাড়া যায় কি বাঁচা এই অবেলা !

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

তুমি ...

চাঁদের আলোয় শুকাতে দিয়েছি
ঘামে ভেজা দিয়াশলাই ।
পূর্ণিমার পরিচর্যা পেলে
বারুদ মানবিক হবে ।
সুগন্ধী বুলেট বুকে
ফুলেরা সশস্ত্র হলে
পৃথিবী উপচে যাবে
মানুষের প্রেম ।
তুমি কোমল হবেনা জেনেও
আমি বারুদ ও ফুলের
যৌথ খামারে করেছি
মানবিক চাষ ।

শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

আচুম্বা ব্যাক্কল .

একদিন জিগাইলাম তারে
কোন গাঁওয়ে তোমার ঘর ?
ঝিলিক দিয়া চোখের কিনারে
আমারে কয়, তোমার অন্তর ।

হুইন্যা আমি আচুম্বা ব্যাক্কল
গায়ে বয় ঘামের নদী ।
জোর কোপে চালাইয়া শাবল
ওগো, তুমি কবেকার দরদী ?

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

ভুল ।

ভুল বোঝায় কৃতিত্ব নেই জেনেও
বারবার তাই বুঝেছো । গমনে ও আগমনে
বিস্তর ফারাক জেনেও ভুল পথে গেছো ।
স্বেচ্ছা ভুলে দারুন পটু
কটু কথার খৈ ফোটাও
উষ্ণ হৃদয় লুকিয়ে রেখে
সস্তা দরে শত্রু জোটাও ।

খেলা ।

এই যে তুমি খেলা খেলো... কঠিন খেলা ।
এ খেলা খেলছো কেমন করে তুমি.........
এ খেলা খেলছো কেমন করে ।

জীবনে গতি দিলে
দাড়ি কমা যতি সহ
গনিতের জটিল প্যাঁচে
এই জীবনই অর্থবহ
এ খেলা খেলছো কেমন করে তুমি...
এ খেলা খেলছো কেমন করে ।
Like

স্পর্শ ।

একদিন আমার স্পর্শের উত্তেজনায় নিজেকে
মেলে ধরতে পুনর্বার গুটিয়ে নেবার আগে ।
সহিষ্ণু লজ্জাবতি বুকের দু'পাতা খুলে
অপেক্ষাকে দীর্ঘায়িত করে, যেভাবে
মাটি কামড়ে পড়ে থাকে বৃষ্টি জলের
উষ্ণ স্পর্শের আশায়
একদিন আমার স্পর্শের উত্তেজনায়
তুমি নিজেকে........................

পিতা ।

আপনি চলে যাওয়ার পর, খুচরো পয়সার মতো
টুকরো টুকরো আনন্দ ছাড়া, এক নোট আনন্দ
পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও ।
শুনেছি এ বছরও সুখশাল 

আনন্দের বড় নোট বাজারে ছাড়ছেনা ।
তবে কি আনন্দ নির্বাসনে গেছে !

আমাদের মহামতি রাজার দয়ায়
দেশ আজ বেদনার লঙ্গরখানা ।
নিষ্ঠাবান রাজপোশ্যরা পাতে পাতে
রক্তের লোটানি তুলে দিচ্ছে তিনবেলা ।
হে পিতা, আপনি একবার এসে দেখে যান,
আপনার প্রিয় সন্তানেরা কিভাবে বেঁচে আছি !

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

ধরন ।

আমি এভাবেই বাঁচি
এভাবেই বেঁচে থাকি
দুঃখের বুকে,দুই পা রেখে
বেশতো বাঁচি একাকী ।


আমি এভাবেই চলি
এভাবেই বলে থাকি
কথার খৈ বুকে ভাজি
মুখে বোবা হয়ে থাকি ।


আমি এভাবেই ভাবি
এভাবেই দেখে থাকি
তুমি ছাড়া পূর্ণ জীবন
শুন্যতা দূরে রাখি ।



শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

কষ্ট

কষ্ট তুমি কতো বড়
ওজন তোমার কতো
বুক পকেটে রাখবো তোমায়
প্রিয় চিঠির মতো ।

আকাশ সমান,গভীর সাগর ,
অরণ্য, শ্বাপদ সংকুল ?
বইয়ের ভিতর যত্নে রাখা
শুকনো গোলাপ ফুল ।

কষ্ট, তোমার সাধ্য কি আর
আমায় কষ্ট দাও
বান্দা আমি ব্লটিং পেপার
তোমার খাটা খাটনি ফাও ।

এবার,নতুন ধান্দা নাও
তুমি অন্য পথে যাও ।

বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

পার্থক্য

তোমার অস্ত্র শব্দকামান
আমার অস্ত্র সহ্যতে
তোমার তৃপ্তি উজান ভাসান
আমার স্বস্তি সন্ধিতে ।


তার আছে শব্দের তীর
আমার গ্রহনের বুক
তার আছে কবিতার নীড়
আমার ক্ষরণেই সুখ ।


   
    

বৃষ্টি ।

বৃষ্টির লং প্লেয়ারে আষাঢ়ের গান শোনায় ভোরের আকাশ ।
কদমের কান্না দেখে বালিকা দোয়েল ফিরে যায় পিত্রালয়ে ।
আজ বুঝি হবেনা তাঁর প্রেমের উড়াল ।
বর্ষাতি গায়ে চেপে কবিতারা হেঁটে যায়
সাদা কাগজের ফেবিকল মায়া ছেড়ে ।

হে মহান তানশেন,
আপনার মেঘমল্লারে
আমাদের এলোমেলো দিন ।

অভাবের দিনে গুছিয়ে গেরস্থালি
আসন্ন মম্বন্তরে রুখে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিটা সেরে নিতে চাই ।
দয়া করে থামুন এবার ।

বুধবার, ১৮ জুন, ২০১৪

নপুংসক ।

খ্যাপা 
সিংহ
ধরেনি
তখনো
ছুয়েছে
কেবল
তাতেই
কুপোকাত ।
খুব
গোপনে
হয়েই
গেলো
এক
পশলা
সাদা
বৃষ্টিপাত ।
জাহান্নামে
যাও
আলোটা
নিভিয়ে
সিংহী
বলেন
দাঁত
চিবিয়ে ।
ঘরেতে
আগুন
আখেরেও
তাই,
সিংহের
জীবন
কেশর
ছাড়াই ।।

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

হ্যালো ।

দারুন সন্ধ্যা গেলো আজ 
দেখে বৃষ্টির কারুকাজ
ভেঙ্গে মেঘের পরু ভাঁজ 
দু একটা বাজের আওয়াজ
হঠাৎ চমকে দিয়ে
তোমাকে মনে করিয়ে দিলো 

হ্যালো, শুনতে পাচ্ছো ?
তোমার পাড়ায় বৃষ্টি 
ছিলো সন্ধ্যায় ?

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন ।

আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন, আইজ তুমি যাও কই
এই বাইষ্যায় কুল ছাড়া বিল,দেখো ঢেউ থই থই
পরানের পাখি ওরে, এই ভরা নাও ভাসাইয়া জলে
কার ঘাটে যাও তুমি, কেমন কলার চৌষট্টি কৌশলে 


না ছিলো ভিটি তোমার,না ছিলো ঠায় ঠিকানা ঘর বাড়ী
পড়নে ছিলোনা কোন রঙ্গিন সুতার মাড় দেয়া শাড়ী
শুয়োর মাড়ায় গেছে কচি জোড়াফল, দেহের বাগান
আধমরা পড়া ছিলা,মোরগের ডাক ভোরের আযান

এমত পাই তোমারে, গেরামের পূবে, সড়কের ধারে,
মুহূর্ত না দেরি করি, এক ঝাকি দিয়া জোয়ান গতরে
একা বুকে নিয়া দেই দৌড় মেডিক্যাল,ফিরিঙ্গি বাজারে
তেরোদিন বসা আমি তেরোটা রাইত তোমার শিয়রে

চোখ খুলে ভাঙ্গা স্বরে জিগাও,আমারে আনার কারণ ?
আনছি তোমারে আমি, চুপ, কোন কথা কওয়া বারণ
না । যাই নাই তোমারে একেলা থুইয়া ফিরিঙ্গির কাছে
আহার নিদ্রায় গিঁট দিয়া ঠায় ছিনু গাছের মেজাজে

এককুড়ি দিন বাদে আস তুমি এই নাদানের ঘরে
ভাঙ্গিয়া বাঁশের ব্যাংক জমানো যাই ছিল অগোচরে
তার সাথে জোড় দিয়া কিছু ঋণ নেই সমিতি দলিলে
মিয়া সাহেবের খেতে একা বর্গা করি লাঙ্গলে জোয়ালে

পায়ে পায়ে খেতে রুই ইরি জালা,বুকে রুই নয়া গান
সেই গানে দোহার তোলে প্যাক, মাটি আর জমিন আসমান
বান ভাসা পানি এক রাইতে খাইলো পুরাটা আবাদ
অভাব আনলো ঘরে, লগে দিয়া গেলো ঝগড়া বিবাদ

শান্তি নাই প্রেম ও নাই, বাড়ন্ত ঘরে সবই উধাউ
আমারে দিয়া দ্বিধার জীবন, পরান পাখি কই যাও ?

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

স্খলন ।

একদিন একেলা পাইয়া জিগাইলাম তারে
আমারে টালাইয়া তুমি কি মজা পাও ?
ছাইড়া দিয়া দেহের রঙ্গিলা নাও
কয়, চলো কই গিয়া গভীর সাগরে ।


বোকচোদ আমি ভেবাচেকা খাই,তাকাই ডাইনে বায়ে
মরছি গো আইজ, কেউনি শোনে এমন সর্বনাশা বাণী
ঠেলা দিয়া কয়, যায় গো সময়, উঠবানা নায়ে ?
হঠাৎ খবিস হই,মুখে মধু ঢেলে কই, ওরে প্রিয় চুতমারানি ।

স্বীকারোক্তি ।

আজো শিখি নাই কিছু
বহু কিছু শিখা আছে বাকি
যা কিছু করেছি সব শুধু
নিজেকেই দিয়ে গেছি ফাঁকি

গনিতের সুত্র বুঝি না তো
কি করে বুঝি জীবনের অংক
পোশাকে-আশাকে দেখো ফিটফাট
ভিতরে ভিতরে থাকি উলঙ্গ

পরিচিত সব বেছে নিয়ে উঁচু
গড়েছে নিজ নিজ পাটাতন
অকাজের কাজী ধরে মিছে বাজি
পশ্চাৎ এ নিয়েছি কাঁটাবন ।  

অসম্পূর্ণ ।

জলের পিরান গায়ে আমি ডুব দেই জলের ভিতর
আমি ছাড়া এরকম পোশাকে আর নামে নাই তো কেউ
জলেই তোমার ঘর বাড়ী সব, তবু ভিজে না গতর
আমার কেনো সব ভিজে, কেনো দেহের ভাঁজ ভাঙ্গে ঢেউ ?
পুকুর হাওড় দীঘি বিল ঝর্না ছেড়ে, এলাম সাগরে
রঙ্গিন নগর ছেড়ে এবার নিলাম পানির জীবন
দেখা কি হবেনা মৎস্য কন্যা, আমি কি পাবোনা তোমারে ?
ডাঙ্গায় উঠেই ডুব দাও এ তোমার কেমন ধরন ?

শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

ওব্বু , ফিরার থেইক্যা । ( রাজা , মাপ কইরা দেন । মিডায় মুক মাইরা আনে । )

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।


কথায় কথায় খুন খারাপী
সেজে সাধু সন্ত পাপী তাপী ।
বুক চিড়ে তেলে পোড়
সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাতে ।


ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।


শুনেছিলাম রাজা প্রজা
সখ্য হতো আগে ,
প্রজারা না খেতে পেলে
রাজা থাকতেন জেগে ।
এখন রাজা সব চুষে খায়
প্রজাদের নাড়ি শুকায় ,
উজির নাজির চেল-চামুন্ডা
সবাই আছো দুধে ভাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

জোড় করে যায়না পাওয়া
এক মানুষের মন ,
কি করে পাবে রাজা
কোটি জনগণ ।
তোমাদের দেশপ্রেম নাই
খাও ক্ষমতার মন্ডা মিঠাই
আম জনতার নাই মমতা
থাকুক পড়ে ফুটপাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

বামেদের তর্ক বড়াই
তত্তের ফুটো কড়াই ,
রাজাকারের পাকি প্রীতি
উথলে ওঠে ভাতৃ স্মৃতি ।
প্রয়োজনে বসিয়ে কোলে
ক্ষমতার দোলনা খেলো
এই জনতা খেপলে রাজা
পাবে সাজা হাতে নাতে ।

ওব্বূ আর থাকবো না তোমাদের সাথে
থুক্কু আর থাকবো না তোমাদের সাথে ।

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

বেদখল

কোথায় খেলি গোল্লাছুট
মাঠ খেয়েছে দালান আজ
কোথায় ভিড়াই পারের ডিঙ্গা
ঘাট খেয়েছে দখল বাজ ।

অসম্ভব ।

ইচ্ছে করে, যাই'যে ফিরে ফেলে আসা শৈশবে
বিকাল বেলা যায় কি পাওয়া ভোরের সূর্যোদয়
এখন আমার মন বসেনা বিত্ত ও বৈভবে
আটচল্লিশ পায়কি ফিরে চৌদ্দ কিংবা নয় ?

মাহমুদ সাবধান ।

মাহমুদ তুমি ব্যাচেলর ।
মেয়েদের দিকে তাকাবা না
তোমার কেউ নাই
সাবধান...........................

আমরা ম্যারেড ।
কম্পেয়ার করার মতো
আমাদের ঘরে একজন করে আছে ।
সুতরাং.......................................

হক কথা গোপন কথা... ৩

পরের স্বামী দেখতে দারুন
ঘরেরটা মাকুন্দা
পরের গায়ে সুগন্ধি
ঘরের গায়ে ফাকুন্দা ।

পরের বউ মিষ্টি তেতুল
ঘরেরটা ধাইন্না ঝাল
পরের বউ কোকের বোতল
ঘরেরটা ভুষিমাল !

গোপন কথা হক কথা...২

নারী আর তেলাপোকা
বংশ বৃদ্ধি করে
পুরুশ আর তুরকুলা
মরার আগে শতবার
আছার খেয়ে মরে ।

নারী আর মেনি মাছ
যত বড় আদার হউক
মুখের সামনে পেলে ক্যোঁৎ করে গিলে খায়
পুরুষ আর বোয়াল মাছ
জিন্দা মুর্দা পচা গলা গু গোবর সব খায় ।

হক কথা গোপন কথা...১

উকুন আর নারী উভয়েই সমান
একজন ধারণ করে অন্যটা বিচরণ
সুযোগ পেলে সমান তালে বালিশ
বিছানা এবং শরীর পাল্টায় ।

পুরুষ আর বিড়ালে পার্থক্য নাই
দুধ দেখলে উভয়েই
ছোক ছোক করে
সন্তর্পণে মুখ বাড়িয়ে দেয় ।

সাদাফ বোঝে উল্টা ।

অন্ধ দেখে অন্তর চোখে
ভালদের চোখ থাকে খোলা
অন্ধ বরাবর পষ্ট দেখে
খোলা চোখ দেখে ঘোলা !

সাদাফ
না দেখে ঘোলা
না দেখে পষ্ট
অন্তর বাহির
দুই'ই নষ্ট ।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

খোলা চিঠি

ই মেইলে নয় ।
চিঠি পেলাম রঙ্গিন খামে
কত বছর ? বহু বছর ।
আধ জীবনের দামে !

হাতে লেখা নাম ঠিকানায় স্পষ্ট প্রেরক ।
কে লিখেছে বুঝতে পারি অধম প্রাপক ।
দেশের নাম বুঝতে আর রয়না বাকি
খামের উপর আঁকা দুটো কিউই পাখি ।

এতো বছর পরেও আছি তোমার মনে!
ইচ্ছে করে বলি, সখি চলো স্বেচ্ছা গুমে
হারিয়ে যাই আজ দুজনে
পারিনি যা আগ জীবনে ।


দাহ যন্ত্রনায় পোড় খাওয়া বৃক্ষ
আর থিতিয়ে পড়া পাতার সমবায়
হঠাৎ স্রাবণের জলে ভিজে যে ভাবে
বুকের সবুজ খোলে
বহু...বহুদিন পর
ঠিক সেভাবেই তোমার শব্দ স্রাবণ
আমার মন সবুজকে খুলে দিয়ে
দিগন্তে পাঠালো সূর্যকে মুঠোয় পুরে ।

অনেকটা যেন,
"যাও পাখি বল তারে "...
পাখির কি আর দায় পড়েছে আমার কথা
বলবে গিয়ে তোমার কাছে উড়াল মুখে
আমিই তোমায় নিজের মুখে বলছি শোন,
যোগাযোগের বাইরেও অন্য আরেক
যোগাযোগ থাকে । আছে , থাকবে জেনো ।

বলার কিছু নেইতো তেমন
ভেজা ব্যাঙ কুয়োয় থাকি
নেইতো আমার বিশ্ব ভ্রমন
সুখের দৃশ্য শব্দে আঁকি ।

দুই দু মুঠো ভাতের আশায়
খুলেছিগো ভাতের দোকান
শোকর আল-হাম দুলিল্লাহ
মানের সাথে বেঁচেছে প্রাণ
জাবর কেটে স্মৃতির বিলাস
করবো কখন ! প্রাণ হাঁসফাঁস ।

ঠিক করেছো ।
আগে ভাগেই দিক চিনেছো ।
নইলে চুলোয় ঠেলতে হতো গোবর ঘসি
প্রেমের ভুলে হয়তো দিতে গলায় ফাঁসি ।

যাওয়ার পরে পাইনি সময়,
দাঁতে নখ কেটে কেটে ভাববো
"যেখানে ছোঁবে পাবে আমার শরীর"
কবির মতো করে লিখবো ।

এখন কি গো মন আর পোড়ায় ?
মন পোড়েনা, পোড়ার ব্যথা গিড়ায় গিড়ায় ।

যে পুজো তুমি দেখে গেছো
নিয়ে গেছো অর্ঘ।
এখনো হয় পাড়ায় পাড়ায় ঘরে ঘরে
শুধু দল বেঁধে পুজো দেখা হয়নাতো আর
আমার পুজোর দেবী নেইযে আমার ।

নিজ হাতে ফুল তুলি এখনো যদিও
সে ফুল হাতে নিয়ে যাইনা কোথাও ।

এইতো আমার সাদা মাটা ছোট্ট জীবন
এর মধ্যে তোমায় নিয়ে ভাববো কখন ?

উত্তর পেলে লিখবো আবার
পরের বার বড় করে ।
ভাল থেকো সর্বাবস্থায়
আনন্দকে সঙ্গি করে ।
ইতিতে,
পুড়নো সেই ঘুরে ফিরে
যার জন্যে পালিয়ে গেলে
দেশ ছেরে ।


বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

দ্রোহের শাহী বাগান ।

দ্রোহের শাহী বাগান (শাহবাগের প্রথম নাম )
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
( দ্বিতীয় দিনের অবাক করা জন সমুদ্রের জোয়ারে
অভিভুত হয়ে এই লেখা , পরবর্তী দুঃখ জনক গল্পটি 
সকলেরই জানা । ) 

বহুদিন বহুমাস বহু বছর পর প্রজন্ম চত্তর
হঠাৎ তোমাকে দেখি বাংলাদেশ শ্লোগান মুখর
মুষ্টিবদ্ধ সূর্যমুখী হাত, চলমান দন্ডায়মান জোড়াসনে
শাহবাগ দ্রোহের আগুন জেলেছো ফুলেল ফাগুনে ।

দিনের সূর্যাস্ত আছে চেতনার নাই । যুদ্ধ হবে ।
আলোর গতিতে পৌঁছে গেছে সংবাদ ঘরে ঘরে ।
উৎখাত হবে ধর্ম বর্ম পরা উইপোকা
ছারপোকা মুক্ত হবে ঘর বিছানা উলু মুক্ত মাটি ।

তরুনেরা জেগে থাকে যুগে যুগে কবি
জাগানিয়া সুরে জেগে থাকে খাঁটি ।

চিহ্ন ২

সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেললেও
মোছার চিহ্ন থেকে যায় ঠিকই
দুজন চলে যায় দুমুখী নিদ্রায়
কালের গহনে বর্জনে সজ্ঞায় 

প্রশ্নোত্তরের বিভীষিকা মেখে
অপরিপূর্ণ জীবন রেখে
কোন সত্যের আহবানে যায়
কোন সে টানে কিসের মায়ায় ।

কতটা বিশুদ্ধ হলে
বোধের গভীরে
অন্তঃসার নামে
জন্মান্তর ভ্রূণে 
যদিও অগ্নির দাহ জীবনের কোষে ।

এখনো অদৃশ্য ছবি
সমুদ্র যাত্রায় হাঁটে
সাদা কাপড়ের
আ-নগ্ন আসামী
এখনো আমুন্ড কাঁকড়া
অপ্রাপ্তে ঘৃণিত হয়ে
মিশে যায় মিথ্যার বিরোধী খোঁয়াড়ে ।

মোছার চিহ্নকে রেখে গিয়ে
কালো পাথরের দ্বীপে
অচিহ্নিত একক আল্পনায়
এভাবে দুজন দুমুখী নিদ্রায় মিশে যায় ।



চিহ্ন ১

সমস্ত চিহ্ন মুছতে গিয়ে
মোছার চিহ্ন রেখেছো তুমি
এক জীবনের পলি নিয়ে
দিয়ে গেছো মরুভুমি ।

সেই ভুমিতে হচ্ছে আবাদ
খয়েড়ি, সোনালী খেজুড়
মাত্রা পেয়েছে জীবনের স্বাদ
বেড়েছে শক্তি বাজুর ।

তোমাকে ছাড়া দিব্বি কাটাই
সাজানো গোছানো জীবন
ফেলে গিয়েছো বিষের নাটাই
হঠাৎ বিস্ফোরণ ।
   



 

মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

বিনীত নিবেদন এই যে......

মহারাজ ,
বিনীত নিবেদন এই যে ,
এ দেশে আগুনে ভাজা মুরি
বর্ণিল প্যাকেটে পায়
বাজারের দাম ।
নির্বাচিত প্রতিনিধি পায়
পোড়া কয়লার বীভৎস মুখ ।
সেন্ট মার্টিনের কাটা মাছ পায়
তারের ঝুলন্ত বিছানা ।
দক্ষিণা বাতাস ।
সূর্যের আদর ।
আমাদের সমবেত মৃত্যু পায়
পেট কাটা শরীর ।
রাজকীয় দড়ি ।
অভিজাত ইটের মালা ।
মুখ বাঁধা মায়াবী পলি ব্যাগ ।
শীতলক্ষ্যার বিসাক্ত উদর ।
মিথ্যা তাদের দমাতে পারেনি
মৃত্যু তাদের থামেতে পারেনি ।
জলের তলপেট ফুঁড়ে
উঠে আসে সত্যের সমবায় ।
গুমের কৌশলে রাজা কতদিন
জিতে যাবেন বলুন ।
প্রকৃতির প্রকৃত ডি এন এ
ঠিকই বলে দেবে
সে আমার ভাই ছিল
সে আমার পিতা ছিল
সে আমার একমাত্র পুত্র ।
হে রাজাধিরাজ ,
আপনার হাঁসি এখন
মরা মাছের বাসি মুখ ,
আমাকে টানেনা ।
বিনীত ভাষণে বলি ,
এ দেশ আমার নয় ।
এ মাটি আমার নয় ।
এ সবুজ আমার নয় ।
অতএব ,
আমার নাগরিকত্ব
কেড়ে
নেয়া
হোক ।

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

বুলাকে নিয়ে টুকরো কাব্য ।

বুলা তুই, চাস না কিছুই,আবার ক্ষুধা আছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমের...বহু জন্মের আশ মিটাবি একটা প্রেমেই, ভুলে দুঃখ, বিগত জীবনের । এই নে, দিলেম এক দিঘী প্রেম, মিটিয়ে নে তোর আশ...জলকেলিতে নামরে এবার ,ভাসিয়ে দে তোর দিমিয়ে রাখা রাজহাঁস অভিলাষ         

আসবো আবার বৃষ্টি হয়ে...ফিরে যাবো ভিজিয়ে দিয়ে...গরম কফি আয়েশ করে... খেয়ো বুলা প্রাণটি ভরে...এবার আসলে আর যাবনা...তখন কিন্তু পালিয়োনা ।

ইদানীং তুমি নাকি

ইদানিং তুমি নাকি ব্যস্ত ভীষণ  
তোমার সময় দিচ্ছ কাকে।
আমার মতো আপন করে
শুনি, বলো আরকে ডাকে ।
বেনিয়ারা হরেদরে কিনছে
নাকি তোমার সময় ।
আজকাল প্রতিরাতে
তিনু মিনুর যেমনটা হয় ।
পিঠ ছড়ানো রঙিন চুলে
বিক্রি হচ্ছ হাতে হাতে ।
আদর করে বুকের পায়রা
তুলে দিচ্ছ নতুন পাতে
কোন হাতে যে পায়েশ বাটি
দিচ্ছ তুলে নাভীর চাবি
কে যে যাচ্ছে সাঁতরে ওপাড়
কে যে খাচ্ছে দারুন খাবি
আমি চাইলেম বুকের ময়না
নিজের একটু অধিকার
ওদের দিলে আস্ত তোমায়
ওদের বেলায় এতো উদার !

পার্থক্য


তোমার ,
জলের সহজ স্বভাব ঢেলে
যা ছিল সব দিয়ে দিলে
রেষম চুলে রোদের হাওড়
কপাল জুড়ে মেঘের প্রহড়
স্বেদ বিন্দু নরম আদল
নিকট দুরে চোখের বাদল
বাখড়খানি মচমচে বুক
জঙ্ঘা পাড়ের অমৃত সুখ
বাজিয়ে দিয়ে স্নায়ুর নূপুর
রতির তালে অমিয় সুর
কথায় কথায় সবই দিলে
কথার মাখন মধু ঢেলে ।

আমার ,
স্থাবর অস্থাবর সবই নিলে
সাব কবলার এক দলিলে ।

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

নীলা বৌদি

এক অবাক রাতের গল্প বলি আজ
সেদিন আকাশ ভরা তারার কারুকাজ
সাথে ছিলো সরস্বতী রমা বৌদির গান 
ভরা চাঁদের ইলিশ আলোয় রুপালী উঠান
শীতল পাটির দুই পাড়েতে মুখো মুখি বসে
ঝিরি ঝিরি হাওয়া মেখে আয়েশে আবেশে
ডুবে ছিলাম মোহন রাতে সুরের মদিরায়
রাধা কৃষ্ণের কীর্তনিয়ায় বৌদি কেঁদে যায়
তাকে দেখে আমিও কাঁদি অজানা শঙ্কায়
সবে আমার পা পড়েছে ষোলর সীমানায়
গানের সুরে বুঝি কি আর মৃত্যুর ইঙ্গিত
আমার কাছে সবি ছিলো নির্জলা সংগীত
কি রহস্য ছিলো সেদিন সুরের মূর্ছনায়
সেই রাতটা প্রতি রাতে আমাকে তাড়ায়
সুরের মায়ায় ঢলে পড়ি নিদ্রা দেবির কোলে
হঠাৎ ভোরে জেগে দেখি বৌদি গাছের ডালে
দাদার কাছে লিখে গেছে ছোট্ট দুটি কথা
তোমরা,সুখে থেকো বিমল সুখে থেকো লতা । 
 

দাদা বৌদির মিল ছিলোনা,ছিলোনাতো সুখে
এই কথাটি জেনেছিলো পাড়ার সকল লোকে
সুবল'দার গঞ্জে ছিলো বানিয়ার দোকান

  

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান......১৫

তুমি নিরালায় বসিয়া
মানুষ নামের চাদর বুনছ
ভাবের সুতা দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া .........

দশ মাস দশদিন সময় নিয়া
ভাবের সুতায় প্রেম মিশাইয়া
বুনছ মায়ের কোলে থুইয়া
দুধের আহার দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া.........

ছয় ধোপাতে চুক্তি নিয়া
ছিড়ছে চাদর ধুইতে গিয়া
মানব চাদর হয়না রিপু
শেলাই মেশিন দিয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া.......

কান্দে সাদাফ সব হারাইয়া
ভাবনাতে যায় দিন ফুরাইয়া
কবে চাদর নতুন হবে
ক্বলবে জিকির গাইয়া ।
দয়াল নিরালায় বসিয়া......

সাদাফের বয়ান......১৪

হাত বাড়ালেই বন্ধু পাবে
হাজার রকমের
মনের মতো বন্ধু হবার
যোগ্যতা কজনের ?
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে...... কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

ভাইয়ের মতো কিছু বন্ধু পাবে
তোমার দেহে রবে তার নজর
বোনের মতো কিছু বন্ধু রবে
চোখ তার তোমার পকেটের উপর ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে......কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

ট্রেনে কিংবা জাহাজের কেবিনে
হঠাৎ বন্ধু পাবে রাতের ভ্রমণে
বন্ধু হবে তারা এক রাতের বাসনায়
ভুলে ভুলে ডুবে যাবে তার কামের যমুনায় ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে......কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

জ্ঞ্যান পাপী কিছু বন্ধু পাবে
জ্ঞ্যানের ভারে তারা তোমাকে ডোবাবে
গল্পে গল্পে তুমি গল্পের রাণী
তোমাকে নষ্ট করে পালাবে সে জ্ঞ্যানী ।
বন্ধু বন্ধু বলে চিৎকার করোনা
এক জীবনে সকলেইতো
প্রিয় বন্ধু হয়না ।
ও বন্ধুরে...... কই গেলা আমারে ছাড়িয়া......

বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান ...১৩

ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে...............
আমি সকাল থেকে দুপুর বেলা
গড়ায় দেখি ভাটিতে............
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

তিন কাঁটাতে বাঁধা আছে
তোমার ঘড়িখানা
চাবি ছাড়া চলছে ঘড়ি
কখনো থামেনা
একবার ডাউন হইলে হবেনা চার্জ
পড়ে থাকবে পথের ধুলিতে.........
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

দেহ ঘড়ি মাটির তৈরি
ওয়ান টাইম ব্যাটারি
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টার কাঁটার
চলছে ঘোরাঘুরি
একবার থেমে গেলে মাটির ঘড়ি
সেতো মিশে যাবে মাতিতে......
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান.....১২

ভালোবাসার শস্য দানা খায় খুটে খায়
পাখ পাখালির দল ।
তোমার মন গোলাতে তুললেনা তা
রাখলে করে নিষিদ্ধ অঞ্চল ।

বুঝলেনাতো কে আপন পর
বুঝবে কি আর পাহাড় নদী গাছ
ঢেউয়ের মাতম প্রাশাদ প্রবাল
রক্ত চোখা কোরাল নিঃশ্বাস ।

মন বাড়ীতে ঝুল বারান্দা
হু হু বহে বৈশাখী বাতাস
তুমিও নে আমিও নেই
দোল খেয়ে যায় যুবক দীর্ঘশ্বাস ।

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

সাদফের বয়ান ......১১

মনের অথবা বনের
নেতার বা ক্রেতার
কৃষক কিংবা শ্রমিকের
টোকাই কিবা বেশ্যার
মেঘের বা বাজের
যে ভাবেই হউক
সব কিছু ওলট পালট
হয়ে যাওয়ার মতো
একটা গর্জনের অপেক্ষায় আছি ।

শীতলক্ষ্যা আমার নদী নয় যে জলে পাপ মুক্ত হবো ।

সাদাফের বয়ান...১০

ও মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে...............
আমি সকাল থেকে দুপুর বেলা
গড়ায় দেখি ভাটিতে............
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

তিন কাঁটাতে বাঁধা আছে
তোমার ঘড়িখানা
চাবি ছাড়া চলছে ঘড়ি
কখনো থামেনা
একবার ডাউন হইলে হবেনা চার্জ
পড়ে থাকবে পথের ধুলিতে.........
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।

দেহ ঘড়ি মাটির তৈরি
ওয়ান টাইম ব্যাটারি
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টার কাঁটার
চলছে ঘোরাঘুরি
একবার থেমে গেলে মাটির ঘড়ি
সেতো মিশে যাবে মাতিতে......
মন কয়টা বাজে তোমার ঘড়িতে ।


শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

সাদাফের বয়ান......৯


তুমি এখানে নাই ওখানে নাই
কোন খানেও নাই ।
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।

আছো তুমি দমে দমে
আছ তুমি সকল প্রাণে
আছো এই মন ভুবনে
আছ মন সিংহাসনে
শুধু হাত বারালে তুমি নাই...
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।
দুই প্রহড়ী দিয়া কাঁধে
দম দিয়াছ সময় বেঁধে
দমে দমে তোমায় স্মরি
মনোভুমি আবাদ করি
শুধু দেখতে চাইলে তুমি নাই
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।
তুমি এখানে নাই ওখানে নাই
কোন খানেও নাই
আবার সর্বখানে সর্ব সময়
তোমার ছোঁয়া পাই ।

সাদাফের বয়ান ........৮


তোমার নিঃশ্বাসের কোন লাইসেন্স নাই
রিনিউ করার সিস্টেম নাই
সমন এলে যাবে চলে
পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা নাই ।

তোমার ঘরের দুয়ার বন্ধ নাই
বাইরে সিকিউরিটি নাই
মন পাখিটা উইড়া গেলে
ফিরা পাইবার উপায় নাই ।

তোমার বায়োডেটায় দেখতে পাই
নাম পরিচয় কিছুই নাই
কেয়ার অফে দুঃখেন মাঝি
উজান স্রোতে বইঠা বায় ।

তোমার কামাই রুজি কিছুই নাই
উকিল মোক্তার সঙ্গি নাই
জজ সাহেবে দিলে ফাঁসি
আপিল করার সুজোগ নাই ।

নাদান সাদাফ মরে ভাবের জ্বরে
থাকেনা মন ঘরে-বাইরে
কোন মারফতে, কোনবা পথে
মনের কথা বন্ধুরে জানাই ।

সাদাফের বয়ান.........৭


হইছি তোমার ব্যাংক এর ঋণ খেলাপি
আমায় কইরো তুমি ক্ষমা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

আমার জীবন গেলো লোনে লোনে
পাপের লড়ি টেনে টেনে ।
আমি বিষ খেয়েছি জেনে শুনে
অমৃত করে মানা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

আমার তিন কিস্তির এই লোনের বাড়ী
সুধ আসলে হইলো ভারি ।
সাদাফ খাইছে কামাই তাড়া তাড়ি
হাতে নাই কড়ি এক আনা ।
চেক এর পরে চেক ভাঙ্গাইছি
কিছু করিনাই জমা ।

সাদাফের বয়ান........৬



তোমার কাগজের ঘুড্ডি বোখাট্রা হইয়া
গোত্তা খাইয়া পড়বে কাদায় মুখ ডুবাইয়া ।

তুমি কাঁচা মাঞ্জার সুতা দিয়া
প্যাচ খেলাইছো মন
ইচ্ছা মতো ছাড়ছো সুতা
রঙ্গিলা জীবন ।
ছাড়ছো সুতা ভায়ে ভায়ে
কান্নি খাইছো ডাইনে বাঁয়ে
একবারওতো ভাবো নাই মন
হইবা দেওউলিয়া ।

তোমার দমের নাটাই হাতে নিয়া
বসে আছেন কারিগর
ওলট পালট উড়ছ তুমি
রাখো নাই খবর ।
কারিগর মুচকি হাসে
বসে তার নিজ নিবাসে
চলে যাবে তার'ই কাছে
গেলে দম ফুরাইয়া ।

একুল অকুল সব হারাইয়া
পাপের সাগর পাড়ি দিয়া
সকাল বিকাল বুক চাপড়াইয়া
সাদাফ বলে, পাড়ের নাইয়া
আমারে'নি যাইবা নিয়া
নিঃশ্পাপে তড়াইয়া...নাইয়া
আমারে'নি যাইবা নিয়া
নিঃশ্পাপে তড়াইয়া ।

সাদাফের বয়ান....৫


স্বপ্ন পোড়ার গন্ধ তুমি পাও কিনা জানিনা
স্বপ্ন পুড়ে গেলে বাকি আর কিছু থাকেনা
এক জীবনের স্বপ্ন তুমি নিজ হাতে পোড়ালে
বেঁচে থাকার মতো কিছু রেখেতো গেলেনা ।

তোমায় নিয়ে স্বপ্ন ছিলো সাত সুরে'তে বাঁধা
আমি হবো যুগের কৃষ্ণ তুমি হলে রাধা
কুঞ্জবনে নাচবে তুমি কৃষ্ণ মোহন সুরে
রংধনু তার রঙ ছড়াবে সুনীল সমুদ্দুরে ।

পুড়িয়ে দিলে জীবন চাদর বুনতে দিলেনা
স্বপ্ন পুড়ে গেলে বাকি আর কিছু থাকেনা । (চলবে)

সাদাফের বয়ান............৪



কেউ খেলে তিন তাশের খেলা
কেউ তেরো তাশে মুখ ডুবায়
তুমি মজা লইলা শুধু
পাঁচ তাশের খেলায়
বিধি, পাঁচ তাশের খেলায় ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

রিযিকের ম্যাজিক তোমার
প্রথম তাশের খেলা
অযোগ্য যায় সিংঙ্গাসনে
যোগ্যের অবহেলা,
চলে,যোগ্যের অবহেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

জন্ম দিলা মৃত্যু দিলা
আয়ূ তিন বেলা,
দিলা আয়ূ তিন বেলা
হঠাৎ এসে যায় চলে কেউ
থাকে সারা বেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরায়ন ধরপরায় ।

বিয়ে স্বাদী ধন দৌলত
তুমিই বেঁধে দিলা
বিধি,তুমি বেঁধে দিলা
ভাবের ঘরে খেলছো বসে
পঞ্চ তাশের খেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।

দেখে শুনে সাদাফে কয়
লাশের আবার মরার কি ভয়
তরাইয়া নিও তুমি
আমায় আখের বেলা
বিধি, আমায় আখের বেলা ।

তোমার খেলা বোঝা দায়
আমার পরান ধরপরায় ।।

সাদাফের বয়ান........৩



কোন খেলায় পাঠাইলা দয়াল.........
কোন খেলায় পাঠাইলা
সারাটা জীবন গেলো.........
সারাটা জীবন গেলো
খেলে শাপ লুডু খেলা
দয়াল কোন খেলায় পাঠাইলা......

ক্ষণে থাকি মইয়ের মাথায়
ক্ষণে শাপের মুখে
বিষে বিষে নীল হইলো মুখ
বিষের আড়ৎ বুকে...আমার
বুখে ভীষন জ্বালা
দয়াল কোন খেলায় পাঠাইলা......

শুনি শিং মাছের বিষ কমে নাকি
বিষ কাটালির ছোঁয়ায়
শাপে কাটলে সে বিষ নামে যখন ঝারে ওঝায়
সাদাফ মনের বিষে আউলা বেশে
ঘোরে সকাল সন্ধ্যা বেলা
কোন খেলায় পাঠাইলা............

সাদাফের বয়ান..২


মিয়া সাইফুল্লা......
শেষ পর্যন্ত কি ভাবলা ?
সার্জারি পার্টেই থাকবা
নাকি পাগলের বৈদ্য হবা ?
রাজা পাগল
প্রজা পাগল
পাগল সেনা পতি
খুনি গুমী হজ্ঞলতে নাকি
আমরার ভগ্নীপতি!!
উচ্চ শ্রেণীর
পাগল পাবা
পয়সা নিবা
থাবা থাবা
income হইবো more
দেশের নাক
ভাইঙ্গা যাক
pocket ভরবো your
ভাইবা দেখো হইবা কোনটা
স্হীর কইরা অস্হীর মনটা
করো সকাল বিকাল কশরত
এই দেশে সবই আল্লাহর রহমত !!
নাদান সাদাফ বোঝে আধা
রাজন্যগন পুরান আদা
প্রজারা সব গাধা'র দাদা !!!!
1

সাদাফের বয়ান ।


আমি কি আর আমার মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে ঊড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখি না তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর ।
আমি ভিশন স্বার্থপর ।
আমি বড়ই স্বার্থপর ।

স্বার্থপরের স্বার্থহানী
সে করেনাই কোনদিন
অফুরন্ত সম্পদ দিয়া
সময় দিছে তিনদিন
মহাকালের ফকির আমি
তিনদিনের মহারাজ
পূণ্য শুন্য সাদা খাতা
মনে নাইতো লাজ
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি বড়ই সার্থপর ।

নাইতো পাখীর তিল ভরষা
একটা জীবন মিথ্যা আশা
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা
হইলো কেবল সার
নাদান সাদাফ বলে কোন কৌশলে
ধর্ম কর্ম চোখের জলে
পাখী হইবা তুমি পার ?
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই ।
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর
আমি ভিশন স্বার্থপর ।

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪

টোকাই ও রাতের পরী

সাদাফ হাসনাইন মানজুর।

ভাতের মাড়ের মতো ঘন মেঘে ছাওয়া আকাশ
অঝরে ঝরছে প্রায় একশত বত্রিশ ঘন্টা ।
নগরী কোমর জলে দাঁঁড়িয়ে সটান ।
সব গাড়ী নৌকার মতো নিরানন্দ পার হয়
বাহান্ন নদীর শহর ।

টেবিলে দাঁঁড়ানো ফ্রীজ ছাদ ছুঁই ছুঁই ।
শ্লোগানবিহীন মরা মাছ,সাপ,ব্যাঙ বিষ্ঠার মিছিল
ড্রইং ডাইনিং বেডরুম নিয়েছে দখলে ।
যেভাবে লগি বৈঠার যায় নির্বাক হাইকোর্ট ।

মাঝে মধ্যে দু'একটা বাড়ী দেখে মনে হয়
অন্তহীন ক্লান্তি নিয়ে শুয়ে আছে জলের জাজিমে ।
কিছু কিছু বাড়ী ঘর মেতে আছে উৎসবে ।
ভুনা খিচুড়ীর স্বাদ নিয়ে খন্ড খন্ড দল
তৃপ্তির ঢেকুর তোলে এলিয়ে শরীর ।

একদল জানালায় চোখ পেতে নৃবিজ্ঞানীর কৌতুহলে
খুঁঁজে ফেরে আকাশের নাভী ।
কেউ কেউ দুঃখিত নিঃশ্বাসে ভাবে
মাঝে মধ্যে এমন সুখের টাপুর টুপুর বৃষ্টি হলে
আকাশের ক্ষতি কি এমন হতো !

একদল বন্যা ও বর্ষাতে
বৃষ্টিকে ছাতা করে নেমে যায় পথে ।

ছৈয়াল জানে জীবনের মানে ।

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

সোনালী বাশেঁর বুক চিড়ে

তুলে নেয় একাধিক বুক ।

বুকে মুখ উজ্জ্বল হবে

ভালবাসা সংসার সুখ হবে ।

সুখদ সময় তারে অন্ধকারে

ডেকে তুলে নেবে

বিশ্রম্ভালাপ হবে ।

সোনালী বেড়ার ফাঁকে

সোনা মুখ উঁকি দিয়ে থাকে ।

সুর্য্যকে পিঠে নিয়ে

ধারাবাহিক স্বপ্নের জাল

বুনে চলে সরল ছৈয়াল ।

দিন শেষে মহাজন গান গায়

মাইক্রো ঘরানায় ।

শুভংকরের ফাঁকে সরল ছৈয়াল ঠকে ।
7

দূরে বসে দেখবো আমি ।



দেবতা হবার কোন স্বাধ নেই, আমিও মানুষ
দুঃখ পেলে হই তছনছ, হৈ যে বেহুঁস ।
তখন দিন আমার আর দিন থাকেনা
দু চোখ ভরে আঁধারে,
বুঝি এই আমি আর ভাসবো নাগো
ডুবে যাবো ডুব সাতারে ।।

ছিলো যাবার ইচ্ছে এতই যদি
কেনো আগে যাওনি চলে ।
দেখবে আমার করুন কান্না
কেমন দেখায় শেষ বিকালে ।

তোমার চাওয়া পাওয়ার মাত্রা
যদি এমন থাকে,
ধরবে ছাড়বে যখন ইচ্ছা
যাকে তাকে ।

তোমার কাছে মনের দামকি
একটুও নাই,
ছলে বলে যে করে হউক
শরীর টা চাই ।

দারুন তোমার চাওয়া পাওয়া
এইতো আছো এইতো হাওয়া ।
তুমি চড়ুই পাখির আসা যাওয়া
চোখের জলে ভূগোল'টাকে কিনতে চাওয়া ।

তোমার বাজ পাখি মন
শরীর স্বপন,
এক সুরে যে রওনা বাঁধা
তুমি সুজন ।

দুঃখ পেয়ে গুঁড়িয়ে যাবে তুমিও কভু ,
দূরে ব'সে দেখবে প্রভূ, দেখবো আমি, দেখবো সেদিন
তোমার এক জীবনে শেষ হবেনা
আমার কাছে ফেলে যাওয়া সমস্ত ঋণ ।
6

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

লজ্জিত চড়ুই ও তোমাকে নিয়ে কাব্য ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

কিইবা বলতে পারি
অথবা কতোটাই বা বলবো তোমায় ,
জীবন আমার বসে আছে স্মৃতির ছায়ায় ।
আমায় তোমার পাশে ঘুমিয়ে রেখে
তুমি জড়িয়ে থাকো অন্য বুকে

যেমন চালের মধ্যে জড়িয়ে থাকে ধানের পোশাক ।

তুমি আমার চড়ুই পাখি
ফুরুত ফুরুত অস্ট প্রহড়
তুমি,পাড়ার চেয়েও ছোট দেখ
ঢাকার শহড় ।

এ ঘর ও ঘর সব ঘরে যাও
কোথাও যখন ঠাঁই মিলেনা
আমিই তোমার দখিণ দাওয়া
শান্তি পরশ বুলিয়ে দেওয়া শিতল হাওয়া ।

এতো তোমার আসা যাওয়া
কোথাও তুমি হওনা থিতু আপন হয়ে
এতো তোমার চাওয়া পাওয়া
চড়ুই পাখি লজ্জ্বা ঢাকে মুখ লুকিয়ে !
5

হবু রাজার ডিজিটাল দেশে ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

১ম দৃশ্য ।
গরিব প্রজাঃ
আচ্ছা, যদি এমন কিছু হয় ?
দু'য়ে দু'য়ে চার না হয়ে
হয় যদি নয় ?

আধ-পাগল প্রজাঃ
আশ্চর্য কি তাতে ? হচ্ছে ও তো তাই ।
মরছি জাতে পাতে, সুখের ঘাটতি নাই !

সম্পূর্ণ পাগল প্রজাঃ
হুম, ঠিক বলেছো ভায়া
দেখিনি জনের ছায়া
ডিজিটাল পাতা নড়ে চড়ে
একশ পার্সেন্ট সীল পড়ে !

দ্বিতীয় দৃশ্যঃ
বাক্স মাথায় সটান শুয়ে,
মুঠোফোনে কাত হয়ে,
বলছে রাজার Q.C
Sir,100% Complete
Back to Back L.C .
দুরাভাষে... ভেসে আসে
Oh, I see..... I see .
এপাড় গদ গদ, মহামতি...আমার যথাযোগ্য পুরষ্কার ?
ওপাড় একটু থেমে, হা হা হা এবার তুমি এম্বাসেডার ।

সোসাইটি ।


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

পোয়াতি রাতের বুকে জ্বলে ওঠে নখত্র ওযুত নিযুত ।
দ্রাক্ষার সরেষ বুক খুলে গেলে নিশী উৎসবে
বিস্কুট দৌড়ের মতো পশ্চাত প্রদেশে ধরে জোড়া হাত
বহুমুখী লম্ফের টেকনিক শেখে রাতের আসর ।
বিয়ারের টিন মুখ খুলে শুন্যে ছাড়ে পানের উয়াস ।
মফিজের দল ছায়া জলে ধীরে চলে খালের শামুখ ।
অফিস পাড়ার ঘন লেন দেন এইখানে বুঝে নেয় নগদ শরীর ।
ঝুলে পড়া শিকা থেকে খুলে পড়ে বুক । বিনয়ে ব্যাকুল
মুখ বাধিত কুকুর যেন মাথা নূয়ে চেটে খায় রষের তোয়াক ।
সোনালী আঁশের মতো ছড়ানো সুখ হাতের নপুন ফাঁদে গেথে নিলে
তপ্ত পুরুষ যোনির বেড়ী বাধ ভাঙ্গে মাতাল জোয়াড় ।
কার ঘর ভরে যায় সাদা পলি মাটি কেউ রাখেনা খবর ।

জলের বিছানা ছেড়ে পাশ ফিরে শাপলার মুখ
জল চোখ স্বাক্ষী রাখে জলের আকাশ ।

খতিয়ান............২


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

হারিয়েছি প্রথম কলম
হারিয়ে ফেলছি ধারাপাত
হারিয়েছি ঈদের জামা
নির্ঘুম কাটিয়েছি রাত ।

হারিয়েছি শীত শীত কমলা বিকাল
হারিয়ে ফেলেছি মাঘীরাত
হারিয়েছি গাছে বাঁধা রষের সকাল
কুয়াশার ভারি সম্পাত ।

হারিয়েছি বরষার নতুন শামুখ
হারিয়ে ফেলেছি খোলা মাঠ
হারিয়েছি পারাপারে ছৈ খোলা নাও
পাড় ভাঙ্গা পিচ্ছিল ঘাট ।

হারিয়েছি ডিম বুকে চিংড়ির চাই
হারিয়ে ফেলেছি লাল-ভাত
হারিয়েছি বায়েস্কোপে হেলেনের মুখ
টেটা হাতে ধীরে চলা ধীবরের রাত ।

একে একে বহু কিছু হারিয়ে ফেলেছি
স্মৃতির লবঙ্গ মুখে ঝাল সয়ে আছি
স্বাদ, বিস্বাদে গেছে । বিস্বাদ স্বাদে ।
পেয়ে হারিয়ে সয়ে নির্বিবাদে ।

মানুষ......৪

প্রতিবেশি নদীর মতো.................................
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

এ মানুষ প্রতিবেশি নদীর মতো কেবলি বাঁক বদলায় ।
বদলায় সকাল দুপুর জোয়াড় ভাটায়
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বিশ্বাস বদলায়
বদলায় প্রিয়তম হাত, হৃদয়ের কারুকাজ ।
অবিশ্বাসের তীর অহ রহ ছুঁড়ে চলে মানুষ তীরন্দাজ ।
এ মানুষ এতো দ্রুত বদলায়, প্রতিবেশি নদীর মতো
কেবলি বাঁক বদলায় ।

ইঁদুরের মতো বদলায় সশ্যের জমিন
বদলায় বিছানা ।
ভাঙ্গনে ভাঙ্গনে বদলায় মাটির শরীর
বদলায় সীমানা ।
ইথারের লেফাফায় মানুষ বদলায় তার আপন ঠিকানা ।
এ মানুষ এতো দ্রুত বদলায়, প্রতিবেশী নদীর মতো
কেবলি বাঁক বদলায় ।

ধীরেনের স্নান


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

ধীরে হাঁটছেন, বাবু ধীরেন, ধলেশ্বরীর কুলে ।
রাঙ্গা সূর্য নাঙ্গা হয়ে, নেমে যাচ্ছে জলে ।
ক্লান্ত ধীরেন হাঁটেন, মনে মনে ভাবেন
এমন সুজোগ আবার, কবে কখন পাবেন ?

ক্লান্তি ঝারার স্রেশ্ঠ সময়, সান্ধ্য কালীন স্নান ।
আকাশ ডুবছে সাগর জলে! আকাশ সাগর সমান !

প্রশ্ন মনে, ভাবেন ধীরেন, স্নানের ফাঁকে ফাঁকে ।
আকাশ নাকি সাগর, কে ডাকছে কাকে ?
ভাবতে ভাবতে ধীরেন ,
জলের মধ্যে দাঁঁড়িয়ে এবার জল মুক্ত হলেন ।

পরিতাপ নাই তার রুষ্ঠ হলে জলের দেবতা ।

মানুষ........১



সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"

মানুষ........২


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

মানুষ মিথ্যাচারে
নিছক অহংকারে
ক্রোধের ফেরি করে
অনর্থ চিৎকারে ।।

ভিতর ঝগড়ামুখী
বাহির পাক সাফ
ঐক্যে আপাতঃ সুখী
গহীনে লাভার তাপ ।।

হিংসুটে এক জাত
অপরের উথ্থানে
নির্ঘুম কাটিয়ে রাত
মরণ বাণ হানে ।।

মুলতঃ শান্তি প্রিয়
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে
একটু যত্ন নিও
আহত মানুষ পেলে ।।

"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"
"মানুষ মূলতঃ শান্তি প্রিয়"

মানুষ...... ৩

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

হাওয়ার শাষনে প্রদীপের আলো যেমন কাঁপতে থাকে
ইলাষ্টিকের ফিতার মতো থিরি থিরি ,
ইদন' নিজেকে আমার নিশ্বাসের আওতায় এনে
শাষিত আলোর মতো দুলে উঠে বললো
সুর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী যেমন..............
তেমনি আপনাকে ঘিরে আমার সমস্ত আয়োজন ।

তার বাচন সামর্থে, মুগ্ধতার মোহনায় ডুবে যেতে যেতে
বুঝলাম আর কখনো তলিয়ে যাওয়া হবেনা আমার ।
কেননা ভেসে ওঠার কোন চিন্হ রাখিনি জলে ।
ভালোবাসার ব্ল্যাক হোলে পড়ে গেলে কেউ ফিরেনা কখনো ।
যেমন লায়লার কাছে ফেরেনি কয়েছ, ফরহাদ পারেনি যেতে ।
দেবের গমন দেবত্বে নয় পারুর প্রতিক্ষাতে ।

প্রিয় মঈনুল,
নটে ঘাছটি মুরিয়ে যাবার আগেই
আমাদের গল্প ফুরিয়ে যাবার আগেই
বন্ধু রিয়াজ'কে বলে দিও ...............

মানুষ তার ণির্মাণ পথেই হাঁটে সারাক্ষণ ।

মৌসুমী.................. ১

সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।
 

মিছিলের প্রতিবাদ সহ হাওড় সমান ঘৃণা,আট বছরের দামে
ক্ষোভের জি পি ও থেকে পোস্ট করেছি,লাল সাদা এক খামে ।
আমার এক দিগন্ত প্রেমের আবাদ উদয়াস্ত ঘামে ,
বাড়ছিল বেশ লিকলিকিয়ে ভালোবাসার নামে ।

প্রেরকের নাম ঠিকানায় আমি ।
শুনছি আবার গজ ফিতাতে মাপছো নাকি,
লোভের বানে ধ্বসিয়ে দিয়ে ভালবাসার ভূমি ।
হচ্ছো ফের মাপা কথার তোতা পাখী ?

জোঁকের মতো উভয় পথে, লেজে মুখে চলতে পারো ।
কামের কৌটায় আর কতো স্রোত ধরতে পারো ?
বীজ-তলা'তে নতুন করে দিচ্ছ নাকি জল ?
আর কি পারো ছল ? তুমি আর কতোটা খল ?

মৌসুমী......2


সাদাফ হাসনাইন মানজুর ।

কলশীর গভীরতা নিয়ে এসেছিলে কুয়ার কিনারে ।
প্যাকেজ প্রেমের অভিজ্ঞতায় ইতিহাসের মিনারে
ওঠা সম্ভব নয় জেনেও ভুলে গেলে মৌসুমি ?
পরিমাপ যায়না করা মাটির গভীর থেকে উঠে আসা
জলের জোয়াড়.। বামন উচ্চতা দিয়ে প্রায়শই তুমি
ছুঁতে চাও প্রেমিক শাহজাহানের ভালোবাসা !

সাদাফের বয়ান ...৩

আমি কি আর আমার মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে ঊড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখি না তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর ।
আমি ভিশন স্বার্থপর ।
আমি বড়ই স্বার্থপর ।

স্বার্থপরের স্বার্থহানী
সে করেনাই কোনদিন
অফুরন্ত সম্পদ দিয়া
সময় দিছে তিনদিন
মহাকালের ফকির আমি
তিনদিনের মহারাজ
পূণ্য শুন্য সাদা খাতা
মনে নাইতো লাজ
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি বড়ই সার্থপর ।

নাইতো পাখীর তিল ভরষা
একটা জীবন মিথ্যা আশা
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা
হইলো কেবল সার
নাদান সাদাফ বলে কোন কৌশলে
ধর্ম কর্ম চোখের জলে
পাখী হইবা তুমি পার ?
ভুলে গিয়ে মাওলা মালিক
তিন দিনের ভাতের শালিক
উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে খাই ।
আমায় যেজন খাওয়ায় পড়ায়
রাখিনা তার খবর
আমি এতই স্বার্থপর
আমি ভিশন স্বার্থপর ।

সাদাফের বয়ান ... ২


মিয়া সাইফুল্লা......
শেষ পর্যন্ত কি ভাবলা ?
সার্জারি পার্টেই থাকবা
নাকি পাগলের বৈদ্য হবা ?
রাজা পাগল
প্রজা পাগল
পাগল সেনা পতি
খুনি গুমী হজ্ঞলতে নাকি
আমরার ভগ্নীপতি!!
উচ্চ শ্রেণীর
পাগল পাবা
পয়সা নিবা
থাবা থাবা
income হইবো more
দেশের নাক
ভাইঙ্গা যাক
pocket ভরবো your
ভাইবা দেখো হইবা কোনটা
স্হীর কইরা অস্হীর মনটা
করো সকাল বিকাল কশরত
এই দেশে সবই আল্লাহর রহমত !!
নাদান সাদাফ বোঝে আধা
রাজন্যগন পুরান আদা
প্রজারা সব গাধা'র দাদা !!!!
1